নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যারা পুলিশের পোশাকে আঘাত করেছেন, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিপ্লব কুমার বলেন, ‘আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে, পুলিশের ইউনিফর্মে যারা আঘাত করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ইউনিফর্ম এ আঘাত মানে আইজিপি স্যারের গায়ে আঘাত, আমার কমিশনার স্যারের গায়ে আঘাত। কাজেই এই আঘাত যারা করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না। যে স্তরের নেতা হোক না কেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারী, কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে থাকুক সেখান থেকে ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দার করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে কয়েক দিনের সহিংসতা, যে নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি কোনো ভাবে ছাত্রদের আন্দোলন হতে পারে না। এটি নিশ্চিতভাবে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের আন্দোলনে মিশে, ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য করেছে। এই নাশকতার, অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে সাধারণ ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ছাত্ররা কোনোভাবে জড়িত নয়।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সময়ে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, বাস পুড়িয়েছে, ট্রেন পুড়িয়েছে, সেই সব বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে, মদদ দিয়েছে, বিনিয়োগ করেছে, নির্দেশ দিয়েছে। তাদের অনেক তথ্য পেয়েছি, আরও পাচ্ছি। যে সকল জায়গায় আক্রমণ হয়েছে, সমস্ত ফুটেজ আমরা পাচ্ছি, অসংখ্য ওপেন সোর্স থেকে ভিডিও পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ ভিডিও করে রেখেছে, সেগুলো আমাদের দিচ্ছে। আমরা সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছি। কারা কারা এই সকল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, তাদের গ্রেপ্তার করতে চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।’
ডিএমপির এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত কয়েক দিনে বিএনপি জামায়াতের যে নাশকতা তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপপ্রয়াসে বিএনপি জামায়াত এবং উগ্র মৌলবাদীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ (বুধবার) পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে রিমান্ডে আছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রায় ৬৯ পুলিশ স্থাপনায় তারা আক্রমণ করেছে, বেশ কিছু ট্রাফিক বক্স পুড়িয়েছে। কয়েকটি ফাঁড়ি থানায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বাংলাদেশ পুলিশ। এর কারণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উদ্দেশে প্রথম বুলেট ছুড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতাকারী, যারা স্বাধীনতা চেতনার বিরোধিতাকারী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মেনে নেয়নি, তারা পুলিশকেও মেনে নেই নাই। এ কারণে যে কোনো নাশকতার প্রথম টার্গেট থাকে বাংলাদেশ পুলিশ। এটা আমরা জানি, আমাদের সদস্যদের হত্যা করা হলেও, অন্যান্য সদস্যদের টলানো যায়নি।’
সহিংসতায় পুলিশের ক্ষতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ডেভেলপমেন্ট সেকশন কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার মতো সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’
একযোগে ৮ থানার ওসির বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে অন্য কোনো ঘটনা মেলানোর কোনো সুযোগ নেই।’
বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগে পুলিশের দায় আছে কি না, জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বিটিভি ভবন রক্ষা করতে ওই সময়ে তাদের কাছে থাকা সর্বোচ্চ শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও রক্ষা করতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা এত বেশি জনবল নিয়ে এসেছিল এবং ঢুকে পড়েছিল। এখানে আমাদের পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছি না। কারণ আমাদের প্রত্যেক সদস্য নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করছে।’
যারা পুলিশের পোশাকে আঘাত করেছেন, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিপ্লব কুমার বলেন, ‘আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। তাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যারা হত্যা করেছে, পুলিশের ইউনিফর্মে যারা আঘাত করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ইউনিফর্ম এ আঘাত মানে আইজিপি স্যারের গায়ে আঘাত, আমার কমিশনার স্যারের গায়ে আঘাত। কাজেই এই আঘাত যারা করেছে তাদের একজনকেও ছাড়া হবে না। যে স্তরের নেতা হোক না কেন, আশ্রয়দাতা, প্রশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারী, কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে থাকুক সেখান থেকে ধরে এনে আইনের কাঠগড়ায় দার করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে কয়েক দিনের সহিংসতা, যে নাশকতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি কোনো ভাবে ছাত্রদের আন্দোলন হতে পারে না। এটি নিশ্চিতভাবে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের আন্দোলনে মিশে, ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য করেছে। এই নাশকতার, অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে সাধারণ ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ছাত্ররা কোনোভাবে জড়িত নয়।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সময়ে অগ্নি সন্ত্রাস করেছে, বাস পুড়িয়েছে, ট্রেন পুড়িয়েছে, সেই সব বিএনপি জামায়াতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে, মদদ দিয়েছে, বিনিয়োগ করেছে, নির্দেশ দিয়েছে। তাদের অনেক তথ্য পেয়েছি, আরও পাচ্ছি। যে সকল জায়গায় আক্রমণ হয়েছে, সমস্ত ফুটেজ আমরা পাচ্ছি, অসংখ্য ওপেন সোর্স থেকে ভিডিও পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ ভিডিও করে রেখেছে, সেগুলো আমাদের দিচ্ছে। আমরা সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছি। কারা কারা এই সকল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড, তাদের গ্রেপ্তার করতে চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।’
ডিএমপির এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গত কয়েক দিনে বিএনপি জামায়াতের যে নাশকতা তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপপ্রয়াসে বিএনপি জামায়াত এবং উগ্র মৌলবাদীরা নেতৃত্ব দিয়েছে। আজ (বুধবার) পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে রিমান্ডে আছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর প্রায় ৬৯ পুলিশ স্থাপনায় তারা আক্রমণ করেছে, বেশ কিছু ট্রাফিক বক্স পুড়িয়েছে। কয়েকটি ফাঁড়ি থানায় অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বাংলাদেশ পুলিশ। এর কারণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উদ্দেশে প্রথম বুলেট ছুড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতাকারী, যারা স্বাধীনতা চেতনার বিরোধিতাকারী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা মেনে নেয়নি, তারা পুলিশকেও মেনে নেই নাই। এ কারণে যে কোনো নাশকতার প্রথম টার্গেট থাকে বাংলাদেশ পুলিশ। এটা আমরা জানি, আমাদের সদস্যদের হত্যা করা হলেও, অন্যান্য সদস্যদের টলানো যায়নি।’
সহিংসতায় পুলিশের ক্ষতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ডেভেলপমেন্ট সেকশন কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার মতো সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’
একযোগে ৮ থানার ওসির বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এর সঙ্গে অন্য কোনো ঘটনা মেলানোর কোনো সুযোগ নেই।’
বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগে পুলিশের দায় আছে কি না, জানতে চাইলে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের পুলিশ বিটিভি ভবন রক্ষা করতে ওই সময়ে তাদের কাছে থাকা সর্বোচ্চ শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও রক্ষা করতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা এত বেশি জনবল নিয়ে এসেছিল এবং ঢুকে পড়েছিল। এখানে আমাদের পুলিশের গাফিলতি ছিল বলে মনে করছি না। কারণ আমাদের প্রত্যেক সদস্য নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করছে।’
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করার সময় তিনজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ষোলোঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেহবিগঞ্জের লাখাইয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলার সিংহ গ্রামের মাইজহাটি ও দাইরল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
২২ মিনিট আগেরাজশাহীর মোহনপুরে ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল বাসার (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার চক বেলনা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল বাসার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে।
২৪ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ায় টানা ১২ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ ছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মেরামত কাজ শেষে পুনরায় যানচলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ওই বেইলি সেতুর পাটাতন খুলে সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়
২৬ মিনিট আগে