Ajker Patrika

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে বাবার সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০: ৫৬
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে বাবার সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বাবা। সদর উপজেলার যশোদল মধুনগর এলাকার গৃহবধূ ঊর্মি আক্তার হত্যার বিচার ও মামলা রেকর্ডভুক্ত (এফআইআর) করার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর বাবা মো. সিজিল মিয়া।

আজ বুধবার দুপুরে শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে গৃহবধূর বাবা।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূর বাবা ও অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দীঘিরপাড় গ্রামের কৃষক মো. সিজিল মিয়া বলেন, ‘২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে আমার মেয়ে ঊর্মির বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের যশোদল মধ্যনগর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে। বিয়ের দুই বছর পর তাদের ঘরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য ঊর্মিকে নির্যাতন করত জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের কথা ঊর্মি আমাদের জানালে ব্যবসার জন্য জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা দিই। এরপর ঊর্মির ওপর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল।’ 

গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘জিল্লুর রহমান জুয়া খেলে ও নেশা করে জমি বিক্রি করে আমাদের দেওয়া চার লাখ টাকা নষ্ট করে ফেলে। কিছুদিন আগে আবার টাকা আনার জন্য ঊর্মিকে চাপ দেয় জিল্লুর। তখন ঊর্মি টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবারও তাকে জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করা শুরু করে। পরে নির্যাতনের কথা আমাদের জানায়। একপর্যায়ে গত ১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঊর্মিকে হত্যা করে নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে দেয় তারা।’

গৃহবধূর বাবা আরও বলেন, ‘মূলত টাকার জন্যই স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ঊর্মিকে হত্যা করে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করলে জিল্লুর ও তার বাবা মতিউর রহমান, মা সাহেরা খাতুন, ছোট ভাই আফজল, চাচাতো ভাই তামিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল কেন? ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় আমার মেয়ে হত্যার মামলা রেকর্ড হয়নি। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।’ 

অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সুরতহাল ও চিকিৎসকের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।’

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহবধূ ঊর্মি আক্তারের খালু মোসাদ্দেক হোসেন সোহেল, ভাই আল মোফাচ্ছর তন্ময়, শেখ সালমান, তিতাস চন্দ দাস, অমিত দাস প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত