Ajker Patrika

কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন নুসরাত ফারিয়া

গাজীপুর প্রতিনিধি
নুসরাত ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত
নুসরাত ফারিয়া। ছবি: সংগৃহীত

জামিনে মুক্তি পাওয়া ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কাওয়ালীন নাহার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ দুপুরে নুসরাতের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে তাঁকে বেলা ৩টা ২৮ মিনিটে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর তিনি স্বজনদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশে চলে গেছেন।

এ সময় কারাগারের সামনে সাংবাদিকেরা অপেক্ষমাণ থাকলেও নুসরাত কারও সঙ্গে কোনো কথা না বলে অতি গোপনে বেরিয়ে যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় করা মামলায় নুসরাত আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামিন লাভ করেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

তখন শুনানি শেষে নুসরাতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ আমাদের সাবমিশনে সন্তুষ্ট হয়ে অবশেষে চলচ্চিত্র নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করলেন।’

গত রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাতকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাঁকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভাটারা থানার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই থানায় হস্তান্তর করা হয়।

গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে নুসরাতকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে তাঁকে এজলাসে উপস্থিত করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল ভূঁইয়া নুসরাতকে কারাগারে পাঠানোর এবং তাঁর আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করেছিলেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নুসরাতকে ঢাকা থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানা এলাকায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারের সংশ্লিষ্ট ২৮৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়। এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে চিত্রনায়িকা নুসরাতকে আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের ছোড়া গুলিতেই বাদী এনামুলের ডান পায়ে গুলি লাগে। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়েছিলেন বলেই কি জামিন পেলেন না অধ্যাপক আনোয়ারা

হঠাৎ ব্যাংকের ভেতরে সবাই অচেতন

সৌদি আরবে পুরুষের ‘অবাধ্য’ হলে নারীর যে পরিণতি হয়

নাহিদের সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের স্ত্রী জুঁইকে দুদকে তলব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত