মাদারীপুর প্রতিনিধি
আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিন ব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে মাদারীপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এই সময়ে দম নেওয়ার ফুরসত নেই কারিগরদের। তবে বছরের অন্য সময়ে মৃৎশিল্পের তেমন কোনো কাজ না থাকায় কৃষিকাজ অথবা অলস সময় পার করতে হয় এসব মৃৎশিল্লীদের।
দুর্গা উৎসব আসলে এসব মৃৎশিল্পীদের কদর বেড়ে যায়। বছরেরে অন্যান্য সময় তারা কৃষি কাজসহ বিভিন্ন পেশায় কাজকর্ম করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। করোনাকালীন পরিস্থিতির মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন এসব মৃৎশিল্পীরা। করোনা ভাইরাসের দুশ্চিন্তা থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার কারণে আনন্দ-উৎফুল্লতা নিয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা প্রতিমা তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন তারা। সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে বলে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বাড়তি চার-পাঁচ জন শ্রমিক নিয়ে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মৃৎশিল্লী পরিমল মন্ডল বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আমাদের কাজের গতি বেড়ে গেছে। এই পুরো মাস দম ফেরানোর ও সুযোগ কম আমাদের। তবে বছরের অন্য সময় মাটির কাজ থাকে না। এই এক দেড় মাসের কামাই দিয়ে পুরো বছরের সংসার চলে। আমাদের মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মতো নাই, যে কারণে আমাদের এ পেশায় থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।’
মাদারীপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্য মতে, এবছর পুরো জেলায় ৪৪৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে সবচে বেশি হবে রাজৈর উপজেলায় ২৫১ টি। এরপরে সদর উপজেলায় ৭১ টি, শিবচরে ৬৩ টি, ডাসারে ৪০টি এবং কালকিনিতে ২২টি মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে। এ সকল মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
মাদারীপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রান্তষ মণ্ডল বলেন, 'জেলায় ৪৪৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে। তবে করোনার আগে যেমন বাড়তি জাঁকজমকপূর্ণ হতো, সেটা হয়তো এবার হবে না। তবে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি আনন্দ-উল্লাস থাকবে।’
কালকিনি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কান্তি বৈদ্য বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার কারণে আমরা বড় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঈশ্বরের কৃপায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমায় পূজার আয়োজন ও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কালকিনি উপজেলা প্রশাসন ও কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি। আশা রাখি তাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবো।’
এ বিষয়য়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, 'শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বসা হবে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ করতে বিভিন্ন ধরনের দিক-নিদের্শনামূলক আলোচনা সভা করা হবে। শারদীয় উৎসবে জেলা প্রশাসন সব সময় মনিটরিং করবে। এ ছাড়া কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে। যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।’
আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিন ব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে মাদারীপুরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এই সময়ে দম নেওয়ার ফুরসত নেই কারিগরদের। তবে বছরের অন্য সময়ে মৃৎশিল্পের তেমন কোনো কাজ না থাকায় কৃষিকাজ অথবা অলস সময় পার করতে হয় এসব মৃৎশিল্লীদের।
দুর্গা উৎসব আসলে এসব মৃৎশিল্পীদের কদর বেড়ে যায়। বছরেরে অন্যান্য সময় তারা কৃষি কাজসহ বিভিন্ন পেশায় কাজকর্ম করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। করোনাকালীন পরিস্থিতির মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন এসব মৃৎশিল্পীরা। করোনা ভাইরাসের দুশ্চিন্তা থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমার কারণে আনন্দ-উৎফুল্লতা নিয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা প্রতিমা তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন তারা। সঠিক সময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করতে হবে বলে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বাড়তি চার-পাঁচ জন শ্রমিক নিয়ে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মৃৎশিল্লী পরিমল মন্ডল বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে আমাদের কাজের গতি বেড়ে গেছে। এই পুরো মাস দম ফেরানোর ও সুযোগ কম আমাদের। তবে বছরের অন্য সময় মাটির কাজ থাকে না। এই এক দেড় মাসের কামাই দিয়ে পুরো বছরের সংসার চলে। আমাদের মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা আগের মতো নাই, যে কারণে আমাদের এ পেশায় থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে।’
মাদারীপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্য মতে, এবছর পুরো জেলায় ৪৪৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে সবচে বেশি হবে রাজৈর উপজেলায় ২৫১ টি। এরপরে সদর উপজেলায় ৭১ টি, শিবচরে ৬৩ টি, ডাসারে ৪০টি এবং কালকিনিতে ২২টি মণ্ডপে পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে। এ সকল মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
মাদারীপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রান্তষ মণ্ডল বলেন, 'জেলায় ৪৪৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করব। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজার আনুষ্ঠানিকতা হবে। তবে করোনার আগে যেমন বাড়তি জাঁকজমকপূর্ণ হতো, সেটা হয়তো এবার হবে না। তবে গত বছরের চেয়ে একটু বেশি আনন্দ-উল্লাস থাকবে।’
কালকিনি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কান্তি বৈদ্য বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ার কারণে আমরা বড় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ঈশ্বরের কৃপায় করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমায় পূজার আয়োজন ও প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের জন্য মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কালকিনি উপজেলা প্রশাসন ও কালকিনি থানা অফিসার ইনচার্জসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছি। আশা রাখি তাদের সকলের সহযোগিতায় আমরা পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুতি নিতে পারবো।’
এ বিষয়য়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, 'শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বসা হবে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ করতে বিভিন্ন ধরনের দিক-নিদের্শনামূলক আলোচনা সভা করা হবে। শারদীয় উৎসবে জেলা প্রশাসন সব সময় মনিটরিং করবে। এ ছাড়া কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে। যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।’
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
৭ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
৭ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
৭ ঘণ্টা আগে