Ajker Patrika

নির্বাচনকালীন সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনকালীন সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বানসহ চারটি দাবি সংগঠনটির নেতারা ইসিতে উত্থাপন করেন। 

সংগঠনটির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ধর্মভিত্তিক প্রচারণা এবং তার ফলে সৃষ্ট পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তি যাতে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং শান্তিপ্রিয় নির্বাচনমুখী সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সমূহ চিহ্নিত করে নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনোত্তর সহিংসতা রোধে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

বৈঠক শেষে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন এলেই সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করে, তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে। আমরা এটা আর দেখতে চাই না। ইসিকে বলেছি শক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সম্প্রীতি বাংলাদেশের মতো অরাজনৈতিক সংগঠনগুলো সহায়তা করবে। ইসি সহমত পোষণ করেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘২০০১ সালের মতো ব্ল্যাক অক্টোবর আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। যে ভয়াবহতা, নৃশংসতা, যে অত্যাচার প্রায় ৭১ সালকে মনে করিয়ে দেয়। সে জিনিসগুলো আমরা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাই। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে তাদের সরকারে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চাই না।’ 

ইসিকে কী সহায়তা করতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নাট্যকার ও সংগঠক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো কাজ যদি তারা করেন আমরা আমাদের ভলান্টিয়ার সহযোগিতা দেব।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমরা চাই এ দেশে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী নির্বাচনমুখী হোক এবং এবারের ভোটারদের মধ্যে তরুণ বেশি। তাদের আমরা নির্বাচনমুখী করতে বলেছি। এ জন্য কেবল ইসি নয়, দলগুলোরও একটা ভূমিকা আছে। সামাজিক সংগঠন, মিডিয়ার ভূমিকাও ফেলে দেওয়া যায় না।’ 

পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, তারা নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা, নির্বাচনোত্তর ধর্মীয় উন্মাদনা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ এ রকম চারটি বিষয়ে অবহিত করেছে। এর আলোকে কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে আইনানুগভাবে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু কমিশন করবে। 

সহিংসতা নিয়ে এত শঙ্কা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে এটা স্পষ্ট যে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি আমার দৃষ্টিতে, কমিশনের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ আছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো এখানে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি এবং কমিশন তা মনে করছে না। পরবর্তীতে যদি পরিস্থিতি উদ্ভব হয়, কমিশন আইনানুগ সব ব্যবস্থা নেবে।’ 

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলসহ ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এতে অংশ নিতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত