নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি কর্মকর্তারা পার্বত্য অঞ্চলে যেতেও কাঁদে, আসতেও কাঁদে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং। আজ বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত পার্বত্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের পার্বত্য অঞ্চলে বদলি হলে তারা কান্নাকাটি শুরু করে। স্বজনেরা বলে কোন অপরাধে তাকে শাস্তি দিয়ে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এক বছর থাকার পর যখন বদলির সময় আসে, তখন তারাই আবার কান্না শুরু করে। বলে-“স্যার আমার ছেলের তো পরীক্ষা আছে, মেয়ে তো ছোট” মানে পার্বত্য অঞ্চলে আরও থাকতে চায়।’
রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী আছে। তারা দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে পাহাড়িদের নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।’
শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়েছে এটা বলা যাবে না। হয়নি এটাও বলা যাবে না।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে মোট ৭২টি ধারা রয়েছে। আমরা এই ধারা সমূহ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্যচুক্তির ফলে পাহাড় আজ নিরাপদ। বাঙালি ও পাহাড়ির সহাবস্থান ওই অঞ্চলকে করেছে সকলের কাছে আকর্ষণীয়। এই চুক্তি একদিনে হয়নি। চুক্তির সময় আমরা ১৩ বার বৈঠক করেছি। তখন অনেক বার আমার জীবন নাশের হুমকি ছিল। জীবনে ঝুঁকি নিয়েও আমরা চেয়েছি বাঙালির সঙ্গে পাহাড়িরও যেন উন্নতি লাভ করতে পারে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৬৫টি বাস্তবায়ন করেছে। বাকিগুলো আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইগ্রু চৌধুরী।
চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া পার্বত্য মেলা চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় ৯৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী করা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে পাহাড়ি শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সরকারি কর্মকর্তারা পার্বত্য অঞ্চলে যেতেও কাঁদে, আসতেও কাঁদে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং। আজ বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত পার্বত্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের পার্বত্য অঞ্চলে বদলি হলে তারা কান্নাকাটি শুরু করে। স্বজনেরা বলে কোন অপরাধে তাকে শাস্তি দিয়ে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এক বছর থাকার পর যখন বদলির সময় আসে, তখন তারাই আবার কান্না শুরু করে। বলে-“স্যার আমার ছেলের তো পরীক্ষা আছে, মেয়ে তো ছোট” মানে পার্বত্য অঞ্চলে আরও থাকতে চায়।’
রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী আছে। তারা দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে পাহাড়িদের নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।’
শান্তিচুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়েছে এটা বলা যাবে না। হয়নি এটাও বলা যাবে না।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে মোট ৭২টি ধারা রয়েছে। আমরা এই ধারা সমূহ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্যচুক্তির ফলে পাহাড় আজ নিরাপদ। বাঙালি ও পাহাড়ির সহাবস্থান ওই অঞ্চলকে করেছে সকলের কাছে আকর্ষণীয়। এই চুক্তি একদিনে হয়নি। চুক্তির সময় আমরা ১৩ বার বৈঠক করেছি। তখন অনেক বার আমার জীবন নাশের হুমকি ছিল। জীবনে ঝুঁকি নিয়েও আমরা চেয়েছি বাঙালির সঙ্গে পাহাড়িরও যেন উন্নতি লাভ করতে পারে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ৭২ ধারার মধ্যে ৬৫টি বাস্তবায়ন করেছে। বাকিগুলো আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে এবং বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন—পার্বত্য চট্টগ্রাম বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইগ্রু চৌধুরী।
চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া পার্বত্য মেলা চলবে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় ৯৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী করা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে পাহাড়ি শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৬ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৭ ঘণ্টা আগে