Ajker Patrika

হত্যা করে হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালানোর অভিযোগ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১০: ৩৭
হত্যা করে হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালানোর অভিযোগ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করে হাসপাতালে রেখে পালানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে গৃহবধূর পরিবার। তবে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত যুবক নিজেই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সদর হাসপাতালে। 

মৃত গৃহবধূর নাম কানিজ ফাতেমা শিলা (২২)। তিনি উপজেলার হরগজ ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের  রাশেদের মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কানিজ ফাতেমার স্বামী রাইসুল ইসলাম রাজা (৩০)। তিনি সদর উপজেলার ভুয়ানীয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। 

মৃতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত রাইসুল ইসলাম রাজা তাঁর শ্বশুরকে মোবাইল ফোনে জানান, শিলা অসুস্থ, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে শিলার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। মাগরিবের নামাজের শেষে উপজেলার হরগজ কবরস্থানে মৃত শিলার মরদেহ দাফন করা হয়। 

মৃত শিলার বড় চাচা ওমর আলী বলেন, ‘প্রায় সাত বছর আগে আমার ভাতিজি শিলার সঙ্গে বিয়ে হয় রাইসুল ইসলাম রাজার। বিয়ের পর থেকেই আমার ভাতিজিকে সে (রাজা) শারীরিক নির্যাতন করত। এ জন্য কয়েক দফায় বিচার-সালিশ করেছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওরা আমার ভাতিজিকে মেরেই ফেলল।’ 
 
মৃতের বাবা রাশেদ বলেন, ‘বিয়ের সময় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। পরে আমার মেয়ের জামাই রাজা ব্যবসা করার জন্য আরও ৫ লাখ টাকা চায়। টাকা দিতে পারিনি বলেই ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমার তিন বছরের নাতি ফুহাতকে মা-হারা করেছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’ 

এদিকে অভিযুক্ত রাইসুল ইসলাম রাজার বাবা লুৎফর রহমান জানান, তাঁর ছেলের স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ 

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত