নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেছেন, ‘করোনাকালে ভেবেছিলাম মৃত্যুভয়ে ধর্ষণ বন্ধ হবে। কিন্তু দেখলাম করোনায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন আরও বেড়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। কিন্তু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন এ অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ: মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নাসিমা বেগম। আজ রোববার বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণ কেন হচ্ছে, তার মূল কারণ উদ্ঘাটন করত হবে। সরকার ও মানবাধিকার কমিশনের একার পক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ।’
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘যারা মানবাধিকারের সুরক্ষা দেবেন, তাঁদের মানবাধিকারের বিষয়টা জানা জরুরি। আমাদের সংবিধান সবার মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যাচ্ছে না। নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা শুধু নারীর একার জন্য অপমান নয়, এটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক। দীর্ঘ চার দশক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন, আইনি সহায়তা প্রদান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সভায় জানানো হয়, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতার মতো ঘটনায় করা খুব কম মামলারই নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যে মামলাগুলোয় সম্পৃক্ত হয়েছে, সেগুলোর ৯৭ শতাংশই নিষ্পত্তি হয়েছে। নারী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদনগুলো বই, কাগজ-কলমে আটকে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো সংবাদও আসে না। এ জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনা আরও বেশি ঘটছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ধর্ষণ-সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করা জরুরি। সেই সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করতে হবে। এ সময় প্রচলিত বিচারব্যবস্থা জেন্ডার সংবদনশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গাইন জানান, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ৫৬ হাজার ২৬৭টি নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা থেকে দেখেছেন, এর মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে ধর্ষণ। ধর্ষণের ফলে কার মৃত্যু হলো, সেটা নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে, কিন্তু নিহতের পরিবার কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। সমাজে নারীকে খুব সহজেই অবমাননা করা যায়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ার খন্দকার ফারজানা রহমান, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা (শামসাদ), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেছেন, ‘করোনাকালে ভেবেছিলাম মৃত্যুভয়ে ধর্ষণ বন্ধ হবে। কিন্তু দেখলাম করোনায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন আরও বেড়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। কিন্তু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন এ অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ: মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নাসিমা বেগম। আজ রোববার বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণ কেন হচ্ছে, তার মূল কারণ উদ্ঘাটন করত হবে। সরকার ও মানবাধিকার কমিশনের একার পক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ের সম্মিলিত উদ্যোগ।’
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘যারা মানবাধিকারের সুরক্ষা দেবেন, তাঁদের মানবাধিকারের বিষয়টা জানা জরুরি। আমাদের সংবিধান সবার মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে সেটা দেখা যাচ্ছে না। নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা শুধু নারীর একার জন্য অপমান নয়, এটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অপমানজনক। দীর্ঘ চার দশক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন, আইনি সহায়তা প্রদান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরপরও নারীর প্রতি সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
সভায় জানানো হয়, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, পারিবারিক সহিংসতার মতো ঘটনায় করা খুব কম মামলারই নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যে মামলাগুলোয় সম্পৃক্ত হয়েছে, সেগুলোর ৯৭ শতাংশই নিষ্পত্তি হয়েছে। নারী নির্যাতনের তদন্ত প্রতিবেদনগুলো বই, কাগজ-কলমে আটকে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো সংবাদও আসে না। এ জন্য নারী নির্যাতনের ঘটনা আরও বেশি ঘটছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ধর্ষণ-সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করা জরুরি। সেই সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করতে হবে। এ সময় প্রচলিত বিচারব্যবস্থা জেন্ডার সংবদনশীল করার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গাইন জানান, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ৫৬ হাজার ২৬৭টি নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা থেকে দেখেছেন, এর মধ্যে একটি বড় অংশ হচ্ছে ধর্ষণ। ধর্ষণের ফলে কার মৃত্যু হলো, সেটা নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে, কিন্তু নিহতের পরিবার কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। সমাজে নারীকে খুব সহজেই অবমাননা করা যায়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। আলোচক হিসেবে আরও যুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ার খন্দকার ফারজানা রহমান, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা (শামসাদ), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তসহ সারা দেশের সব ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ। গতকাল রোববার রাতে নগরীর নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এতে করে মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
১ মিনিট আগেময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গারো পাহাড় দিয়ে চোরাই পথে আনা ১৫৪ কেজি ভারতীয় জিরা ও ২ হাজার ১০০টি ভারতীয় সাবান জব্দ করা হয়েছে।
১ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা দুজন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কালিহাতী উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়কের কামাক্ষার মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেটাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বহুতল ভবন দখল করে পাগলের আশ্রম বানানো তরুণী মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জোয়াহেরুলের স্ত্রী রওশন আরা খানের করা মামলায় আজ সোমবার ভোররাতে মারিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৫ মিনিট আগে