Ajker Patrika

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের ৩৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫: ১৫
হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের ৩৭ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদসহ ৯ জনকে ৩৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার অপর আট আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আব্দুস সালাম বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।

৩৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন—টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন বা রূপসী বাংলা শাখার সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন। আদালত রায়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের দায়ে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (৩০ বছর) দেন। একই সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে আরও সাত বছর কারাদণ্ড দেন। তবে উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে।

আদালত জেসমিন ও তানভীরকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছেন। অন্যদের দুই ধারায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।

আদালত সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম অফিসের জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সফিজউদ্দিন আহমেদ এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খানকে অর্থ আত্মসাতের সহযোগিতা করার দায়ে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রতারণায় সহযোগিতার কারণে সাত বছরের কারাদণ্ড অর্থাৎ মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। দুটি ধারায় প্রত্যেককে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

এ ছাড়া প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের সহযোগিতা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

আসামিদের মধ্যে তানভীর, জেসমিন, তুষার আহমেদ, আব্দুল মালেক, মাইনুল হক, সফিজউদ্দিন, কামরুল ও মহিদুরকে রায়ের আগে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানাসহ তাঁদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। 

এর আগে গত ১২ মার্চ যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসেবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তাঁর স্ত্রী তুলে নেন। 

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করে দুদক। ২০১৬ সালের ২৭ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

মামলাটি ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা

এই মামলার রায় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, অত্র মামলা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক বিস্ময়কর ঘটনা। যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলো মনে করে, তারা জাতির শত্রু। তাদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত মর্মে আদালত মনে করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। এমতাবস্থায় অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। 

উল্লেখ্য, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হলমার্কের ব্যবস্থা পরিচালকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা ঢাকার বিভিন্ন আদালতে চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভুট্টাখেতে অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত ব্যক্তির স্বজনদের আহাজারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লার হোমনায় শান্ত দাস (২২) নামের এক অটোরিকশাচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে হোমনা পৌর এলাকার কারারকান্দি-বাহেরখোলা সড়কের পাশের একটি ভুট্টাখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শান্ত দাস হোমনা উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের অরুণ চন্দ্র দাসের ছেলে।

নিহত শান্তর বাবা অরুণ চন্দ্র দাস জানান, শান্ত দাস গতকাল বৃহস্পতিবার অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে তিনি বাড়ি যাননি। আজ সকালে ভুট্টাখেতে তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে লোকজন খবর দেন। তাঁর ধারণা, ছেলের অটোরিকশা ছিনতাই করতে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কালিয়াকৈরে যুবককে গাছে বেঁধে হাতুড়িপেটা, আটক ১

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
যুবককে গাছে বেঁধে মারধর। ছবি: সংগৃহীত
যুবককে গাছে বেঁধে মারধর। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় কুরবান আলী নামের এক মোটর মেকানিককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টান কালিয়াকৈর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে আটক ব্যক্তিকে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, দিনদুপুরে ওই যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। তবে হাতুড়িপেটার শিকার ওই যুবকের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

অভিযুক্ত ব্যক্তি দিনাজপুর সদর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে কুরবান আলী (৩২)। প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি কালিয়াকৈরের চাপাইর এলাকায় বিয়ে করে বসবাস শুরু করেন। তিনি একটি বাসের মালিক বলেও জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, গত বুধবার ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকায় একটি নারকেলগাছের সঙ্গে যুবকটিকে ‘চোর’ বলে বেঁধে রাখা হয়। এরপর হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫ থেকে ৩৫ মিনিট তাঁকে একইভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এ সময় আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষ মোবাইলে ছবি ও ভিডিও তুললেও কেউ তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। পরে আহত যুবককে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, কিন্তু এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, হাতুড়িপেটার ঘটনায় আহত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে আজ গাজীপুর জেলহাজতে পাঠানো হবে।

কুরবান আলীর কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাতে ওসি বলেন, কুরবান আলীর একটি বাস রাজধানী পরিবহন কোম্পানির অধীনে চলাচল করে। গাড়িটির মূল চালক কিছুদিন আগে হাতুড়িপেটার শিকার ওই যুবককে বদলি হিসেবে চালাতে দিয়েছিলেন। এই সুযোগে তিনি ঢাকার মিরপুরে নিয়ে বাসটি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে মূল চালক সেটি উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দেন। বদলি চালক গতকাল এলাকায় গেলে তাঁকে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পেটান কুরবান আলী। মারধরের শিকার যুবকের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। তবে মূল ভুক্তভোগীকে পেলে এর সত্যতা জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শিশু সাজিদকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশু সাজিদকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সকালের আলো ফোটার আগেই কোয়েলহাট পূর্বপাড়া থমকে যায়। মসজিদের মাইকে বারবার ভেসে আসে শিশু সাজিদের জানাজার খবর। দুদিন ধরে শোকে স্তব্ধ গ্রামের বাতাস আরও ভারী হয়ে ওঠে এ ঘোষণায়। হাজারো মানুষ চোখের পানি ফেলেন তাকে দেখতে এসে।

সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামের মাঠে জানাজা হয় দুই বছরের শিশু সাজিদের। এরপর দাফন করা হয় পাশের গোরস্তানে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার এ গ্রামের রাকিবুল ইসলামের শিশুসন্তান সাজিদ গত বুধবার দুপুরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত গর্তে পড়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় মাটির ৫০ ফুট গভীর থেকে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জানাজা শেষে তাকে নেককিড়ি কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে সবাই এক পথে চলতে থাকেন সাজিদের বাড়ির দিকে।

সাজিদের ছোট দেহটি জানাজার জন্য মাঠের দিকে নিয়ে যাওয়ার আগে বাড়িতে আবার কান্নার ঢেউ ওঠে। স্বজনদের বুকফাটা আর্তনাদ, বিশেষ করে তার মায়ের আকুতি মানুষকেও কাঁদায়। তিনি বারবার ছুটে যেতে চাইছিলেন সন্তানকে ছুঁয়ে দেখতে, জড়িয়ে ধরতে, কিন্তু তাঁকে ধরে রেখেছিলেন আশপাশের নারীরা। তবে থামাতে পারেনি তাঁর বুকফাটা আর্তনাদ।

গ্রামের মাঠে জানাজায় মানুষের ঢল নামে। কষ্ট নিয়ে গ্রামের বৃদ্ধ, তরুণ, স্কুলপড়ুয়া শিশু—সবাই এতে অংশ নেয়। জানাজার নামাজ পড়ান কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। পরে গোরস্তানে মরদেহ দাফন করা হয়। দাফন শেষে সবাই ছোট্ট শিশুটির জন্য হাত তুলে দোয়া করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাতসকালে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল যুবকের, আহত ২

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
নিহত রোমান। ছবি: সংগৃহীত
নিহত রোমান। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোহাম্মদ রোমান (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা এলাকায় চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রোমান পৌর এলাকার পূর্ব চরকুমিরা গ্রামের জমাদার বাড়ির জসিম জমাদারের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন চরকুমিরা গ্রামের আ. রফিকুল হকের ছেলে বাপ্পি (১৮) ও আ. রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ (১৭)। তাঁরা চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সকালে চরকুমিরা চিশতিয়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পরে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তায় মাছ কেনার জন্য পায়ে হেঁটে রওনা দেন রোমানসহ কয়েকজন। ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তাসংলগ্ন শীতল পাটোয়ারী বাড়ির সামনে এলে পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁদের চাপা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ এবং চালক ইমরান (২৬) ও তাঁর সহযোগী মো. ইকরামকে (২৩) আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, ইমরান ও ইকরাম দুই ভাই। তাঁরা ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তমাবাদ গ্রামের আনসার হাওলাদারের ছেলে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত