নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি সংবাদদাতা
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছিটানোসহ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সড়ক অবরোধমুক্ত হলেও বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ এলাকা ছাড়েননি।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে শাহবাগে মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের বাঁ পাশের সড়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা এবং ডান পাশের সড়কে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রাখা জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বেলা পৌনে ৩টার দিকে সেখানে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কে আবারও অবস্থান নেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কটি ছাড়া শাহবাগের মোড়ের অন্য সড়কগুলো যানজটমুক্ত হয়।
তৃতীয় ধাপে মনোনীত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক। এই সরকারই তাঁদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে আবার সেটা বাতিল করেছে। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই রায় বাতিল করে নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান তাঁরা।
আন্দোলনরত তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা শিক্ষক নিয়োগের প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে অতিক্রম করে শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছি। কিন্তু ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আমাদের নিয়োগ স্থগিত করার রায় দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকারের জন্য এখানে এসেছি। দ্রুত আমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করে দাবি পূরণ করতে হবে। আমরা দাবি পূরণ না হলে ঘরে ফিরে যাব না।’
জানজিদা ইতু নামের একজন বলেন, ‘আমাদেরকে সুপারিশ করার পরও বাতিল করেছে। এটা সাড়ে ছয় হাজার সুপারিশপ্রাপ্তদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। আমরা দ্রুত নিয়োগপত্র চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।’
ফাতেমা আক্তার নামে একজন বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খলা করতে আসি নাই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবি নিয়ে সড়কে নেমেছি। আমাদের নারীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে ও টিয়ার শেল মেরেছে।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. আমিনুল ইসলাম নামে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছি। নিবন্ধিত হয়েও আমাদের কোনো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ হচ্ছে। তাই নিয়োগের দাবি নিয়ে সারা দেশ থেকে জড়ো হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক জি এম ইয়াছিন বলেন, ‘এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।’
রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছিটানোসহ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সড়ক অবরোধমুক্ত হলেও বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ এলাকা ছাড়েননি।
আজ সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে শাহবাগে মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, শাহবাগ মোড়ের বাঁ পাশের সড়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা এবং ডান পাশের সড়কে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রাখা জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বেলা পৌনে ৩টার দিকে সেখানে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষকেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কে আবারও অবস্থান নেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী সড়কটি ছাড়া শাহবাগের মোড়ের অন্য সড়কগুলো যানজটমুক্ত হয়।
তৃতীয় ধাপে মনোনীত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক। এই সরকারই তাঁদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে আবার সেটা বাতিল করেছে। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই রায় বাতিল করে নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান তাঁরা।
আন্দোলনরত তানিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা শিক্ষক নিয়োগের প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে অতিক্রম করে শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছি। কিন্তু ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে আমাদের নিয়োগ স্থগিত করার রায় দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকারের জন্য এখানে এসেছি। দ্রুত আমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করে দাবি পূরণ করতে হবে। আমরা দাবি পূরণ না হলে ঘরে ফিরে যাব না।’
জানজিদা ইতু নামের একজন বলেন, ‘আমাদেরকে সুপারিশ করার পরও বাতিল করেছে। এটা সাড়ে ছয় হাজার সুপারিশপ্রাপ্তদের সঙ্গে অন্যায় করেছে। আমরা দ্রুত নিয়োগপত্র চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়ব না।’
ফাতেমা আক্তার নামে একজন বলেন, ‘আমরা বিশৃঙ্খলা করতে আসি নাই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবি নিয়ে সড়কে নেমেছি। আমাদের নারীদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে ও টিয়ার শেল মেরেছে।’
আন্দোলনে অংশ নেওয়া মো. আমিনুল ইসলাম নামে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছি। নিবন্ধিত হয়েও আমাদের কোনো নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ হচ্ছে। তাই নিয়োগের দাবি নিয়ে সারা দেশ থেকে জড়ো হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’
এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক জি এম ইয়াছিন বলেন, ‘এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নানা উন্নয়নকাজ একটি সংঘবদ্ধ চক্র (সিন্ডিকেট) দখল করে নিচ্ছে। পদ না থাকলেও বিএনপি নামধারী কয়েক নেতা করপোরেশনের লাখ লাখ টাকার কাজগুলো করেছে বলে অভিযোগ করেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবারও দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের নির্ধারিত সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পাউবোর দাবি, জেলায় বাঁধের কাজ গড়ে ৮৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে আরও সাত
৪ ঘণ্টা আগেইজমা শোভা জর্দা কোম্পানি। দেশি এই জর্দা কোম্পানির মালিক মঞ্জু মিয়া। তিনি জেলার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠজন। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মঞ্জু মিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার জাফরাবাদ ও কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী দেওয়ানগঞ্জ বাজার সেতুর পশ্চিমে নরসুন্দা নদীর মূল গতিপথের
৪ ঘণ্টা আগেশুরুর মতো এবারের বইমেলার শেষ দিনটিও ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। গতকাল শুক্রবার তাই সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। শিশুপ্রহরে বাচ্চাদের দল এসেছিল পরিবারের সঙ্গে। ক্রমে বেলা বাড়তেই বড়দের ভিড় লেগে যায়। এক বছরের জন্য বিদায় নিচ্ছে বইমেলা, তাই ভিড় ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
৪ ঘণ্টা আগে