Ajker Patrika

রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা: ১ বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি ৫ বছরে, বাড়ছে মেয়াদ

  • ৩৮৮টি নয়, ঢাকার নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থায় প্রয়োজন ৫০ বাস রুট
  • মেয়াদের সঙ্গে প্রকল্পের খরচ ৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব
  • সংশ্লিষ্টরা বলছেন একক কোম্পানির অধীনে সব বাস চালু করতে বড় বাধা মালিকেরা
  • রাজধানীতে বাস রুট আছে ৩৮৮টি, অথচ দরকার মাত্র ৫০টি
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীতে নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরের বাস রুট যৌক্তিকীকরণ এবং প্রতি রুটে অভিন্ন কোম্পানির অধীনে বাস সার্ভিস চালুর একটি উদ্যোগ নিয়েছিল বিগত সরকার। এজন্য ২৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প শুরু করা হয় ২০২০ সালের ১ মার্চ। কথা ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পটি শেষ হবে। কিন্তু এক বছরের ওই প্রকল্প ৫ বছরেও শেষ হয়নি। মাঝে দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়। তাতেও বাস রুট যৌক্তিকীকরণ ও একক কোম্পানির অধীনে সব বাস চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন প্রকল্পটির মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি ভৌত অবকাঠামো বিভাগের বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রকল্পের সময় বাড়ানোর সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের (জ্যেষ্ঠ সচিব) এম এ আকমল হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনপ্রত্যাশা পূরণে কীভাবে মহানগরে বাস রুট যৌক্তিকীকরণ করা যায়, তার নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। তাই প্রকল্পের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

‘প্রিপারেশন অব কনসেপ্ট ডিজাইন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান ফর বাস রুট রেশনালাইজেশন অ্যান্ড কোম্পানি বেজড অপারেশন অব বাস সার্ভিস ইন ঢাকা’ শীর্ষক ওই প্রকল্পের আওতায় বাসে র‍্যাপিড পাস চালু, বাস চলাচলের জন্য ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম (আইটিএস) সমন্বিত কন্ট্রোল সেন্টার গঠনের ধারণা এবং বাস রুট ফ্র্যাঞ্চাইজ চালুর লক্ষ্যে ডিপিপি ও টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুতসহ বেশ কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে পাঁচটি প্রতিবেদনের কাছ শেষ হয়েছে, বাকি রয়েছে আরও চারটি। এগুলো শেষ করতে আরও ৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হলেও কোভিডের কারণে কনসালট্যান্ট নিয়োগে বিলম্ব হয়েছে। কনসালট্যান্ট নিয়োগের পর মাঠপর্যায়ে উপাত্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে হয় ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কারণে। পরে উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু হলেও জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের কারণে আবারও কিছুদিন স্থবিরতা নেমে আসে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের ট্রাফিক সার্ভে গত জানুয়ারিতে শেষ হয়েছে; কিন্তু ট্রান্সপোর্ট মডেলিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক ফোরকাই ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক প্রস্তুতের কাজ এখনো বাকি রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় ঢাকা মহানগরীর প্রায় ১০০টি বাস রুটের ওপরে সার্ভে ও ৫ হাজার অফিসগামী যাত্রী (৫০টি অফিস), ১০ হাজার শিক্ষার্থী (৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ১০ হাজার মেট্রোরেল ব্যবহারকারীর ওপর সার্ভে করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

একটি লাভজনক রুটে ডিটিসিএর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য পাইলট ভিত্তিতে বাসসেবা পরিচালনা করার বিষয়টি প্রকল্পে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ডিটিসিএ, বিআরটিএ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ টিন এয়ার প্রকল্প’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে ইলেকট্রিক বাস পরিচালনা ও তাদের জন্য ডিপো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় বৃদ্ধিসহ প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পে নতুন করে কিছু বিষয় যোগ হয়েছে, সে কাজের জন্য ব্যয়ও বৃদ্ধি করতে হবে।

নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থায় যত বাধা

লক্কড়-ঝক্কড় বাস, যেখানে-সেখানে থেমে থেমে যাত্রী তোলা, প্রতিটি রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতা—সব মিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে আছে ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থা।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ভেতর চারটি বাস টার্মিনাল করার কথা ছিল; কিন্তু এখনো হয়নি। বিআরটিসির নতুন বাস এবং প্রাইভেট সেক্টরের রংচটা ফিটনেসবিহীন বাস একই ভাড়া আদায় করছে। ফলে বিআরটিসি অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে এবং অন্যরা পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়াই বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। ডিটিসিএ কর্তৃক নির্ধারিত ছয়টি ক্লাস্টারে রুট রেশনালাইজেশন একসঙ্গে চালু হওয়া প্রয়োজন।

বাস রুট যৌক্তিকীকরণ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা দেখেন, ঢাকা শহরে ৫০টির বেশি বাস রুট করার মতো জায়গা নেই। অথচ রুট রয়েছে ৩৮৮টি। এসব রুটে ১৮০০০ রুট পারমিট দিয়ে রেখেছে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি (আরটিসি), যদিও যেখানে ১০০টির বেশি রুট পারমিটের দরকার নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপদ বাস সার্ভিস ব্যবস্থা চালুর জন্য সরকারের চেয়ে বাসমালিক ও শ্রমিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। এ ক্ষেত্রে চলমান চুক্তিভিত্তিক বাস সার্ভিস ব্যবস্থা রয়েছে, তা বন্ধ করতে হবে। কারণ সব ধরনের জটিলতার উৎস হলো চুক্তিভিত্তিক সার্ভিস। এ কারণে কন্ডাক্টর ও চালক যাত্রী তোলা নিয়ে অসম প্রতিযোগিতা করেন। রাস্তার শৃঙ্খলা নষ্ট করে যানজটেরও সৃষ্টি করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, এক রুটে একটি কোম্পানি থাকলে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। সে কারণে একটি রুটে পাইলট হিসেবে ৬ মাসের জন্য বাস পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে বাসমালিক-শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা বড় চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুল বাকী মিয়া বলেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মেট্রোরেল লাইনের স্টেশনভিত্তিক বাস রুট নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও ফিটনেসবিহীন বাসে স্থায়ীভাবে ‘রিজেক্টেড সিল’ স্টিকার লাগাতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা

 আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি 
টিএমএসএসের অফিসের মেঝেতে রাখা হাঁস। ছবি: আজকের পত্রিকা
টিএমএসএসের অফিসের মেঝেতে রাখা হাঁস। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কিস্তির টাকা না পেয়ে এক নারীর বাড়ি থেকে একটি একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে গেছেন এনজিও কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত।

হাঁসটির মালিক ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম। অভিযোগ উঠেছে, কিস্তির টাকা না পেয়ে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর কর্মীরা তাঁর বাড়ি থেকে হাঁসটি নিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফিজা টিএমএসএসের সদস্য। ওই এনজিও থেকে চলতি বছরের শুরুর দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে কিস্তির টাকা তুলতে হাফিজার বাড়িতে যান ওই এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খানসহ দুজন। হাফিজা আগামী সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেবেন বলে তাঁদের চলে যেতে অনুরোধ জানান। কিন্তু ফিরোজ খান কিস্তির টাকা না নিয়ে হাফিজার বাড়ি থেকে যাবেন না বলে অনড় থাকেন। এ সময় ফিরোজ খান হাফিজার উঠানে থাকা হাঁস-মুরগি দেখে টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। হাফিজা তাতে অসম্মতি জানিয়ে পাশের বাড়িতে চলে যান। এই ফাঁকে এনজিওর কর্মীরা হাফিজার বাড়ি থেকে একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে হাফিজা খানম বলেন, ‘সর্বশেষ একটি কিস্তির টাকা আগামী সপ্তাহে পরিশোধ করার কথা বলছি। কিন্তু এনজিওর মাঠকর্মীরা আমার বাড়ির উঠান থেকে ধাওয়া করে বড় একটি চিনাহাঁস ধরে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। ওই হাঁসটির দাম পনেরো শ-ষোলো শ টাকার মতো হবে। আমার মেয়ের পালা শখের হাঁসটি ফেরত চাই।’

উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাসগুপ্ত বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। সদস্যের বাড়ি থেকে হাঁস আনার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, ‘এই এনজিওটি আমার উপজেলার আওতাভুক্ত নয়। তারা কীভাবে এই উপজেলায় কাজ করে আমার জানা নেই। কিস্তির টাকার পরিবর্তে হাঁস আনার বিষয়টি অবৈধ।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএমএসএস এনজিওর মাঠকর্মী ফিরোজ খান হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস ধরে আনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, কিস্তির টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা দাম ধরে হাঁস আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টিএমএসএস এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানম হাঁস বিক্রি করে পরে টাকা দেবে। আমার এনজিওর মাঠকর্মী দাম ধরে কিনে আনলে অপরাধের কিছু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হজের খরচ ১০০ ডলার কমাতে বিমানকে চিঠি দিয়েছে সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

নাটোর প্রতিনিধি
আজ সকালে নাটোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নাটোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩ সালে হাজিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিমানভাড়া ছিল ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা। ২০২৪ সালে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমানভাড়া ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে আরও ১০০ ডলার কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আসন্ন হজ মৌসুমে কোনো সিন্ডিকেটকে পাত্তা দেওয়া হবে না।’

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর জেলা মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সৌদি সরকারের অনুরোধে গত বছরের তুলনায় এবার হজে গমন-ইচ্ছুকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা ১০-১২টি রোগে আক্রান্ত তাঁদের হজে পাঠানো হবে না। আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছ এবং ট্রান্সপারেন্ট ব্যক্তিদের হজে পাঠাতে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।

পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। প্রতিটি মডেল মসজিদ নির্মাণে জেলা পর্যায়ে ১৮ কোটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪ কোটি টাকা খরচ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির সাবেক এমপি এনসিপি থেকে পেলেন মনোনয়ন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি  
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত
মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে এনসিপি থেকে মনোনয়ন পেলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রথম ধাপে এনসিপির ঘোষিত ১২৫ প্রার্থীর মধ্যে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে এনসিপি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মঞ্জুর কাদের। পরে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন তিনি।

এনসিপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে এনসিপি থেকে শাপলা কলি প্রতীকে এবার নির্বাচন করব। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি, বেলকুচি চৌহালীকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় কাজ করব। তা ছাড়া এই এলাকার মানুষ তাঁতশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাঁতশিল্পের উন্নয়নেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। এনায়েতপুর একটি বৃহৎ হাট। হাটের উন্নয়নেও কাজ করব। এর বাইরেও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব।’

আপনি কি বিএনপি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে এনসিপি থেকে মনোনয়ন নিলেন—এই প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের বলেন, ‘আমি বিএনপি থেকে এবার মনোনয়ন চাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিআইডির ট্রেনিং সেন্টার থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎রাজধানীর পল্টনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আফতাব উদ্দিন রিগান নামে ওই কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হিসেবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ফোর্সে কর্মরত ছিলেন।

আজ বুধবার সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পল্টন থানা পুলিশ।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান। ‎

‎ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে সিআইডি পরিচালিত ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) থেকে একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের মৃত্যুর খবর পাই। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি মোস্তফা আরও জানান, ‎প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত