Ajker Patrika

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ডাক্তার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮: ৩৫
Thumbnail image

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ পরীক্ষার ডাক্তার সাক্ষ্য দেন। 

সাক্ষ্য প্রদান করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এসএম সফিকুল ইসলাম এবং ডিএনএ পরীক্ষা নেওয়া চিকিৎসক রবিউল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন। 

সাক্ষ্যের বিষয়ে রকিব উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ডিএনএ টেস্টের ডাক্তার রবিউল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন রয়েল রিসোর্টের  ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে জব্দ করা তোয়ালের মধ্যে স্পার্ম এর সঙ্গে মামুনুল হকের  স্পার্ম এর মিল পাওয়া গেছে। 

অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনার দিন রিসোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আলামত জব্দ করা হয়। মামুনুল হকের দাবিকৃত স্ত্রী সবার সামনেই স্বীকার করেছেন যে মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রয়েলে রির্সোটের ৫০১ নম্বর কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে আদালতে মোট ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, দুজন সাক্ষীকে আদালতে জেরা করার সময় তারা অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। ডিএনএ টেস্টের ডাক্তার রবিউলকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার সঙ্গে ডিএনএ টেস্ট করার সময় আর কোন কোন ডাক্তার সঙ্গে ছিল? তিনি বলেছেন আরও দুজন ডাক্তার তার সঙ্গে ছিল। আমরা স্বাক্ষর দেখতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। এতেই স্পষ্ট হয় মাওলানা মামুনুল হককে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। 

এর আগে সকালে সাড়ে নয়টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয় মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত