রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।
ব্রিটিশ নাগরিক প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। বাবা ছিলেন বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেই সুবাদে শখের বশে বিমানবাহিনীর ক্রু হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত। ১৯৮৬ সালে একটি ফ্লাইট বিলম্ব হয় দুদিন। পরে প্যাট্রিসিয়া এ্যান বেড়িয়ে পড়েন ঢাকা শহর ঘুরে দেখতে। চোখে পড়ে ঢাকার ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন লেখা একটি সাইনবোর্ডে। ভেতরে প্রবেশ করে কথা বলে অনাথ শিশুদের সঙ্গে। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা।
এরপর নিজ দেশে যান প্যাট্রিসিয়া এ্যান। সেখানে গিয়ে তার স্বজন ও বন্ধুদের কাছে আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য সহযোগিতা চান। অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে থাকে ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন নামের প্রতিষ্ঠানকে। এতেও প্রশান্তি পাননি তিনি। নিজেই আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন। এর পর ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেনের কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় গাজীপুরের শ্রীপুর তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে ১৯৮৯ সালে ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন বিশাল শিশুপল্লী প্লাস নামে শিশু ও মায়ের আশ্রয় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র।
এ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সারা দেশে হাজারো অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু ও মায়ের লেখাপড়া কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। মানব সেবায় হাতকে আরও প্রসারিত করতে থাকেন ব্রিটিশ এই নারী। এভাবেই অনাথ শিশু ও নারীদের জন্য আলোর পথ দেখানোর স্বপ্নের সারথি হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পান তিনি।
আশি বছর বয়সী প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার এর বাবার নাম হ্যারাল্ড রবার্ট কার। তিনি ইংল্যান্ডের ওয়েলস প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবা সব সময় মানবসেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। বাবা চাকরির বাইরে যতটুকু সময় পেতেন সবটুকুই মানুষের সেবায় ব্যয় করেছেন। বাবার এ সকল কাজ আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করত। তা থেকেই আমার অসহায় আশ্রয়হীন শিশুদের জন্য কিছু করার আগ্রহ হয়। ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অর্থনৈতিক সহায়তা করতে শুরু করি। শুধু আমার বাবার টাকা নয়, আমার দেশের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা এনে তাদের সহযোগিতা করতে থাকি। তারপর আমি মনস্থির করি আমি নিজে কিছু করব।’
প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার বলেন, ফ্যামিলি ফোর চিলড্রেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে শ্রীপুরে শিশুপল্লী প্লাস নামে প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয় একের পর এক ভবন। মাঠ পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনাথ, আশ্রয়হীন শিশুদের আশ্রয় দেওয়া শুরু হয়। তাদের খাওয়া, চিকিৎসা ও পড়াশোনা বাসস্থানসহ সকল ব্যবস্থা করা হয় নিজস্ব অর্থায়নে।
‘যখন আমি দেখলাম একটি অসহায় মা তার একমাত্র শিশু সন্তানটিকে আমার কাছে রেখে সেও অসহায়ত্ব বোধ করছে। এই চিন্তা থেকে আমি শুরু করি স্বামী পরিত্যক্ত, বিধবা একেবারে হতদরিদ্র মায়েদের জন্য কিছু করা। তাঁদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ভবিষ্যতের জন্য ৩ বছর মেয়াদি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার ৬০০ টাকা জমা করা। এ ছাড়াও প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য দেওয়া হয় ৬০০ টাকা।’ বলেন, ব্রিটিশ এই নারী।
এ ছাড়াও তাদের থাকা খাওয়া জামাকাপড় সবই বহন করেন প্যাট্রিসিয়া এ্যান ভিভিয়ান কার। তিনি আরও জানান, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু করা হয়। মেয়েদের সন্তান প্রসবের সময় এটাই মায়ের বাড়ি মনে করে ওরা চলে আসে। তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থাও রয়েছে।
শিশুপল্লী প্লাসের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট মিলন রব বলেন, শিশুপল্লী প্লাসে বর্তমানে ৪৬৭ জন অনাথ, আশ্রয়হীন শিশু এবং মা রয়েছে। শিশুদের ক্লাস ওয়ান থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পাঠদান করানো হয়। এরপর ১৮ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান প্রসব সবই হয় শিশুপল্লী প্লাসে।
তিনি আরও বলেন, মায়েদের জন্য খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়। তাঁদের সেলাই, কৃষি এবং কুঠির শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা হয়। শিশুপল্লী প্লাসে শিক্ষক, প্রশিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে শতাধিক জনবলসহ অসংখ্য মাঠকর্মী রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের উৎসবে জড়ো হয় শিশুপল্লী প্লাসের সাবেক শিশু ও মায়েরা। ঈদ, পূজা সব অনুষ্ঠানেই তাঁদের সরব উপস্থিতি। এখানে বিভিন্ন ধর্মের আরাধনা করার জন্য রয়েছে মসজিদ, মন্দিরসহ অনন্য উপাসনালয়।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। কেবল স্কুলের হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের গেট থেকে প্রবেশের এবং বের হওয়ার অনুমতি আছে। অন্য কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
৪ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে রেলের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরির সময় এক চোরকে হাতেনাতে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর পোরশায় নিজ বাড়ি থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের শীতলী ফকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হাই বাবু (৪৭) এবং তাঁর স্ত্রী মোমেনা বেগম (৩৫)।
১ ঘণ্টা আগেউত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে কমিটি গঠন করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আহত, নিহত, নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও অন্যদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করে নাম-ঠিকানাসহ তালিকা তৈরি করবে ছয় সদস্যের এই কমিটি।
২ ঘণ্টা আগে