মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আগামী রোববার বেলা ১১টায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে তাঁকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের স্বাক্ষরিত নোটিশ আজ শুক্রবার আসিবুর রহমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিচারকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এর আগে, গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আসিবুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
গত সোমবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরের টেকেরহাটে নির্বাচনের প্রচারণায় যান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য। এ সময় আসিবুর রহমান খান মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে নৌকায় ভোট চান।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে এই টেকেরহাটে এসেছিলাম নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে। আমাদের প্রিয়মুখ মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার স্বপক্ষে কাজ করার জন্য। কিন্তু একদল সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই টেকেরহাটকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
এ সময় আসিবুর রহমান বলেন, ‘যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাদের কঠোরভাবে জানাতে চাই, আমরা এখনো ঠান্ডা আছি, তাই ঠান্ডা থাকতে দেন। যদি একবারও মাথা গরম করি, তাহলে আপনি (এক আওয়ামী লীগ নেতার উদ্দেশে বলেন) মাদারীপুর কেন, বাংলাদেশেও থাকতে পারবেন না।’
আসিবুর রহমান খান আরও বলেন, ‘আমাদের এক কর্মীকে ষড়যন্ত্রকারীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। এই টেকেরহাটে যদি কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নৌকার বাইরে যদি একজনও কোনো রকম কথা বলে, এমনকি গলা উঁচু করে কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে আপনাদের গলা কীভাবে আমরা নামাব, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। এখন সাবধান করে গেলাম, এরপর সামনে আমরা কঠোরভাবে আসব।’
এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসে মাদারীপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের। পরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খানকে বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশনা দেন। নাননী খান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান।
মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান মাদারীপুরের খোয়াজপুর টেকেরহাটে নির্বাচনী প্রচারণার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ব্যাপারে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। আগামী রোববার বেলা ১১টায় তাঁকে আদালতে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (আসিবুর রহমান খান) মাদারীপুর-৩ আসনে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করেছে, এমন সংবাদ আমরা জানতে পেরেছি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ভিডিও চিত্রের সিডিসহ তথ্যপ্রমাণ পাঠানো হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে জানতে আসিবুর রহমান খানের মোবাইলে ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রকাশ্যে ভোটারদের হুমকি দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ (রাজৈর-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। আগামী রোববার বেলা ১১টায় অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সশরীর হাজির হয়ে তাঁকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের স্বাক্ষরিত নোটিশ আজ শুক্রবার আসিবুর রহমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন বিচারকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এর আগে, গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) আসিবুর রহমান খানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
গত সোমবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরের টেকেরহাটে নির্বাচনের প্রচারণায় যান মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, নৌকার প্রার্থী শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য। এ সময় আসিবুর রহমান খান মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের পক্ষে নৌকায় ভোট চান।
ভাইরাল হওয়া বক্তব্যে আসিবুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে এই টেকেরহাটে এসেছিলাম নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করতে। আমাদের প্রিয়মুখ মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়ার স্বপক্ষে কাজ করার জন্য। কিন্তু একদল সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে এই টেকেরহাটকে নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
এ সময় আসিবুর রহমান বলেন, ‘যারা এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাদের কঠোরভাবে জানাতে চাই, আমরা এখনো ঠান্ডা আছি, তাই ঠান্ডা থাকতে দেন। যদি একবারও মাথা গরম করি, তাহলে আপনি (এক আওয়ামী লীগ নেতার উদ্দেশে বলেন) মাদারীপুর কেন, বাংলাদেশেও থাকতে পারবেন না।’
আসিবুর রহমান খান আরও বলেন, ‘আমাদের এক কর্মীকে ষড়যন্ত্রকারীরা তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। এই টেকেরহাটে যদি কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, নৌকার বাইরে যদি একজনও কোনো রকম কথা বলে, এমনকি গলা উঁচু করে কথা বলার চেষ্টা করে, তাহলে আপনাদের গলা কীভাবে আমরা নামাব, সেটা আমরা ভালো করেই জানি। এখন সাবধান করে গেলাম, এরপর সামনে আমরা কঠোরভাবে আসব।’
এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসে মাদারীপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের। পরে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খানকে বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশনা দেন। নাননী খান নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠান।
মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. শরিফুল হকের পেশকার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান মাদারীপুরের খোয়াজপুর টেকেরহাটে নির্বাচনী প্রচারণার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ব্যাপারে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। আগামী রোববার বেলা ১১টায় তাঁকে আদালতে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান বলেন, ‘ওই ব্যক্তি (আসিবুর রহমান খান) মাদারীপুর-৩ আসনে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতির সৃষ্টি করেছে, এমন সংবাদ আমরা জানতে পেরেছি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ভিডিও চিত্রের সিডিসহ তথ্যপ্রমাণ পাঠানো হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে জানতে আসিবুর রহমান খানের মোবাইলে ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
রিজভী পৌরসভা এলাকার বীরপুর মহল্লার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিসের ব্যবসা করতেন। রিজভীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয় ২০১৪ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ১১ বছর। তবে রয়ে গেছে নানান সংকট। ২০১৮ সালে হাসপাতালটির নতুন ভবন উদ্বোধন করা হলেও জনবলসংকট ও অবকাঠামোর অভাবে সেটি আজও চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফলে পুরোনো ভবনে
৫ ঘণ্টা আগেআমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ক্যারেটের দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এতে বাড়তি লোকসানের মুখে পড়েছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যারেট ব্যবসায়ীরা। আর নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছে প্রশাসন।
৬ ঘণ্টা আগেবরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের নতুন ভবনে স্থানান্তর করা মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা ও শৌচাগার। বিভিন্ন কক্ষ থাকে অন্ধকার। এমন পরিবেশে দৈনিক চিকিৎসা নেন হাজারখানেক রোগী। যাঁদের একাংশের ঠাঁই হয় মেঝেতে। এমনকি চিকি
৬ ঘণ্টা আগে