আরিফ রহমান, ঝালকাঠি
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি, মগড়সরই, খোজাখালী, দরিরচর, তিমিরকাঠি, সিকদারপাড়া, কাঠিপাড়া, বহরমপুরসহ ১০টিরও বেশি গ্রামে ভয়াবহভাবে ভাঙছে সুগন্ধা নদী। ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছে বসতভিটা, ফসলি জমি, পানের বরজ ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদীপারের মানুষ মারাত্মক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
সুগন্ধা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০০ মিটার। এটি বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার মধ্যে প্রবাহিত প্রধান নৌপথ। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি ও জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর তীর দুর্বল হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীভাঙনে ইতিমধ্যে শত শত কোটি টাকার জমি ও সম্পদ বিলীন হয়েছে। সরই গ্রামের মাকসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে আমার ছেলেরা অন্য জায়গায় বাড়ি করেছিল, সেটিও নদীর পেটে গেছে। এমনকি স্বামীর কবরটাও নদীর মধ্যে চলে গেছে।’
কাঠিপাড়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘আগে এখানে ২০-৩০টি বসতবাড়ি ছিল, এখন মাত্র দু-তিনটি পরিবার বেঁচে আছে। নদী আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর দুর্বল ও গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে স্রোতের চাপ বেড়ে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। যদিও নলছিটি উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা করে থাকে, তবে তা বন্ধ হচ্ছে না। রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। দেখে মনে হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তা করা হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা নিখিল দাস বলেন, ‘৫০ বছর ধরে নদীভাঙন চলতে আছে, এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শত শত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতঘর, গাছপালা, পানের বরজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।’
বারইকরন গ্রামের হ্যাপী বেগম বলেন, ‘ঘর গোছাতে গোছাতে নদী এসে মেঝেতে স্পর্শ করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না।’
মগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মাঝি, দুলাল মাঝি, নূর আলম খান, ফরিদসহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি সরকার এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নদীর ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমরা অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি, কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই, শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নলছিটি ও ঝালকাঠির ভাঙন এলাকা নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। অন্যান্য ভাঙন স্থানে জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি, মগড়সরই, খোজাখালী, দরিরচর, তিমিরকাঠি, সিকদারপাড়া, কাঠিপাড়া, বহরমপুরসহ ১০টিরও বেশি গ্রামে ভয়াবহভাবে ভাঙছে সুগন্ধা নদী। ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছে বসতভিটা, ফসলি জমি, পানের বরজ ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় নদীপারের মানুষ মারাত্মক অনিশ্চয়তায় ভুগছে।
সুগন্ধা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২১ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৪০০ মিটার। এটি বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলার মধ্যে প্রবাহিত প্রধান নৌপথ। বর্ষাকালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি ও জোয়ার-ভাটার কারণে নদীর তীর দুর্বল হয়ে ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, নদীভাঙনে ইতিমধ্যে শত শত কোটি টাকার জমি ও সম্পদ বিলীন হয়েছে। সরই গ্রামের মাকসুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পরে আমার ছেলেরা অন্য জায়গায় বাড়ি করেছিল, সেটিও নদীর পেটে গেছে। এমনকি স্বামীর কবরটাও নদীর মধ্যে চলে গেছে।’
কাঠিপাড়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘আগে এখানে ২০-৩০টি বসতবাড়ি ছিল, এখন মাত্র দু-তিনটি পরিবার বেঁচে আছে। নদী আমাদের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীর তীর দুর্বল ও গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষাকালে স্রোতের চাপ বেড়ে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। যদিও নলছিটি উপজেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা করে থাকে, তবে তা বন্ধ হচ্ছে না। রাতের আঁধারে অবৈধ বালু উত্তোলনের কার্যক্রম জোরদার রয়েছে। দেখে মনে হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তা করা হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা নিখিল দাস বলেন, ‘৫০ বছর ধরে নদীভাঙন চলতে আছে, এখন পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শত শত পরিবার হারিয়েছে তাদের বসতঘর, গাছপালা, পানের বরজ থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।’
বারইকরন গ্রামের হ্যাপী বেগম বলেন, ‘ঘর গোছাতে গোছাতে নদী এসে মেঝেতে স্পর্শ করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না।’
মগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মাঝি, দুলাল মাঝি, নূর আলম খান, ফরিদসহ অনেকে জানান, বাপ-দাদার বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি সরকার এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেছেন, নদীর ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘আমরা অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি, কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই, শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নলছিটি ও ঝালকাঠির ভাঙন এলাকা নিয়ে একটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। অন্যান্য ভাঙন স্থানে জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দড়িগোবিন্দপুর এলাকায় মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও তিন জন। গতকাল বুধবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেরেলপথ অবরোধের পর এবার স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা সেতুতে ব্লকেড দিয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
২১ মিনিট আগেসিলেটের বিখ্যাত পর্যটনস্পট ‘সাদা পাথর’ থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন ও লুটপাট ঠেকাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেট সার্কিট হাউজে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২৮ মিনিট আগেআওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পরও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দলটির ১৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
৩৩ মিনিট আগে