নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একজন হিসাবরক্ষকের ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআর করা ও আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ সাতজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন তাদের জামিন দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন—মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীণা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়া।
সকালে সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিকেলে শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে জামিন দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে জামিন দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, একজন হিসাব রক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া। এ কারণে আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপপরিচালক শারিকা ইসলাম। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ঈসমাইল। একজন করণিকের নামে কীভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার এফডিআর থাকতে পারে, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পুরো টাকা কলেজের বলে দাবি করে আসছিল, তবে টাকার যথাযথ হিসাব দিতে তারা ব্যর্থ হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আকরাম মিয়ার পাশাপাশি আসামি হিসেবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আকরাম মিয়ার নামে বেসিক ব্যাংকের মাতুয়াইল শাখায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি এফডিআর হিসাব খোলা হয়।
হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৪ টাকা স্থিতি রয়েছে। কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে ব্যাংকে ওই টাকার এফডিআর হিসাব থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত। এমনকি ওই টাকা আকরাম মিয়ার অন্যান্য হিসাব থেকেই স্থানান্তরিত হয়েছে।
আকরাম মিয়া ২০১০ সালের ১ জুন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক পদে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে যোগদান করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বসাকল্যে বেতন পান ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। যা বেসিক ব্যাংকের এফডিআর হিসাবে জমা হওয়া ওই টাকার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো রাখার বিষয়ে তিনি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গভর্নিং বডির কোনো অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র প্রদান করতে পারেনি। তা ছাড়া কলেজের আয়-ব্যয় খাতওয়ারি হিসাবভুক্ত করে কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার বিধান রয়েছে, তা কোনো কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসাবে রাখার সুযোগ নেই।
২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তফসিল ব্যাংকে হিসাব থাকবে, যা গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত সদস্যসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আকরাম মিয়া এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
একজন হিসাবরক্ষকের ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআর করা ও আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ সাতজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন তাদের জামিন দেন।
জামিনপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন—মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীণা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়া।
সকালে সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিকেলে শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে জামিন দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে জামিন দেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, একজন হিসাব রক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া। এ কারণে আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপপরিচালক শারিকা ইসলাম। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ঈসমাইল। একজন করণিকের নামে কীভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার এফডিআর থাকতে পারে, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক। কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্তরা পুরো টাকা কলেজের বলে দাবি করে আসছিল, তবে টাকার যথাযথ হিসাব দিতে তারা ব্যর্থ হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে আকরাম মিয়ার পাশাপাশি আসামি হিসেবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আকরাম মিয়ার নামে বেসিক ব্যাংকের মাতুয়াইল শাখায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি এফডিআর হিসাব খোলা হয়।
হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৪ টাকা স্থিতি রয়েছে। কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে ব্যাংকে ওই টাকার এফডিআর হিসাব থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত। এমনকি ওই টাকা আকরাম মিয়ার অন্যান্য হিসাব থেকেই স্থানান্তরিত হয়েছে।
আকরাম মিয়া ২০১০ সালের ১ জুন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক পদে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে যোগদান করেন। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বসাকল্যে বেতন পান ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা। যা বেসিক ব্যাংকের এফডিআর হিসাবে জমা হওয়া ওই টাকার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো রাখার বিষয়ে তিনি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গভর্নিং বডির কোনো অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র প্রদান করতে পারেনি। তা ছাড়া কলেজের আয়-ব্যয় খাতওয়ারি হিসাবভুক্ত করে কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার বিধান রয়েছে, তা কোনো কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসাবে রাখার সুযোগ নেই।
২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তফসিল ব্যাংকে হিসাব থাকবে, যা গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত সদস্যসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আকরাম মিয়া এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আটক হন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা নাজমুল কবির শিশির। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকার মো. নয়ন মাস্টারের ছেলে।
৩৭ মিনিট আগেকুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান নামের এক যুবদল নেতার লাশ পেয়েছে পরিবার। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় তাঁর মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। তবে কখন তাঁর মৃত্যু হয়েছে সে তথ্য জানা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু তথ্য জানিয়েছেন তাঁর ভাই আবুল কালাম।
৪০ মিনিট আগেইতালি নেওয়া কথা বলে ফরিদপুর থেকে দুই জনকে নেওয়া হয়েছিল লিবিয়ায়। সেখানে নেওয়ার পর তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এরপর নেওয়া হয় মুক্তিপণ। তবে এতেও মুক্তি মেলেনি। গুলি করে হত্যা করা হয়েছে ওই দুই যুবককে। ঢাকা, ফরিদপুর, লিবিয়া, গুলি, হত্যা, জেলার খবর
৪০ মিনিট আগেএক মাসের ব্যবধানে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। আর আসামির সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। সরকার পতনের পর গত ডিসেম্বরে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় সাবেক সরকারসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ছিল ১৭টি। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২টি।
১ ঘণ্টা আগে