Ajker Patrika

মায়ের জানাজায় হাতকড়া-ডান্ডা বেড়ি অমানবিক ও সংবিধান পরিপন্থী: মানবাধিকার কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ২০: ৪৫
মায়ের জানাজায় হাতকড়া-ডান্ডা বেড়ি অমানবিক ও সংবিধান পরিপন্থী: মানবাধিকার কমিশন

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাতকড়া ও ডান্ডা বেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন মনে করে, প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পরও একজন বন্দীকে মায়ের জানাজায় ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া কেবল অমানবিকই নয় বরং বাংলাদেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। 

এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে কমিশন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণে যত্নবান হতে বলা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের উপপরিচালক ফারহানা সাঈদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডান্ডা বেড়ি পরানো বিষয়ক উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটাও এ ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনসহ যথাযথ নজরদারির অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন ছিল। কিন্তু মায়ের জানাজায় ডান্ডা বেড়ি পরিয়ে জানাজায় অংশগ্রহণ অত্যন্ত অমানবিক। 

‘গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়–আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। শেষবার মায়ের মরদেহ দেখতে এবং জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আইনজীবীর মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তিনি তাঁর মায়ের জানাজায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পান। প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডা বেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি। এমনকি, জানাজা পড়ানোর সময় তাঁর হাতকড়া ও ডান্ডা বেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও, তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত