Ajker Patrika

গত বছর সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৬৮৯ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ১৩
গত বছর সড়ক, রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৫৬৮৯ জন

২০২১ সালে সারা দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে ৪ হাজার ৯৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৮৯ জন মারা গেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৮০৫ জন। নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) পরিসংখ্যানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫০৭ জন এবং ১ হাজার ১৮২ জন নারী রয়েছেন। আহতদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫৩১ ও নারী ১ হাজার ২৭৪ জন। গত বছর বিমান পথে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সড়কপথে দুর্ঘটনাকবলিত হওয়া বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যা ৫ হাজার ৯২০। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে নসিমন, করিমন, পিকআপ, অটোরিকশা, ভ্যান ও রিকশা মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭৫টি গাড়ি। এরপর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৪৯টি মোটরসাইকেল। 

নিসচার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৭ শতাংশ। এ বছর তা কমে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কম। ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট পরার অভ্যাস গড়ে ওঠা এবং সচেতনতা বাড়লেও অন্যান্য জেলা ও গ্রামগঞ্জে হেলমেট না পরার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের মোটরসাইকেল চালনায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও প্রশাসনের সামনে দিয়ে লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল ও অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোরেরা মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা নিয়মকানুন না মেনে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। 

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী দেশে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৯০৫। সূত্রমতে, লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেলচালকের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। মোটরসাইকেলচালকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, ট্রাফিক আইনকানুন সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা প্রদান, দেশের অল্পবয়স্ক যুবসমাজের মোটরসাইকেল চালনায় বিধিনিষেধ আরোপ ও গতির ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও মৃতের সংখ্যা কমানো সম্ভব। 

গত বছর সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য নিরাপদ সড়ক চাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, দৈনিক চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানো, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাবকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধে আইনের প্রয়োগ না থাকা, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি এবং মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত