জাবি প্রতিনিধি
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে তৃতীয় দিনের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির কাজ শেষ করে শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। এ ছাড়া অছাত্রদের দ্রুত হল থেকে বের করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, ‘পাঁচ দিন সময়ের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত ২৫০০ অবৈধ ছাত্রের কোনো তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। তাহলে বাকি দুই দিনে কীভাবে তাদের হল থেকে বের করবেন। আমরা বলেছিলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলাটি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো মামলা করেনি, শুধু একটা জিডি করেছে। আমরা চেয়েছিলাম যে ধর্ষক শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল করা হোক। কিন্তু তাও অস্থায়ী বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ধর্ষণের যারা সহযোগী তাদেরও বিচারে গড়িমসি করছে এই প্রশাসন। উপাচার্য বারবার বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কমিটমেন্ট দেন কিন্তু তা আর ফলোআপ করা হয় না।
মঞ্চের আহ্বায়ক পারভীন জলি বলেন, ‘ধর্ষককে যারা পালাতে সাহায্য করেছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। কিন্তু এই প্রক্টর মোস্তাফিজকে খুঁজে আনতে পাঠিয়েছিলেন দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে। তাহলে প্রক্টোরিয়াল টিমের কাজ কী? তাদের উচিত ছিল এমএইচ হলকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে মোস্তাফিজকে আটক করা।
কিন্তু পাঠানো হয়েছে দুজন ছাত্রলীগের কর্মীকে। এখান থেকেও বোঝা যায়, প্রক্টরের কোনো সদিচ্ছা ছিল না, তাদের আটক করার। এই প্রক্টর সকল প্রকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তাঁর পদে বহাল থাকার। প্রভোস্টও তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। আমরা তাঁর শাস্তি চাই। তাঁর স্বপদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাঁদের শুধু পদ থেকে সরালেই হবে না, তাঁদের রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তি দিতে হবে ধর্ষণে সহযোগিতা করার জন্য।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা এমন একজন উপাচার্যকে পেয়েছি যিনি নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার। ক্যাম্পাসে যত ঘটনা ঘটে এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি বড়জোর একটা নির্দেশ পাঠান কিন্তু এর বাইরে কিছু করতে পারে না। আমরা অছাত্রদের বের করার কথা বলেছি, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে নির্বিকার হয়ে বসে আছেন। আমরা অভিযুক্তদের সার্টিফিকেট বাতিল চাই, অথচ শুধু স্থগিত করা হয়েছে।’
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আহসান লাবিব বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমেই দেখি প্রক্টর-প্রভোস্ট ধর্ষককে বাঁচানোর পাঁয়তারা করছেন এবং পরিশেষে তাঁরা ধর্ষককে পালাতে সহযোগিতা করেন। যাঁরা ছাত্রলীগের ছায়া হিসেবে কাজ করে তাঁদের নৈতিক অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকার। এদিকে এমন একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হয় যিনি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্ট্রাকচারড কমিটি গঠিত হওয়ার পরেও কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি?’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঁইয়া, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক রায়হান রাইন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম প্রমুখ।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে তৃতীয় দিনের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির কাজ শেষ করে শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান। এ ছাড়া অছাত্রদের দ্রুত হল থেকে বের করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, ‘পাঁচ দিন সময়ের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত ২৫০০ অবৈধ ছাত্রের কোনো তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। তাহলে বাকি দুই দিনে কীভাবে তাদের হল থেকে বের করবেন। আমরা বলেছিলাম, এই বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলাটি করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো মামলা করেনি, শুধু একটা জিডি করেছে। আমরা চেয়েছিলাম যে ধর্ষক শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল করা হোক। কিন্তু তাও অস্থায়ী বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ধর্ষণের যারা সহযোগী তাদেরও বিচারে গড়িমসি করছে এই প্রশাসন। উপাচার্য বারবার বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কমিটমেন্ট দেন কিন্তু তা আর ফলোআপ করা হয় না।
মঞ্চের আহ্বায়ক পারভীন জলি বলেন, ‘ধর্ষককে যারা পালাতে সাহায্য করেছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। কিন্তু এই প্রক্টর মোস্তাফিজকে খুঁজে আনতে পাঠিয়েছিলেন দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে। তাহলে প্রক্টোরিয়াল টিমের কাজ কী? তাদের উচিত ছিল এমএইচ হলকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে মোস্তাফিজকে আটক করা।
কিন্তু পাঠানো হয়েছে দুজন ছাত্রলীগের কর্মীকে। এখান থেকেও বোঝা যায়, প্রক্টরের কোনো সদিচ্ছা ছিল না, তাদের আটক করার। এই প্রক্টর সকল প্রকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তাঁর পদে বহাল থাকার। প্রভোস্টও তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। আমরা তাঁর শাস্তি চাই। তাঁর স্বপদে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাঁদের শুধু পদ থেকে সরালেই হবে না, তাঁদের রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তি দিতে হবে ধর্ষণে সহযোগিতা করার জন্য।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘আমরা এমন একজন উপাচার্যকে পেয়েছি যিনি নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার। ক্যাম্পাসে যত ঘটনা ঘটে এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি বড়জোর একটা নির্দেশ পাঠান কিন্তু এর বাইরে কিছু করতে পারে না। আমরা অছাত্রদের বের করার কথা বলেছি, তিনি শুধু নির্দেশ দিয়ে নির্বিকার হয়ে বসে আছেন। আমরা অভিযুক্তদের সার্টিফিকেট বাতিল চাই, অথচ শুধু স্থগিত করা হয়েছে।’
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আহসান লাবিব বলেন, ‘আমরা ধর্ষণের ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমেই দেখি প্রক্টর-প্রভোস্ট ধর্ষককে বাঁচানোর পাঁয়তারা করছেন এবং পরিশেষে তাঁরা ধর্ষককে পালাতে সহযোগিতা করেন। যাঁরা ছাত্রলীগের ছায়া হিসেবে কাজ করে তাঁদের নৈতিক অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকার। এদিকে এমন একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হয় যিনি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্ট্রাকচারড কমিটি গঠিত হওয়ার পরেও কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি?’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঁইয়া, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক রায়হান রাইন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম প্রমুখ।
পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত মো. হাদিস (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত হাদিস সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে
৪ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধর ও কোদালের কোপে এক বিধবা নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবেয়া বেওয়া (৫০)।
১০ মিনিট আগেচাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপির এক পক্ষের গণমিছিলে অপর পক্ষের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রহিমানগর বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে জানায় আক্রান্ত পক্ষ।
১৫ মিনিট আগেকক্সবাজারের রামুতে বন বিভাগের নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি পর্যটন স্পটে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একটি ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১৮ মিনিট আগে