Ajker Patrika

এনবিআর কর্মকর্তাকে অপহরণ ও মারধর: দুই আসামি রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ০১
Thumbnail image

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক নারী কর্মকর্তাকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ নির্দেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া দুই আসামি হলেন মো. মাসুম ওরফে মাসুদ ও আব্দুল জলিল। যাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তিনি হলেন হাফিজুল ইসলাম ব্যাপারী ওরফে হাফিজ।

বিকেলে তিনজনকে আদালতে হাজির করে রমনা থানা-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সহিদুল ওসমান মাসুম ও আব্দুল জলিলকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। অপরজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুজনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং অপরজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আগের দিন গতকাল অটোরিকশাচালক সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রাজু ও আবু বক্কর সিদ্দিক সাব্বিরকে রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (নারী ও শিশু) মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে ঘটনার মূল হোতা মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ নম্বর ফটক থেকে অপহরণের শিকার হন ৪৮ বছর বয়সী ওই নারী কর্মকর্তা। তখন তিনি মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কয়েক ব্যক্তি মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করেন তাঁরা।

জনাকীর্ণ এলাকা থেকে প্রকাশ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন বেলা ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে একটি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন ঢাকার সবুজবাগ এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। পাশাপাশি তিন অপহরণকারীকে আটকও করেন। 

যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর বাঁ পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছেন তিনি।

এ ঘটনায় তিনি ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি গত জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। ১ আগস্ট তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত