Ajker Patrika

টাকা পাচারের প্রতিবাদে এনডিবির প্রতীকী টাকা মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

টাকা পাচার ও লোডশেডিং সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে প্রতীকী টাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নতুনধারা বাংলাদেশের (এনডিবি) নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই প্রতীকী টাকা মিছিল ও সমাবেশ করে এনডিবি। 

সমাবেশে এনডিবি চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেন, ‘আমাদের দেশের মন্ত্রীরা বলেছেন, আমরা টাকা পাচারের জন্য আইন করিনি। এই কথার মাধ্যমে তিনি এবং তাঁর সরকার পাচারকারীদের উৎসাহিত করছেন, যা সত্যিই লজ্জাজনক। তর্ক-বিতর্কে একে-অন্যকে দোষারোপ করতে দেখা গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই সব স্তিমিত হয়ে যায়। অন্যদিকে নীরবে বাণিজ্যের নামে অর্থপাচার চলতে থাকে।’ 

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বিশ্লেষণ করে আমদানির কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে প্রতিবছর রেকর্ড গড়ার চিত্র দেখা যাচ্ছে দাবি করে মেহেদী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে অর্থপাচারের ঘটনা অনেকাংশে বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১০০ কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়।’ 

জিএফআইয়ের বরাত দিয়ে মেহেদী বলেন, ২০০৩ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৩৮১ কোটি মার্কিন ডলার। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৪২৬ কোটি মার্কিন ডলার। একই ধারায় ২০০৬ সালে ৩৩৭ কোটি, ২০০৭ সালে ৪০৯ কোটি, ২০০৮ সালে ৬৪৪ কোটি, ২০০৯ সালে ৫১০ কোটি, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি, ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি, ২০১২ সালে ৭২২ কোটি, ২০১৩ সালে ৯৬৬ কোটি, ২০১৪ সালে ১১১ কোটি এবং ২০১৫ সালে ১১০১ কোটি ডলার পাচার হয়। 

অর্থপাচার মূলত বাণিজ্য কারসাজি ও হুন্ডির মাধ্যমে চলছে উল্লেখ করে মেহেদী বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বলছে, প্রধানত ১০টি দেশ এই অর্থপাচারের বড় গন্তব্যস্থল। দেশগুলো হলো সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, হংকং ও থাইল্যান্ড।’ 

দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বলেন, ‘বাংলাদেশের টাকা পাচারকারীদের সরকার বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এ সম্পর্কিত আইনে যত ধরনের ঘাটতি আছে, দ্রুত সব দূর করে আন্তর্জাতিকভাবে পাচার রোধে পদক্ষেপ না নিলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। শুধু আইনের ফাঁকফোকরের কারণে চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে অনেক সময় লেগে যায়।’ 

ফারজানা আরও বলেন, ‘গত ১৮ বছরে যে পরিমাণ অর্থপাচারের কথা বলা হচ্ছে, তা সর্বশেষ তিন অর্থবছরের মোট বাজেটের কাছাকাছি। এ ছাড়া পাচারের এই অর্থ দেশের বর্তমান জিডিপির ৩১ শতাংশ। বর্তমানে জিডিপির আকার ৩৫৫ বিলিয়ন ডলার। পাচারের এই টাকা দিয়ে কয়েকটি পদ্মা সেতু বানানো যেত। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম অংশ মেট্রোরেলই-বা কতগুলো বানানো সম্ভব ছিল, এ হিসাবও কষছেন কেউ কেউ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত