সাইফুল মাসুম, ঢাকা
এক বছরের বেশি সময় আগে বেশ ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল কবর ব্যবস্থাপনা অ্যাপ। তখন বলা হয়েছিল, ডিএনসিসির কবরস্থানের সব তথ্য যুক্ত হলো অনলাইন সেবায়। এতে কবরস্থানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ের তথ্য থাকবে নগরবাসীর হাতের মুঠোয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এর সুফলও পাচ্ছেন না নগরবাসী।
২০২৩ সালের ১০ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন মিলনায়তনে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ডিএনসিসির তথ্য নিয়ে অ্যাপটি তৈরি করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। অর্থায়ন করেছে মার্কিন জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। অ্যাপটি তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা জানাতে রাজি হয়নি আইসিডিডিআরবি।
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Graveyard Management DNCC নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করা দেখা যায়, এতে বনানীসহ ডিএনসিসির ছয়টি কবরস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি কবরস্থানের মোহরারদের (তত্ত্বাবধায়ক) নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি মোবাইল নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। দাফনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে ‘সাবমিট’ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গুগল প্লে স্টোরে দেওয়া হলেও অ্যাপটির কাজই আসলে শতভাগ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিজিটাল কবর ব্যবস্থাপনা অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী অনিকা তাসনিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশির ভাগ কাজ শেষ। বাকি আছে অ্যাপের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম যোগ করা। সরকার বদল হওয়ায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অ্যাপের কাজ কিছুটা থেমে আছে। কাজ পুরোপুরি শেষ হলে মানুষ ঘরে বসেই লাশ দাফনের আবেদন করতে পারবেন।’
আইসিডিডিআরবি জানায়, ডিএনসিসির এই কবরস্থান ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে ছয়টি কবরস্থানে ছয়টি কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। এতে কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়কেরা ডিজিটালভাবে মৃত্যু নিবন্ধন ও সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে পারবেন। আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বনানী কবরস্থানে একটি ইন্টারেকটিভ স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর তথ্য রেকর্ডের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
তবে গত সোমবার দুপুরে বনানী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, সব কাজই চলছে পুরোনো নিয়মে। ইন্টারেকটিভ স্ক্রিনের খোঁজ করলে তা পাওয়া যায় মোহরারের কক্ষের কোনায়। কবরস্থানের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘হ্যাং হয়ে আছে। অ্যাপসের কার্যক্রম বুঝিয়ে দেয়নি। আমাদের কাছে এলে তথ্য পাবেন অ্যানালগ সিস্টেমে।’ অ্যাপের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের সামান্য কিছু গরমিল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির আইসিটি সেলের সহকারী প্রোগ্রামার যুবরাজ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি এখনো আমাদের কাছে অফিশিয়ালি অ্যাপটি হস্তান্তর করেনি। আর কবরস্থান ব্যবস্থাপনা দেখাশোনা করে সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ।’ ডিএনসিসির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান অ্যাপের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি অ্যাপ কাজ করছে। এটি হস্তান্তর হয়নি প্রথম শুনলাম। নগরবাসী যাতে এই অ্যাপের সুফল পান, সে পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যেকোনো সেবা পরিপূর্ণ হওয়ার পরই তো উদ্বোধন করার কথা। সার্ভিসটা সেই অর্থে চালু নেই। তারপরও ক্রেডিট নেওয়া হচ্ছে। এটা নাগরিকদের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা।
এক বছরের বেশি সময় আগে বেশ ঘটা করে উদ্বোধন করা হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল কবর ব্যবস্থাপনা অ্যাপ। তখন বলা হয়েছিল, ডিএনসিসির কবরস্থানের সব তথ্য যুক্ত হলো অনলাইন সেবায়। এতে কবরস্থানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ের তথ্য থাকবে নগরবাসীর হাতের মুঠোয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে এর সুফলও পাচ্ছেন না নগরবাসী।
২০২৩ সালের ১০ আগস্ট রাজধানীর গুলশানে নগর ভবন মিলনায়তনে ডিএনসিসির স্মার্ট ডিজিটাল কবরস্থান ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ডিএনসিসির তথ্য নিয়ে অ্যাপটি তৈরি করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। অর্থায়ন করেছে মার্কিন জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। অ্যাপটি তৈরিতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা জানাতে রাজি হয়নি আইসিডিডিআরবি।
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Graveyard Management DNCC নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করা দেখা যায়, এতে বনানীসহ ডিএনসিসির ছয়টি কবরস্থানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি কবরস্থানের মোহরারদের (তত্ত্বাবধায়ক) নাম ও মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি মোবাইল নম্বরে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। দাফনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ করে ‘সাবমিট’ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গুগল প্লে স্টোরে দেওয়া হলেও অ্যাপটির কাজই আসলে শতভাগ শেষ হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিজিটাল কবর ব্যবস্থাপনা অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত আইসিডিডিআরবির সহকারী বিজ্ঞানী অনিকা তাসনিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশির ভাগ কাজ শেষ। বাকি আছে অ্যাপের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম যোগ করা। সরকার বদল হওয়ায় পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অ্যাপের কাজ কিছুটা থেমে আছে। কাজ পুরোপুরি শেষ হলে মানুষ ঘরে বসেই লাশ দাফনের আবেদন করতে পারবেন।’
আইসিডিডিআরবি জানায়, ডিএনসিসির এই কবরস্থান ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে ছয়টি কবরস্থানে ছয়টি কম্পিউটার দেওয়া হয়েছে। এতে কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়কেরা ডিজিটালভাবে মৃত্যু নিবন্ধন ও সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে পারবেন। আইসিডিডিআরবি কর্তৃপক্ষ বলেছে, বনানী কবরস্থানে একটি ইন্টারেকটিভ স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর তথ্য রেকর্ডের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
তবে গত সোমবার দুপুরে বনানী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, সব কাজই চলছে পুরোনো নিয়মে। ইন্টারেকটিভ স্ক্রিনের খোঁজ করলে তা পাওয়া যায় মোহরারের কক্ষের কোনায়। কবরস্থানের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘হ্যাং হয়ে আছে। অ্যাপসের কার্যক্রম বুঝিয়ে দেয়নি। আমাদের কাছে এলে তথ্য পাবেন অ্যানালগ সিস্টেমে।’ অ্যাপের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের সামান্য কিছু গরমিল রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির আইসিটি সেলের সহকারী প্রোগ্রামার যুবরাজ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি এখনো আমাদের কাছে অফিশিয়ালি অ্যাপটি হস্তান্তর করেনি। আর কবরস্থান ব্যবস্থাপনা দেখাশোনা করে সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগ।’ ডিএনসিসির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান অ্যাপের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি অ্যাপ কাজ করছে। এটি হস্তান্তর হয়নি প্রথম শুনলাম। নগরবাসী যাতে এই অ্যাপের সুফল পান, সে পদক্ষেপ নেব।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, যেকোনো সেবা পরিপূর্ণ হওয়ার পরই তো উদ্বোধন করার কথা। সার্ভিসটা সেই অর্থে চালু নেই। তারপরও ক্রেডিট নেওয়া হচ্ছে। এটা নাগরিকদের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাওয়ার রাস্তাটিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। এতে করে
৫ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি পাচ্ছেন নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত বছরের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব হামলার তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সুপারিশ করা ১০২ জনের শাস
৫ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহে নির্মিত হচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত হাই-টেক পার্ক। তবে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে গত বছরের ৫ আগস্টের পর থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। সাত মাস বন্ধ থাকার পর এখন ধীরগতিতে চলছে পার্কটির নির্মাণ। ইতিমধ্যে এক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর আরেক দফা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে কাজ শুরু করা না
৫ ঘণ্টা আগেএকপশলা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বেনাপোল স্থলবন্দরে। টানা বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পণ্যাগারে পানি ঢুকে নষ্ট হয় শত শত কোটি টাকার আমদানি পণ্য। ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা, ভোগান্তি বাড়ে শ্রমিকদের।
৫ ঘণ্টা আগে