Ajker Patrika

বাসমালিকদের সুবিধা দিতে যাত্রীদের কথা চিন্তা করা হয় না: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাসমালিকদের সুবিধা দিতে যাত্রীদের কথা চিন্তা করা হয় না: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সরকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো মিলে-মিশে একাকার হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন সেক্টর পরিচালনা করার কারণে এই সেক্টরে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

আজ বুধবার নগরীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রীদের অধিকার চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এই অভিযোগ করেন। যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় বক্তারা বলেন, ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল এ দেশে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ধারাবাহিকভাবে ৩ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় যোগাযোগ সেক্টরের অবকাঠামো বিনির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ততটা পিছিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রতি বছর সড়কে ২৪,৯৫৪ জনের প্রাণহানি ঘটছে। 

সভায় বক্তারা বলেন, যাত্রী সাধারণের সঙ্গে সরকারের কার্যকর যোগাযোগের উপায় না থাকায়, নানাভাবে হয়রানির শিকার দেশের যাত্রীরা প্রতিকার পায় না। এতে দেশের যাত্রী সাধারণ অসহায় হয়ে পড়েছে। দেশের যোগাযোগ সেক্টরে অবকাঠামো নির্মাণে লাখো কোটি টাকা ব্যয় হলেও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের শহর ও শহরতলিতে যাতায়াতের জন্য মানসম্মত কোনো গণপরিবহন নেই। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে মালিকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রেতা ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে বাস মালিকদের সংখ্যা অনুপাতে যাত্রী বা ভোক্তা প্রতিনিধি রাখার বিধান থাকলেও নতুন সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বাস ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে মালিক-শ্রমিক সরকার মিলে মিশে ভাড়া নির্ধারণ করছে। এতে করে কখনো কখনো সরকার বাস মালিকদের পকেটে ঢুকে পড়ে ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই যাত্রী তথা জনস্বার্থে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ সংশোধন পূর্বক বাস ও গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ কমিটিতে বাস মালিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার বিধান সংযুক্ত করার দাবি জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, বাসের রুট পারমিট অনুযায়ী বাসের সিলিং নির্ধারণ, ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ, বাসস্টপেজ নির্ধারণ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং কমিটি, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিল, বিআরটিএ, বিআরটিসি, সওজ, মেট্রোরেল পরিচালনা পর্ষদ, যাবতীয় টোল নির্ধারণ, পরিবহন আইন ও বিধিবিধান তৈরি ও সংশোধন, সংযোজনে, যাত্রী সাধারণের জন্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণের প্রতিটি কমিটিতে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮তে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। 

সভায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পাটির সংসদ সদস্য লুৎফুন্নেছা খানম বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে আইনি সুরক্ষা প্রয়োজন। অথচ সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী স্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার দাবি তুলছি। ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করছি। অথচ সরকার সড়ক পরিবহন আইনে যাত্রী সাধারণের মতামত ও অংশগ্রহণের সুযোগ রাখেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত