নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জবাবদিহিমূলক সরকার না থাকলে শিক্ষায় বাজেট কম থাকে। যেসব দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার রয়েছে সেসব দেশে শিক্ষায় বরাদ্দ থাকে বেশি। সরকার কতটা মানবিক, কতটা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন তাঁর ওপর নির্ভর করে সরকার শিক্ষাকে কতটা মূল্যায়ন করবে।
আজ শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শিক্ষক শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের গতিধারা ও তার পরিণতি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।
সেমিনারের প্রারম্ভিক আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা নির্ধারণের প্রধান সূচক হলো শিক্ষা খাতের অগ্রগতি। কিন্তু আমাদের এখানে শিক্ষা খাতকে বেছে নেওয়া হয় ধাক্কা সামলানোর খাত হিসেবে। জবাবদিহিমূলক সরকারের অনুপস্থিতিই শিক্ষা খাতে নিম্ন বরাদ্দের অন্তর্নিহিত কারণ।’
২০০০ সালে যেখানে শিক্ষায় জাতীয় আয়ের ২০.৪৯ শতাংশ ব্যয় করা হতো সেখানে ২০১৯ সালে শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের ৯.২৭ শতাংশ ব্যয় করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের ঘাটতির প্রতিফলনই হলো এই দৈন্যদশা।’
এ সময় তিনি শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের ২৫ শতাংশ এবং জিডিপির ৭ ভাগ বরাদ্দের দাবি জানান।
সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষা খাতে লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নের ফলে এ খাতটি দাঁড়াতে পারছে না। বাজেট হওয়ার আগে শিক্ষা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত কখনোই নেওয়া হয় না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি বিশ্বমানের শিক্ষা ও শিক্ষক নিশ্চিত করতে হয় তাহলে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। তা না হলে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও একসময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক ও অর্থনৈতিক দুইরকম সমস্যাই তৈরি হয়ে গেছে। সরকার আমাদের মনমতো সিলেবাস, বাজেট করবে না। এই বাজেট ব্যয়ের সময় আবার নানান দুর্নীতি হবে। তাই সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পতিত পাবন, অধ্যক্ষ আকমল হোসেনসহ প্রমুখ।
জবাবদিহিমূলক সরকার না থাকলে শিক্ষায় বাজেট কম থাকে। যেসব দেশে জবাবদিহিমূলক সরকার রয়েছে সেসব দেশে শিক্ষায় বরাদ্দ থাকে বেশি। সরকার কতটা মানবিক, কতটা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন তাঁর ওপর নির্ভর করে সরকার শিক্ষাকে কতটা মূল্যায়ন করবে।
আজ শনিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শিক্ষক শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের গতিধারা ও তার পরিণতি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন আলোচকেরা।
সেমিনারের প্রারম্ভিক আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা নির্ধারণের প্রধান সূচক হলো শিক্ষা খাতের অগ্রগতি। কিন্তু আমাদের এখানে শিক্ষা খাতকে বেছে নেওয়া হয় ধাক্কা সামলানোর খাত হিসেবে। জবাবদিহিমূলক সরকারের অনুপস্থিতিই শিক্ষা খাতে নিম্ন বরাদ্দের অন্তর্নিহিত কারণ।’
২০০০ সালে যেখানে শিক্ষায় জাতীয় আয়ের ২০.৪৯ শতাংশ ব্যয় করা হতো সেখানে ২০১৯ সালে শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের ৯.২৭ শতাংশ ব্যয় করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের ঘাটতির প্রতিফলনই হলো এই দৈন্যদশা।’
এ সময় তিনি শিক্ষা খাতে জাতীয় আয়ের ২৫ শতাংশ এবং জিডিপির ৭ ভাগ বরাদ্দের দাবি জানান।
সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষা খাতে লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নের ফলে এ খাতটি দাঁড়াতে পারছে না। বাজেট হওয়ার আগে শিক্ষা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত কখনোই নেওয়া হয় না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি বিশ্বমানের শিক্ষা ও শিক্ষক নিশ্চিত করতে হয় তাহলে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে। তা না হলে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থাও একসময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক ও অর্থনৈতিক দুইরকম সমস্যাই তৈরি হয়ে গেছে। সরকার আমাদের মনমতো সিলেবাস, বাজেট করবে না। এই বাজেট ব্যয়ের সময় আবার নানান দুর্নীতি হবে। তাই সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পতিত পাবন, অধ্যক্ষ আকমল হোসেনসহ প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) খাল খননের প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী মাটি না কেটে কাজ শেষ করেছেন ঠিকাদার। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ৷ গত ২৩ দিনে জেলায় শিক্ষার্থী, কৃষকসহ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কৃষকের সংখ্যা বেশি। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, খোলা স্থানে কাজ করা মানুষ বজ্রপাতে বেশি মারা যাচ্ছে; বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে খোলা জায়গায় মানুষজন কাজ করার কারণে সেখানে হতাহতের...
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল চালু করতে ৯ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় প্রায় দেড় বছর আগে। কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ এখনো দেওয়া হয়নি এবং বসেনি লিফট। এতে করে পুরোনো ভবনে ১০০ শয্যা নিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। সেখানে অধিকাংশ সময় রোগী ভর্তি থাকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। শয্যা না পেয়ে রোগীদের থাকতে হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ নভেরা আহমেদ। গত শতকের ষাটের দশকে তখনকার পূর্ববঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পকে পরিচিত করে তোলার কাজটি শুরু করেছিলেন নিজের ভিন্নধর্মী কাজ দিয়ে। নিভৃতচারী এ শিল্পী একপর্যায়ে স্থায়ীভাবে পাড়ি জমান অন্যতম শিল্পতীর্থ ফ্রান্সে। নারী এই ভাস্করকে নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন...
৩ ঘণ্টা আগে