Ajker Patrika

সাদা পাথরে দায়িত্বে থাকবে যৌথ বাহিনী, আরও যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
লাগামহীন লুটপাট সাদা পাথরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
লাগামহীন লুটপাট সাদা পাথরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন স্পট ‘সাদা পাথর’ থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন এবং লুটপাট ঠেকাতে ৫ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেট সার্কিট হাউসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মিলিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।

সিদ্ধান্তগুলো হলো, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে;  গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে;  অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে;  পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে; চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার দিবাগত রাতে পাথর উদ্ধার করে পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি পাথর যেন কেউ সিলেটের বাইরে নিয়ে যেতে না পারে, সে ব্যাপারে চেকপোস্ট করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সম্প্রতি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও প্রভাবশালীদের লাগামহীন লুটপাটে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের স্থান সাদা পাথরসহ সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো। পাথর লুটের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এসব ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট প্রশাসন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক সুশীল সমাজসহ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সাদা পাথর পরিদর্শনে যায় দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফী মোহাম্মদ নাজমূস সাদাতের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল। পরিদর্শন শেষে দুদক জানায়, সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তাঁরা জানান, দুদকের কার্যালয় দূরবর্তী হওয়ায় তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে যাদের যোগসাজশে নির্বিচারে পাথর লুট হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এ ধরনের লুটপাটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় সবচেয়ে বেশি। পর্যটন খাতের ক্ষতির সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজশ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকেরা অভিযোগ করে আসছেন, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এই লুটপাট অব্যাহত রয়েছে, যা শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, পর্যটনশিল্পকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত