Ajker Patrika

ছাত্র অধিকার পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

ঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্র অধিকার পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র অধিকারের নেতাদের অভিযোগ ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা এ হামলা করেছেন। হামলায় ছাত্র অধিকারের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সড়ক দ্বীপ ও কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। তবে এসব হামলার কথা অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

এ দিকে হামলা ও সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। গণ অধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো. হানিফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের চিহ্নিত কয়েক জন সন্ত্রাসী ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের ওপর হামলা করেন। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহসভাপতি আখতার, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা সাব্বিরসহ ১৫ থেকে ২০ জন নেতা–কর্মী আহত হন। আহতদের কাউকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি৷’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘ বিপিএল–এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ার জয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করলে সেখানে ছাত্র অধিকার পরিষদ হামলা করে। ছাত্রলীগ হামলা করেনি, সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা কখনো কাম্য নয়। তারা (ছাত্র অধিকার) নিজেরা হামলা করে ছাত্রলীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’ 

ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে টিএসসিতে আসার পথে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা রড, হকিস্টিকসহ ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের অনেক নেতা–কর্মী আহত হন।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘টিএসসির সড়ক দ্বীপের মারধর দেখে আমি হাকিম চত্বরের দিকে চলে আসি, পরে দেখি ছাত্রলীগের কিছু নেতা–কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে মারধর করছে।’

এ দিকে এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনের দিকে তেড়ে আসেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ। এ সময় ওই সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়।  

আমজাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালন করতে গেলে ডাস চত্বরে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি ফরিদ জামানসহ কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। ভিডিও করছি কেন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এবং মোবাইল দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আসলে তাঁদের কাছে আমার পরিচয় দিলে এরপর তাঁরা চলে যান। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা সাংবাদিক সমিতির বাইরের কোনো সাংবাদিক ভিডিও করছে কিনা খোঁজ করতে থাকেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দু’পক্ষের বক্তব্য শুনেছি, একটি হামলার বিষয়েও শুনেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় প্রোগ্রাম চলছে, টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে প্রোগ্রামের জন্য ছাত্র অধিকার কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি না নিয়ে প্রোগ্রাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত নয়।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত