Ajker Patrika

ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে শত বিঘার ধানখেত

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি 
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ইটভাটার কারণে খেতের ধান নষ্ট হচ্ছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ইটভাটার কারণে খেতের ধান নষ্ট হচ্ছে বলে কৃষকেরা অভিযোগ করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মেসার্স যমুনা ব্রিক্সস ফিল্ড নামের একটি ইটভাটা থেকে নির্গত গরম বাতাস ও কালো ধোঁয়ায় ৭৫ কৃষকের প্রায় ১০০ বিঘা খেতের ধান নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষকেরা সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে ক্ষতিপূরণ ও ইটভাটা বন্ধের দাবিতে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার দুপুরে ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিকে এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলার ফুকুরহাটী ইউনিয়নের হরগজ মৌজায় তিন ফসলি ভূমিতে দীর্ঘদিন ধরে মেসার্স যমুনা ব্রিকস ফিল্ড নামের ইটভাটাটি পরিচালিত হয়ে আসছে।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. মোহর আলী বলেন, ‘আমার প্রজেক্টের সাত বিঘা ধানখেত পুড়ে গেছে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে, ওই ধানে চিটা ধরেছে। আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছি।’ কথা হয় হরগজ পূর্ব নগরের শামীম নামের এক কৃষকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘২৭ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। চোখের সামনে ওই ইটভাটার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি আমার ধান নষ্টের ক্ষতিপূরণ চাই।’

আরেক কৃষক হরগজ গোসাইনগরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘১৫ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এবার যে ক্ষতি হয়েছে, পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। ইটভাটার বাতাসের কারণে আমার এই সর্বনাশ হয়েছে। আমি এর ক্ষতিপূরণ চাই।’ তিনি অভিযোগ করেন, এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সমাধান পাননি। তিন ফসলি জায়গায় ওই ইটভাটা কীভাবে চলছে এবং স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কেন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাহাঙ্গীর আলম।

মো. হালিম নামের আরেক ভুক্তভোগী কৃষক বলেন, ‘আমার ধানখেত পুড়ে গেছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার। ক্ষতিপূরণ ও ওই ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনও অফিসে গিয়েছিলাম। উনি বলেছেন, একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এক দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নিবেন।’

অভিযোগের ব্যাপারে মেসার্স যমুনা ব্রিকসের মালিকপক্ষ আবুল কালামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।

সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষকের ধানখেতের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, সে ব্যাপারে কাজ চলমান রয়েছে।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়ার ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটিকে এক কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের অফিসে আগুন নেভাতে গিয়ে কোরআন শরিফ দেখেননি, দাবি ফায়ার সার্ভিসের

দিনাজপুরে নিহত মাইক্রোবাস-আরোহীদের সবাই সরকারি কর্মকর্তা

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স: রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে আসন নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

ফরিদপুরে গাড়ির চাকায় ছিন্নভিন্ন অজ্ঞাত ব্যক্তি, অক্ষত শুধু পায়ের জুতা

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর: উপদেষ্টা ফারুকী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত