নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শফিক রেহমানের আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
৯ বছর আগের এই মামলায় বিচার শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।
এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে শফিক রেহমান আপিল করার জন্য মামলার জাবেদা নকল (রায়ের অনুলিপি) সরবরাহের আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
ওই দিন বিচারিক আদালত শফিক রেহমানকে আপিল করার জন্য রায়ের অনুলিপি সরবরাহের নির্দেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রায়ের অনুলিপি পেয়ে শফিক রেহমান আজ আদালতে আপিল করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সরকার গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করেন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় তিনি এই মামলায় পলাতক হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
দন্ডবিধির দুইটি ধারায় একটিতে পাঁচ বছর এবং অপরটিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়। রায় ঘোষণার সময় সবাই পলাতক ছিলেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
রায়ে আরও বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত সবাই পলাতক থাকায় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর রায় কার্যকর হবে।
মামলার অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। তাঁকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তিনি বিষয়টি ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’ থেকে জানতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একজন সদস্যকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মামুন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং বিএনপির আরও এক নেতা মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারের মাধ্যমে ঘুষ দেন।
তিনি জানতে পারেন, এফবিআই’র ওই সদস্যকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সিজার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার এবং প্রতিটা মুহূর্তের খবরা খবর দেওয়ার জন্য এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়া হয়। জয় যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতিমাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে ঘুষ দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল ওই এফবিআই সদস্যের সঙ্গে।
জয় আরও বলেন, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র মামলা হয়। ওই মামলায় জাসাস সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও এফবিআই এক সদস্যকে সাজা দেওয়া হয়।
এসব ঘটনার পর বাংলাদেশে এই মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক সশফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে এই হত্যার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার হয় বলেও মামলায় বলা হয়। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শফিক রেহমানের আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
৯ বছর আগের এই মামলায় বিচার শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।
এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে শফিক রেহমান আপিল করার জন্য মামলার জাবেদা নকল (রায়ের অনুলিপি) সরবরাহের আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
ওই দিন বিচারিক আদালত শফিক রেহমানকে আপিল করার জন্য রায়ের অনুলিপি সরবরাহের নির্দেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রায়ের অনুলিপি পেয়ে শফিক রেহমান আজ আদালতে আপিল করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে সরকার গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করেন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় তিনি এই মামলায় পলাতক হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
দন্ডবিধির দুইটি ধারায় একটিতে পাঁচ বছর এবং অপরটিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়। রায় ঘোষণার সময় সবাই পলাতক ছিলেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
রায়ে আরও বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত সবাই পলাতক থাকায় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর রায় কার্যকর হবে।
মামলার অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। তাঁকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তিনি বিষয়টি ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’ থেকে জানতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একজন সদস্যকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মামুন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং বিএনপির আরও এক নেতা মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারের মাধ্যমে ঘুষ দেন।
তিনি জানতে পারেন, এফবিআই’র ওই সদস্যকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সিজার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার এবং প্রতিটা মুহূর্তের খবরা খবর দেওয়ার জন্য এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়া হয়। জয় যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতিমাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে ঘুষ দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল ওই এফবিআই সদস্যের সঙ্গে।
জয় আরও বলেন, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র মামলা হয়। ওই মামলায় জাসাস সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও এফবিআই এক সদস্যকে সাজা দেওয়া হয়।
এসব ঘটনার পর বাংলাদেশে এই মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক সশফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে এই হত্যার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার হয় বলেও মামলায় বলা হয়। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
স্ত্রীর মৃত্যুর শোকে জানাজার সময় মারা গেলেন স্বামী জমশিদ আলীও। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ইলামেরগাঁও আটঘর গ্রামে। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১০ মিনিট আগেটঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাত চলাকালীন ড্রোন আছড়ে পড়ে অর্ধশতাধিক মুসল্লি পদদলিত হয়ে আহতের ঘটনায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খানের স্বাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
২৯ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের কামারখন্দে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া আরও দুই শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ঝাটিবেলাই গ্রামে ফুলজোড় নদে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে নিখোঁজ তিনজনেরই লাশ পাওয়া গেল।
৩৫ মিনিট আগেরাজধানীর শিশুমেলা সড়কে জুলাই-আগস্টে আহতদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় এক বৃদ্ধ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ মিনিট আগে