Ajker Patrika

ওএমএস বিতরণে গাফিলতি হলে জেল-জরিমানা: খাদ্যমন্ত্রী 

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২০ মে ২০২৪, ০০: ৫২
Thumbnail image

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রমে কোনো গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানারও হবে। ইতিমধ্যে ওএমএস-এর মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। 

আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল ও আটা বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ও খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন। 

এ ছাড়া বক্তব্য দেন খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ হোসেন। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কার্ডের মাধ্যমে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোনো এলাকার কার্ডধারী কি না তাও সহজে শনাক্ত হবে। এতে প্রকৃত গরিব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। 

তাদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে। ১৪ লাখ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস-এর চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরও অধিক সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন। এ সময় কার্ডে বিতরণে যাতে কোন ডুপ্লিকেশন যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। মাত্র ৩০ টাকায় ওএমএস দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন। সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মত খরচ হয়। সেই চাল ভর্তুকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত