ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে শাহ ফরিদ হাউজিং কোম্পানির আবাসন প্রকল্প ‘নাহার গার্ডেন’ নামে একটি বহুতল ভবনের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ওমর আলী খান।
রোববার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ভবনে কর্মরত কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বাধা দেন।
জানা গেছে, শহরের ঝিলটুলী এলাকার সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সামনের এই নির্মাণাধীন ভবনটি মো. ওমর আলী খানের মালিকানাধীন। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন নাহার গার্ডেন প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। ছয় মাসের জন্য দেওয়া ওই স্থিতাবস্থার আদেশ লঙ্ঘন করে কাজ চালিয়ে যান ওমর আলী।
পরবর্তীকালে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশ এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। তবু নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, গত ২৫ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে অনুমোদনহীনভাবে নাহার গার্ডেন ভবনের নির্মাণকাজ চালানোয় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘শাহ ফরিদ রিয়েল স্টেটের নির্মাণাধীন নাহার গার্ডেন ভবনের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া নির্মাণকাজ শুরু করার সুযোগ নেই। আইন অমান্য করে যদি তারা কাজ চালায়, তাহলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, ‘ভবনের অনুমোদন-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ জন্য নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে তারা আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। নিয়ম মেনে না চললে আবারও নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, ঝিলটুলী এলাকার মরহুমা বেগম নুরুন্নাহার বানুর মালিকানাধীন ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ জমির ওপর নাহার গার্ডেন নামে ১০তলা ভবন নির্মাণের জন্য শাহ ফরিদ রিয়েল স্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন তাঁর মেয়েরা। নুরুন্নাহার বানু ১৯৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৯ কন্যাসন্তান রেখে মারা যান।
২০০৯ সালে নুরুন্নাহার বানুর ভাইয়ের ছেলেরা—সৈয়দ জাহেদ আলী, সৈয়দ লিয়াকত আলী ও সৈয়দ মোফাক্কার আলী—ফরিদপুরের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে আফসা সম্পত্তি দাবিতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় নুরুন্নাহার বানুর কন্যাদের—আপ্তাবুন্নাহার সেলিনা বানু, ফরিদুন্নাহার আকলিমা বানু, জেকুয়ারা বানু, খলিফা বানু, পিয়ারা বানু, আফরোজা বানু প্রমুখকে। মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সৈয়দ লিয়াকত আলী বলেন, ‘আদালতে বিচারাধীন জমিতে ডেভেলপমেন্ট চুক্তি আইনবহির্ভূত। আদালতের আদেশ অমান্য করে ওমর আলী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
অন্যদিকে, নুরুন্নাহার বানুর নাতি মো. খালেদ বলেন, ‘আমাদের জমি নিয়ে কারও সঙ্গে মামলা নেই। যদি মামলা থাকে, সেটা ওমর আলীর বিরুদ্ধে। জমির বিষয়ে আমরা ওমর আলীর সঙ্গে চুক্তি করেছি। আদালত ও প্রশাসনের আদেশ তার বিরুদ্ধে। সে নিজে তার সমস্যার সমাধান করবে। আমরা আমাদের চুক্তির হিসাব ওমর আলীর কাছ থেকেই নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর আলী খান বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে কাজ বন্ধ করার পর আমরা যোগাযোগ করে নির্মাণকাজ আবার শুরু করেছি। আদালতের যে স্থিতাবস্থার আদেশ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হবে।’
ফরিদপুরে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ চলছে শাহ ফরিদ হাউজিং কোম্পানির আবাসন প্রকল্প ‘নাহার গার্ডেন’ নামে একটি বহুতল ভবনের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ওমর আলী খান।
রোববার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ভবনে কর্মরত কয়েক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বাধা দেন।
জানা গেছে, শহরের ঝিলটুলী এলাকার সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সামনের এই নির্মাণাধীন ভবনটি মো. ওমর আলী খানের মালিকানাধীন। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন নাহার গার্ডেন প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। ছয় মাসের জন্য দেওয়া ওই স্থিতাবস্থার আদেশ লঙ্ঘন করে কাজ চালিয়ে যান ওমর আলী।
পরবর্তীকালে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশ এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়। তবু নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে, গত ২৫ এপ্রিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে অনুমোদনহীনভাবে নাহার গার্ডেন ভবনের নির্মাণকাজ চালানোয় সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘শাহ ফরিদ রিয়েল স্টেটের নির্মাণাধীন নাহার গার্ডেন ভবনের কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া নির্মাণকাজ শুরু করার সুযোগ নেই। আইন অমান্য করে যদি তারা কাজ চালায়, তাহলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান বলেন, ‘ভবনের অনুমোদন-সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ জন্য নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে তারা আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। নিয়ম মেনে না চললে আবারও নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, ঝিলটুলী এলাকার মরহুমা বেগম নুরুন্নাহার বানুর মালিকানাধীন ২৬ দশমিক ১৩ শতাংশ জমির ওপর নাহার গার্ডেন নামে ১০তলা ভবন নির্মাণের জন্য শাহ ফরিদ রিয়েল স্টেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন তাঁর মেয়েরা। নুরুন্নাহার বানু ১৯৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৯ কন্যাসন্তান রেখে মারা যান।
২০০৯ সালে নুরুন্নাহার বানুর ভাইয়ের ছেলেরা—সৈয়দ জাহেদ আলী, সৈয়দ লিয়াকত আলী ও সৈয়দ মোফাক্কার আলী—ফরিদপুরের যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে আফসা সম্পত্তি দাবিতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয় নুরুন্নাহার বানুর কন্যাদের—আপ্তাবুন্নাহার সেলিনা বানু, ফরিদুন্নাহার আকলিমা বানু, জেকুয়ারা বানু, খলিফা বানু, পিয়ারা বানু, আফরোজা বানু প্রমুখকে। মামলাটি এখনো আদালতে বিচারাধীন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সৈয়দ লিয়াকত আলী বলেন, ‘আদালতে বিচারাধীন জমিতে ডেভেলপমেন্ট চুক্তি আইনবহির্ভূত। আদালতের আদেশ অমান্য করে ওমর আলী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।’
অন্যদিকে, নুরুন্নাহার বানুর নাতি মো. খালেদ বলেন, ‘আমাদের জমি নিয়ে কারও সঙ্গে মামলা নেই। যদি মামলা থাকে, সেটা ওমর আলীর বিরুদ্ধে। জমির বিষয়ে আমরা ওমর আলীর সঙ্গে চুক্তি করেছি। আদালত ও প্রশাসনের আদেশ তার বিরুদ্ধে। সে নিজে তার সমস্যার সমাধান করবে। আমরা আমাদের চুক্তির হিসাব ওমর আলীর কাছ থেকেই নেব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর আলী খান বলেন, ‘প্রশাসনের নির্দেশে কাজ বন্ধ করার পর আমরা যোগাযোগ করে নির্মাণকাজ আবার শুরু করেছি। আদালতের যে স্থিতাবস্থার আদেশ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হবে।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে দিনভর ছিল স্থবিরতা। এর প্রভাব পড়েছে নগরের অন্যান্য অংশে। প্রবেশমুখ-সংলগ্ন সড়কগুলোতে তীব্র যানজট থাকলেও অন্যত্র ছিল গণপরিবহনের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি এখন গ্রাহকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে একসময় নেওয়া ফোন সংযোগ এখন অধিকাংশ গ্রাহকের না থাকলেও প্রতি মাসে গুনতে হচ্ছে বিল। অন্যদিকে অল্প কয়েকটি ইন্টারনেট সংযোগেও সেবার...
২ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাটের কালাই উপজেলার এলজিইডির সড়ক প্রশস্তকরণ ও দৃঢ়ীকরণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের উপকরণ, সঠিকভাবে সেতু (সাঁকো) নির্মাণ না করা, এমনকি তিন ফসলি জমির মাটি খননযন্ত্র দিয়ে কেটে রাস্তার সাইড ফিলিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগে৫০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুট প্রস্থের র্যাটহোল (পরিত্যক্ত সুড়ঙ্গ)। কখনো হামাগুড়ি, কখনো নুয়ে হেঁটে র্যাটহোলে ঢুকে গাঁইতি, শাবল, বেলচা দিয়ে টুকরো টুকরো কয়লা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে আসেন শ্রমিকেরা। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে কয়লা সংগ্রহের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। সীমান্তের ওপার থেকে কয়লা আনতে গিয়ে সরকারি হিসাবেই...
২ ঘণ্টা আগে