Ajker Patrika

গ্রামীণ সড়কে চলছে মহাসড়কের যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
গ্রামীণ সড়কে চলছে মহাসড়কের যানবাহন, ঘটছে দুর্ঘটনা

শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের ভারী যানবাহন গ্রামীণ সড়কে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এতে স্থানীয়রা সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন। কিন্তু মাত্র ৪ বছর আগে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের সংস্কার করা হয়েছিল। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভেদরগঞ্জ উপজেলার শাজাহানপুর এলাকা থেকে ভেদরগঞ্জ টেকের বাজার ও নারায়ণপুর হয়ে কাশিমপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়কটি একেবারে খানাখন্দে ভরে গেছে। গত ৪ বছর আগে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের সংস্কার করা হয়েছিল। ঠিকাদার ঢিলেঢালাভাবে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় বছর না পেরোতেই আবার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। তাই এলজিইডির নির্মিত সড়ক দিয়ে ভারী ট্রাক এবং গণপরিবহনগুলো ভেদরগঞ্জ টু সখিপুর গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। গাড়িগুলো ভেদরগঞ্জ থেকে সখিপুর হয়ে কাশিমপুর এলাকা দিয়ে আবার মহাসড়কে উঠে। 

সম্প্রতি গত ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে মাছ নিয়ে কাভার্ডভ্যান এ পথ দিয়ে আসার সময় ডিএমখালি ইউনিয়নের পায়াতলী গ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালকের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সখিপুর থানা-পুলিশ। পরে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোড়ালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কটির অর্ধাংশ ভেঙে গিয়েছে। 

শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চার লেনে নির্মাণ করা হচ্ছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক। জমির অধিগ্রহণের জটিলতায় সড়কটির কাজ শতভাগ করা সম্ভব হচ্ছে না। থমকে আছে অধিকাংশ সড়কের কাজ। চার লেন সড়কের কাজ শুরু হওয়ায় শরীয়তপুর-চাদপুর মহাসড়কের মেরামতের জন্য কোনো বরাদ্দও নেই। মহাসড়কটির সংস্কারের অভাবে বেহাল সড়ক দিয়েই পাড়ি দিচ্ছে গাড়িগুলো। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ভেদরগঞ্জ উপজেলার পূর্বদিকে বড় ব্রিজে সব সময় দীর্ঘ লাইনে গাড়ির যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ি ওভারপাস করতে গিয়ে ব্রিজের উত্তর পাশের রেলিংটি অনেকাংশ ভেঙে গেছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মামুন দালাল বলেন, এই চিকন সড়ক দিয়ে যদি ভারী গাড়ি চলে তাহলে কি তা ভালো থাকে? আর গাড়িগুলোও বেপরোয়া গতিতে চালায়। এতে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। গত কয়েক দিন আগেও একজন মারা গেছেন। তাই এই চিকন সড়ক দিয়ে গাড়ি যেন না চলতে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ দাবি জানাচ্ছি। 

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা (এলজিইডি) অনুপম বলেন, ‘আমাদের অর্থায়নে নির্মিত ভেদরগঞ্জ টু সখিপুর সড়কের ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ টন। তবে শরীয়তপুর-চাঁদপুরের মহাসড়কে যে যানবাহনগুলো চলে সেগুলো সর্বনিম্ন ৪০ টন ওজন নিয়ে যাতায়েত করে। তাই আমাদের তৈরি গ্রামীণ সড়কে এ যেন মশার ওপর হাতির পারা বলে মনে হয়। আমরা দুই-তিন মাস ধরে সড়কটির মুখে লোহার পাইপ দিয়ে ব্যারিকেড দেই। তবে ব্যারিকেড ভেঙে চালকেরা ঢুকে পড়ছে। তাই সড়ক রক্ষার্থে আগামীতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূঁইয়া রেদওয়ানুর রহমান বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর চার লেনের সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। তাই পুরোনো সড়কটিতে কোনো বরাদ্দ নেই। এ কারণে সড়কটির বেহাল দশা। 

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ভেদরগঞ্জ সখিপুরের এলজিইডির সড়ক দিয়ে মহাসড়কের গাড়ি যাওয়ার এখতিয়ার নেই। আর চার লেনের সড়কটি হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত