Ajker Patrika

বাসাইলে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০: ২৮
বাসাইলে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ

টাঙ্গাইলের বাসাইলে স্কুলছাত্রী আলিফা খানম জুঁইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে উপজেলার মটরা এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। আলিফা খানম জুঁইয় উপজেলার লৌহজং উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আলিফা আক্তার জুঁইয়ের দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম, স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন ভেনাস, মুশফিকুর রহমান, আওয়াল, সুলতান, খন্দকার রিন্টু, আলী আজম ও শাহীন দেওয়ান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বখাটে বাঁধনের উত্ত্যক্ত ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ভয় দেখানোর কারণে মেধাবী ছাত্রী জুঁই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরও কয়েকজনের প্ররোচণায় জুঁইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ নিয়ে মহাসড়কে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

বাসাইলে স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকাজানা গেছে, উপজেলার লৌহজং উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফা খানম জুঁইকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাঁধন ওরফে পিচ্চি বাঁধন উত্ত্যক্ত করে আসছিল। 

সম্প্রতি উত্ত্যক্তের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। মাঝে মধ্যে ওই ছাত্রীকে অ্যাসিড দিয়ে মুখ জলসে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হতো। 

গত ৩০ আগস্ট বিকেলে বখাটে বাঁধনসহ তার পরিবারের সদস্যদের এবং ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের স্কুলে ডেকে আনা হয়। পরে সবার সামনে শিক্ষকেরা তাদের শাসান। এরপর বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরার পরপরই ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। এ ঘটনায় ৩১ আগস্ট ওই ছাত্রীর দাদা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাইয়ুম বাদী হয়ে বাঁধনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার, সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ ও তাসলিমাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাসাইলের লৌহজং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু জমাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বা আমাদের শিক্ষকদের কোনো দোষ নেই। গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে উত্ত্যক্তকারী ছেলে ও ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়। এ সময় ছেলেটি মেয়েকে একতরফা মিথ্যা আপত্তিকর কথা বললে আমরা ছেলেটিকে শাসন করি। মেয়েটিকেও বুঝিয়ে দেওয়ার পর উভয় পরিবারের লোকজন চলে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করে। এখানে আমাদের জড়ানোর পেছনে আগের কমিটির (বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি) দ্বন্দ্বের জের হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত