Ajker Patrika

জয়কে হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের আপিল গ্রহণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সাংবাদিক শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিক শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শফিক রেহমানের আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন তাঁর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

৯ বছর আগের এই মামলায় বিচার শেষে গত বছর ১৭ আগস্ট শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।

এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে শফিক রেহমান আপিল করার জন্য মামলার জাবেদা নকল (রায়ের অনুলিপি) সরবরাহের আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

ওই দিন বিচারিক আদালত শফিক রেহমানকে আপিল করার জন্য রায়ের অনুলিপি সরবরাহের নির্দেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। রায়ের অনুলিপি পেয়ে শফিক রেহমান আজ আদালতে আপিল করেন।

শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সরকার গত ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করেন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় তিনি এই মামলায় পলাতক হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হন।

সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন—জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

দন্ডবিধির দুইটি ধারায় একটিতে পাঁচ বছর এবং অপরটিতে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে প্রত্যেককে আরও তিন মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়। রায় ঘোষণার সময় সবাই পলাতক ছিলেন। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রায়ে আরও বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত সবাই পলাতক থাকায় তাঁরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর রায় কার্যকর হবে।

মামলার অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। তাঁকে হত্যার চেষ্টার ষড়যন্ত্রের ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন এবং বিএনপির নেতৃস্থানীয় কয়েকজন তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। তিনি বিষয়টি ‘ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’ থেকে জানতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর একজন সদস্যকে শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, মামুন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এবং বিএনপির আরও এক নেতা মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারের মাধ্যমে ঘুষ দেন।

তিনি জানতে পারেন, এফবিআই’র ওই সদস্যকে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন সিজার। সজীব ওয়াজেদ জয়ের গতিবিধি লক্ষ্য রাখার এবং প্রতিটা মুহূর্তের খবরা খবর দেওয়ার জন্য এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়া হয়। জয় যতদিন থাকবেন ততদিন প্রতিমাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে ঘুষ দেওয়ার চুক্তিও হয়েছিল ওই এফবিআই সদস্যের সঙ্গে।

জয় আরও বলেন, এফবিআই সদস্যকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র মামলা হয়। ওই মামলায় জাসাস সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও এফবিআই এক সদস্যকে সাজা দেওয়া হয়।

এসব ঘটনার পর বাংলাদেশে এই মামলা হয়। এই মামলা হওয়ার পর সাংবাদিক সশফিক রেহমানের ইস্কাটনের বাসা থেকে এই হত্যার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু আলামত উদ্ধার হয় বলেও মামলায় বলা হয়। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ত্রিশালের দুর্গাপুর-কুরুয়াগাছা: রাস্তা নয়, যেন খাল

ত্রিশাল(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
লাচলের অনুপযোগী ময়মনসিংহের ত্রিশাল-কুরুয়াগাছা সংযোগ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাচলের অনুপযোগী ময়মনসিংহের ত্রিশাল-কুরুয়াগাছা সংযোগ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ত্রিশাল-কুরুয়াগাছা সংযোগ সড়কটি এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে রাস্তাটি ভেঙে তৈরি হয়েছে হাঁটুসমান গর্ত ও জলাবদ্ধতা। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এ যেন রাস্তা নয়, খাল। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাদামিয়া, কুরুয়াগাছা ও দুর্গাপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির প্রায় সব অংশ ভাঙাচোরা। নিয়মিত ভারী মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে জায়গায় জায়গায় দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর খাদ। এখন বড় চাকার লরি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ছোট যান যেমন অটোরিকশা, মোটরসাইকেল কিংবা পথচারীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি—দ্রুত সংস্কার না করলে এই সড়কে দুর্ঘটনা বাড়বে। পাশাপাশি এলাকার মানুষ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

ত্রিশাল-কুরুয়াগাছা সংযোগ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ত্রিশাল-কুরুয়াগাছা সংযোগ সড়ক। ছবি: আজকের পত্রিকা

গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, একটি অটোরিকশা খাদে পড়লে চালক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে প্রাণপণ চেষ্টা করে সেটি তুলছেন। অন্যদিকে অসুস্থ এক নারীকে কয়েকজন মিলে কাদামাটির রাস্তায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।

অটোরিকশাচালক খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে জানলে এই রাস্তায় কখনো আসতাম না। গাড়ি খাদে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এলাকার লোকজন সাহায্য না করলে পার হতে পারতাম না। সরকারের কাছে অনুরোধ, দ্রুত যেন রাস্তা মেরামত করা হয়।’

স্কুলশিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলে, ‘রাস্তাটা এত খারাপ যে স্কুলে যেতে ভয় লাগে। বৃষ্টির সময় পা কাদায় ডুবে যায়, অনেক সময় পড়ে যাই। এতে অনেক দিন ক্লাসে যেতে পারি না। সরকারের কাছে অনুরোধ, রাস্তাটা যেন দ্রুত পাকা করা হয়।’

মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আবুল কালাম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘রাস্তার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত। এই রাস্তার আংশিক কাজের জন্য একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু করা যাবে। বাকি অংশও এই অর্থবছরের মধ্যে অনুমোদন নিয়ে শেষ করার আশা করছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে গভীর রাতে গার্মেন্টসের ঝুট গুদামে আগুন, সাড়ে চার ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৫৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের গুদামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর-২
গাজীপুর-২

রাতুল অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝুট গুদামে হঠাৎ আগুনের ফুলকি দেখা যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। গুদামটি মোটামুটি বেশ বড়। পাশাপাশি অনেক ঝুট কাপড় মজুত রাখা ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর এ টি এম মাহমুদুল হাসান বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৪টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করা হয়। সাড়ে চার ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গুদামে প্রচুর পরিমাণ ঝুট কাপড় থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ড।
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট গুদামে অগ্নিকাণ্ড।

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদি দোকানি সোহেল

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৩৪
গত ৬ অক্টোবর স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন লামিয়া বেগম।  ছবি: আজকের পত্রিকা
গত ৬ অক্টোবর স্বাভাবিকভাবে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন লামিয়া বেগম। ছবি: আজকের পত্রিকা

একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া বেগম। তবে এই আনন্দের সংবাদের পরই দুশ্চিন্তা ভর করেছে সোহেল হাওলাদারের মাথায়। নবজাতকদের পুষ্টি ও চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। সীমিত আয়ে সংসার চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।

৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দেন লামিয়া বেগম। লামিয়া পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের সিংহেরাকাঠী গ্রামের মুদি দোকানদার সোহেল হাওলাদারের স্ত্রী। স্থানীয় বাহেরচর বাজারে তাঁর একটি ছোট মুদি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের আয়েই চলে পরিবার।

সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিদিন দুধ ও ন্যাপকিন কিনতেই এক থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। শিশুরা অসুস্থ হলে তার সঙ্গে যোগ হয় চিকিৎসার খরচ। আমার মতো সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে এই খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’

তিনি আরও জানান, সন্তান প্রসবের পর হাসপাতালে ৯ দিন থাকতে হয়েছে। ধারদেনা ও এনজিওর ঋণ মিলিয়ে এখন প্রায় ২ লাখ টাকা দেনা হয়েছে। স্ত্রীর প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের, কিন্তু তা কেনার সামর্থ্য তাঁর নেই।

সোহেলের শাশুড়ি শাহনাজ বেগম বলেন, ‘মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মেয়ে লামিয়া বিয়ের পাঁচ বছর পর একসঙ্গে ৫ সন্তান জন্ম দিয়েছে, আমার খুব খুশি। আমার তিন নাতি ও দুই নাতনির নাম রাখা হয়েছে হাসান, হোসাইন, মোয়াজ্জেম, লাবিবা ও উমামা। সিজার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে তাদের জন্ম হয়। অনেকেই এসে দেখে গেছেন, সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সহযোগিতা করেননি। মা-মেয়ে মিলে সারা দিন বাচ্চাগুলোর যত্ন নিচ্ছি, এতে আমাদেরও শারীরিক কষ্ট হচ্ছে।’

সরকারি বা বেসরকারিভাবে যদি কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে হয়তো এই নিষ্পাপ শিশুদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হবে, এমনটি আশা করছে শাহনাজ বেগম।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, ‘নবজাতকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

বাউফল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অসহায় পরিবারকে সহায়তার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের বরাদ্দ থাকে। তারা যদি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে, আমরা সহযোগিতা করব।’

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। যদি পরিবারটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে সহায়তা চায়, আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মানহীন’ বিয়ারিং প্যাডের ওপরই চলছে মেট্রোরেল

  • খসে পড়া বিয়ারিং প্যাডে আঠা ছিল না।
  • আগেরবার প্যাড পড়ার কারণ নিশ্চিত হয়নি।
  • বিয়ারিং প্যাড যাচাই নিয়ে হাইকোর্টে রিট।
  • ১১ ঘণ্টা পর পুরো রুটে স্বাভাবিক মেট্রোরেল।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭: ৫২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা করে যে বিয়ারিং প্যাড মানহীন ঘোষণা করেছিল, মূলত সেই প্যাড ব্যবহার করেই রাজধানীতে চলছে মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের নির্মাতা ও পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বলেছেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড বসানো হয়েছে।

গত রোববার ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হওয়ায় প্যাডের ‘ত্রুটির’ বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এক বছরের একটু বেশি আগেই কাছাকাছি আরেকটি পিলার থেকে প্যাড খুলে পড়েছিল। এ ধরনের ঘটনায় মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

মেট্রোরেলের বর্তমান লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত (প্যাকেজ-৩ ও ৪) অংশের কাজ করেছে থাইল্যান্ডভিত্তিক ইতাল-থাই। আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার (প্যাকেজ-৫) অংশ করেছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম গ্রুপ এবং একটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর কারওয়ান বাজার থেকে মতিঝিল (প্যাকেজ-৬) অংশে কাজ করেছে ইতাল-থাই ও জাপানি ঠিকাদার এসএমসিসি।

আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার অংশের আগে ও পরে উভয় অংশের লাইনের কাজে যুক্ত ছিল ইতাল-থাই। অর্থাৎ দুই-দুইবার প্যাড পড়ে যাওয়া ফার্মগেট অংশের কাজে তারা সম্পৃক্ত ছিল না। তবে ডিএমটিসিএলের এমডির বক্তব্য অনুযায়ী, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো রুটেই ব্যবহৃত হয়েছে ইতাল-থাইয়ের সরবরাহ করা প্যাড।

ফারুক আহমেদ গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএমটিসিএলের হাতে বর্তমানে এই ইতাল-থাইয়ের বিয়ারিং প্যাড ছাড়া অন্য প্যাড নেই। ক্ষতিগ্রস্ত পিলারেও গতকাল নতুন করে ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়েছে। তবে আমরা যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্যাডটি বসিয়েছি। যেহেতু এই প্যাড নিয়ে কথা উঠেছে, আমরা ভবিষ্যতে অন্য কারও থেকে বিয়ারিং প্যাড নেব।’

ডিএমটিসিএলের তৎকালীন কর্মকর্তাদের অনেকে মেট্রোরেল প্রকল্প বা কোম্পানিতে কর্মরত নন। এমডি ছাড়া বর্তমান কর্মকর্তা বা মেট্রোরেল সম্পর্কে অবগত প্রকৌশলীদের কেউ অবশ্য রুটের ঠিক কোন অংশে কোন কোম্পানির প্যাড ব্যবহৃত হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে সব প্যাডই ভিয়েতনাম থেকে আনা হয়েছিল বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।

কংক্রিটের ঘর্ষণজনিত ক্ষতি ও কম্পন নিয়ন্ত্রণ করতে পিলার এবং তার ওপর থাকা ভায়াডাক্টের সংযোগে বসানো হয় রাবার ও ইস্পাতের মিশ্রণে তৈরি বিয়ারিং প্যাড।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, বিয়ারিং প্যাড প্রথমবার ব্যবহারের আগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে ২০২০ সালে এর মান পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষায় দেখা যায়, কয়েকটি প্যাডের স্থায়িত্ব, নমনীয়তা ও শক্তি নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়নি। এরপরও সেই প্যাড পুরো প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে।

সূত্র বলেছে, বুয়েটের পরীক্ষায় যখন প্যাডের নিম্নমানের অভিযোগ ওঠে, তত দিনে প্রায় ৮ কিলোমিটার উড়ালপথে প্যাড বসানো হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাকি পথেও ইতাল-থাইয়ের প্যাডই বসানো হয়।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এসেছিল, বুয়েটের ল্যাবের পরীক্ষায় উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয় বলে দেখা যায়। খবরে বলা হয়, এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই।

প্যাডের কারিগরি মান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোকেই ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার সে বছরের নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি উদ্বোধন করতে গিয়ে যথাযথভাবে নিরাপত্তা মূল্যায়ন না করেই মেট্রোরেল চালু করে। সে সময় কম্পন সহনশীলতাসহ প্যাডের মান পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়নি।

রক্ষণাবেক্ষণে ঘাটতি কিংবা কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গেছে বলে মনে করছেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান।

সাবেক সচিব এম এ এন সিদ্দিক প্রকল্পের শুরু থেকে একটা সময় পর্যন্ত ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আফতাব উদ্দিন তালুকদার লাইন-৬-এর প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। প্রকল্পের মান ও তদারকির দায়িত্ব তাঁদের হাতে থাকলেও দুজনই ‘নন-টেকনিক্যাল’ হওয়ায় ঠিকাদারি কাজের সম্ভাব্য ভুল কিংবা কারিগরি ত্রুটি শনাক্ত করতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রথম ঘটনার সুস্পষ্ট কারণ চিহ্নিত হয়নি

জানা গেছে, ২০২৪ সালে প্রথমবার প্যাড খুলে পড়ার পর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে পাঁচ থেকে সাতটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করলেও সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করতে পারেনি। এমআরটি লাইন-৬-এর সাবেক পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রথম প্যাড খুলে পড়ার পর জাপানি বিশেষজ্ঞরা ড্রোন ব্যবহার করে খতিয়ে দেখেছিলেন; কিন্তু এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা সম্ভব হয়নি। একটি প্যাডের ওপর প্রায় ২০০ টনের কংক্রিটের তৈরি ভায়াডাক্টের চাপ থাকে বলে এটি পড়ে যাওয়া খুবই অস্বাভাবিক।

আগেরবারের সেই তদন্ত কমিটির সদস্য ডিএমটিসিএলের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুল বাকী মিয়া বলেন, ওই সময় বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছিল। কী কী সুপারিশ করা হয়েছিল, এখন তা মনে নেই।

‘মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের’

প্যাডসহ সার্বিক বিষয়ে কী ভাবা হচ্ছে, জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘দু-তিন বছর পরপর প্যাড বদলানোর নিয়ম আছে। আমরা দেড় মাস পরপর মনিটরিং করছি। শর্ত অনুযায়ী মেরামতের দায়িত্ব এখনো ঠিকাদারের হাতে। ঠিকাদার ও পরামর্শক কাজ ঠিকমতো করেছেন কি না, আমরা তা দেখছি। প্রাথমিকভাবে দেখেছি, রোববার পড়ে যাওয়া প্যাডের গ্লু (আঠা) ছিল না। তবে কেন পড়েছে, তা তদন্তের পর বলা যাবে।’

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, প্যাড বসানোর সময় ত্রুটি, উপকরণটির নিম্নমান, রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি এবং ট্রেন চলাচলের সময় অতিরিক্ত কম্পন বা চাপ—এমন কোনো কারণে প্যাড পড়ে গেছে।

পুরো রুটে তিন মাস পরপর ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, ‘সমস্যা ডিজাইনে নয়। আমার মতে, এটি নির্মাণে ত্রুটি ও তদারকির ঘাটতির ফল। একই জায়গায় অল্প সময়ে দুবার এমন ঘটনা ঘটায় বোঝা যায়, ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। তাই পুরো প্রকল্পের নিরাপত্তা নিরীক্ষা করা জরুরি, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো শনাক্ত ও ঠিক করা যায়।’

তদন্ত কমিটির প্রধান যা বললেন

রোববারের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান, মেট্রোর সাবেক এমডি ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ গতকাল বলেন, ‘এখনই ঘটনার কারণ বলা যাচ্ছে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। আগের তদন্ত প্রতিবেদনও পর্যালোচনা করা হবে।’

মান যাচাই চেয়ে রিট

এদিকে মেট্রোরেল এবং সব ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। রিটে এসব স্থাপনায় ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাডের গুণগত মান যাচাই করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

২৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক মেট্রোরেল

ভারী প্যাড খুলে পড়ে পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রোরেলের বিঘ্নিত সেবা গতকাল বেলা ১১টা থেকে আবার স্বাভাবিকভাবে চালু হয়েছে। গতকাল দুপুরে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট পিলারের মাথায় নতুন করে প্যাড বসানোর পর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দক্ষিণের শেষ গন্তব্য মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর পর রোববার নিরাপত্তার কারণে প্রথমে ৩ ঘণ্টা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয় মেট্রোরেল। পরে দুই দফায় ফার্মগেট বাদ দিয়ে উভয় দিকে আংশিকভাবে সেবা চালু করা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলা করলেন মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী

জামায়াত আমিরের পাঁচ ঘণ্টার কর্মদিবস আদতে নারীর গায়েবি শিকল

ফেসবুকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য, তোপের মুখে ওসি

চট্টগ্রাম-৯ আসন: বিএনপিতে হেভিওয়েটের ধাক্কাধাক্কি

চট্টগ্রামে ওসি ও যুবদলের নেতা-কর্মীসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যা মামলা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত