নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একই সময় কাছাকাছি স্থানে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ডাকা নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা ছিলই। যদিও উভয় দলের পক্ষ থেকেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলা হচ্ছিল। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরব হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো তাদের নজরে রয়েছে ধরে নিয়ে সংঘাত না হওয়ার বিষয়ে আশাবাদীও ছিলেন সাধারণ মানুষ।
অবশ্য সমাবেশের দুই দিন আগে থেকেই সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জল ও স্থলপথে গণপরিবহনে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। ঢাকার প্রবেশমুখে মোড়ে মোড়ে বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষও।
শেষ পর্যন্ত সমাবেশ শান্তিপূর্ণ থাকল না। আজ শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্তই ছিল। তবে বেলা ২টা থেকে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রথমে কাকরাইলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশ উপর্যুপরি টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। প্রথমে বিএনপি কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশ পিছু হটলেও পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশের দিকে অগ্রসর হয়। দ্রুতই সমাবেশস্থল থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় থেমে থেমে চলতে থাকে সংঘর্ষ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত (৬টা ৩৪ মিনিট) রাজধানীর বিভিন্ন অংশে গাড়ি পোড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বিএনপির সমাবেশস্থল নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে শুরু করে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার পুলিশের একজন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টনে পুলিশ গুলি করেছে। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা যুবদলের এক নেতা হাসপাতালে মারা গেছেন।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকেরা এসব অঞ্চল থেকে জানিয়েছেন, রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই। কাকরাইল থেকে কমলাপুর ও পল্টন ফকিরাপুল এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেলা ১টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে টানা ছয় ঘণ্টা। এই এলাকার রাস্তায় এখন শুধু গাড়ির ধ্বংসাবশেষ, ইটপাটকেল, ব্যানার ও লাঠিসোঁটা পড়ে আছে।
এর আগে দুপুর ১২টায় রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় এলাকায় প্রধান বিচারপতির বাসার সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা একটি গাড়িতে করে বায়তুল মোকাররমের দিকে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির এক দেড় শ নেতা-কর্মীর একটি মিছিলকে লক্ষ্য করে গাড়ি থেকে টিজ করতে থাকেন গাজীপুর থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। রমনা থানার ওসি আবুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। পুলিশ উপর্যুপরি টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পাশেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও পড়ে ইটপাটকেল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে আসে নয়াপল্টনে সমাবেশস্থলে। সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের আন্তর্জাতিক বাস ডিপো অফিস, কমলাপুর মোড়ের পুলিশ বক্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটির আবর্জনা ব্যবস্থাপনা অফিসসহ একাধিক স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরপরই আশপাশে অফিস, যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের অন্তত সাতটি ময়লার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরামবাগ ও ফকিরাপুল এলাকায় দেখা যায়, পল্টন থেকে আরামবাগের দিকে চলে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছুড়ছে। পুলিশও তাঁদের প্রতিহত করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রয়েল কোচ পরিবহনের একটি বাস ও কমলাপুর রেলস্টেশনের ভেতরে থাকা একটি জিপে আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের তোপে মুখে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটে পুলিশ। রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় এলাকায় প্রধান বিচারপতি বাসভবনের সামনে বেলা সোয়া ১টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে ৷
কাকরাইলে বিকেল সাড়ে ৫টায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসটি কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরবর্তীকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ দুজন যুবক এসে বাসে পেট্রল ছিটিয়ে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বাস জ্বলতে থাকে। আগুন দেওয়ার পর ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল মোড় দিয়ে চলে যায়।
বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে আরামবাগ, কমলাপুর এলাকার শান্ত হতে শুরু করে। পুরো এলাকা পুলিশ, র্যাব ও আনসারদের নিয়ন্ত্রণে। সড়কে যাত্রীবাহী যানচলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে অল্প পরিমাণে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছিল। সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে। তাঁরা এসব যানবাহনে চলাচল করছেন। তবে কমলাপুর এলাকায় আগুন দেওয়া ভাঙচুর করা দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়নি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
একই সময় কাছাকাছি স্থানে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ডাকা নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা ছিলই। যদিও উভয় দলের পক্ষ থেকেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বলা হচ্ছিল। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরব হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো তাদের নজরে রয়েছে ধরে নিয়ে সংঘাত না হওয়ার বিষয়ে আশাবাদীও ছিলেন সাধারণ মানুষ।
অবশ্য সমাবেশের দুই দিন আগে থেকেই সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জল ও স্থলপথে গণপরিবহনে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। ঢাকার প্রবেশমুখে মোড়ে মোড়ে বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষও।
শেষ পর্যন্ত সমাবেশ শান্তিপূর্ণ থাকল না। আজ শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি অনেকটা শান্তই ছিল। তবে বেলা ২টা থেকে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রথমে কাকরাইলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে হাজির হয় পুলিশ। পুলিশ উপর্যুপরি টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। প্রথমে বিএনপি কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশ পিছু হটলেও পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশের দিকে অগ্রসর হয়। দ্রুতই সমাবেশস্থল থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়।
এরপর কাকরাইল থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তায় থেমে থেমে চলতে থাকে সংঘর্ষ। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত (৬টা ৩৪ মিনিট) রাজধানীর বিভিন্ন অংশে গাড়ি পোড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বিএনপির সমাবেশস্থল নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে শুরু করে ফকিরাপুল পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার পুলিশের একজন কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয়াপল্টনে পুলিশ গুলি করেছে। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা যুবদলের এক নেতা হাসপাতালে মারা গেছেন।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকেরা এসব অঞ্চল থেকে জানিয়েছেন, রাস্তায় কোনো গণপরিবহন নেই। কাকরাইল থেকে কমলাপুর ও পল্টন ফকিরাপুল এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বেলা ১টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে টানা ছয় ঘণ্টা। এই এলাকার রাস্তায় এখন শুধু গাড়ির ধ্বংসাবশেষ, ইটপাটকেল, ব্যানার ও লাঠিসোঁটা পড়ে আছে।
এর আগে দুপুর ১২টায় রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় এলাকায় প্রধান বিচারপতির বাসার সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা একটি গাড়িতে করে বায়তুল মোকাররমের দিকে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির এক দেড় শ নেতা-কর্মীর একটি মিছিলকে লক্ষ্য করে গাড়ি থেকে টিজ করতে থাকেন গাজীপুর থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এসে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। রমনা থানার ওসি আবুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। পুলিশ উপর্যুপরি টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পাশেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও পড়ে ইটপাটকেল। বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে আসে নয়াপল্টনে সমাবেশস্থলে। সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের আন্তর্জাতিক বাস ডিপো অফিস, কমলাপুর মোড়ের পুলিশ বক্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটির আবর্জনা ব্যবস্থাপনা অফিসসহ একাধিক স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ শেষ হওয়ার পর ওই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরপরই আশপাশে অফিস, যানবাহন ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের অন্তত সাতটি ময়লার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরামবাগ ও ফকিরাপুল এলাকায় দেখা যায়, পল্টন থেকে আরামবাগের দিকে চলে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল ছুড়ছে। পুলিশও তাঁদের প্রতিহত করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রয়েল কোচ পরিবহনের একটি বাস ও কমলাপুর রেলস্টেশনের ভেতরে থাকা একটি জিপে আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেলের তোপে মুখে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটে পুলিশ। রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড় এলাকায় প্রধান বিচারপতি বাসভবনের সামনে বেলা সোয়া ১টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে ৷
কাকরাইলে বিকেল সাড়ে ৫টায় একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসটি কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরবর্তীকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কারা আগুন দিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ দুজন যুবক এসে বাসে পেট্রল ছিটিয়ে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বাস জ্বলতে থাকে। আগুন দেওয়ার পর ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল মোড় দিয়ে চলে যায়।
বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে আরামবাগ, কমলাপুর এলাকার শান্ত হতে শুরু করে। পুরো এলাকা পুলিশ, র্যাব ও আনসারদের নিয়ন্ত্রণে। সড়কে যাত্রীবাহী যানচলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে অল্প পরিমাণে রিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করছিল। সাধারণ মানুষ পথে নেমেছে। তাঁরা এসব যানবাহনে চলাচল করছেন। তবে কমলাপুর এলাকায় আগুন দেওয়া ভাঙচুর করা দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়নি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রায়পুর থেকে যাত্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিল সিএনজি। রাখালিয়া বাজার এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছেড়ে আসা কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় তানিয়া আক্তার সাথী, ফারুক হোসেনসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা
২ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে নৌকা ডুবে অমি শেখ (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অমি শেখ ওই গ্রামের শাহীন শেখের ছেলে। সে শ্রীনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
৫ মিনিট আগেসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চাঁদপুরের মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানানো হয়, আজ শুক্রবার বিকেলে জোয়ারের সময় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৪ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। নদীর পানি তখন বিপৎসীমার চেয়ে ৪ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার ওপরে
৯ মিনিট আগেউত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের জন্য টাঙ্গাইলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ মিনিট আগে