সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে শীতের সকালে গৃহস্থালির ভাঁজে ভাঁজে খেজুর রস, খেজুর গুড়ের তৈরি ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা, রসের পায়েস ও নানা ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন থাকে। এ ছাড়া খোলা চিতই, দুধ চিতই, দুধপুলি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, কলার পিঠা, মুড়ির মোয়া, খইয়ের মুড়কি—এসব মজাদার খাবার প্রতি শীতেই উৎসবে হয়। এসব পিঠাপুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত খেজুর গুড় ও রস, যা শীতকালের আনন্দকে আরও গভীর ও মিষ্টি করে তোলে। তাই সারা বছর অবহেলায় থাকা খেজুর গাছগুলো শীতের শুরুতে নতুন করে সাজে। গাছের বুক চিরে বের হয় সুমিষ্ট কাঁচা রস, যা প্রক্রিয়াজাত হয়ে গুড়ের রূপ নেয়।
সখীপুরের অধিকাংশ বাড়ির আঙিনায় খেজুরগাছ রয়েছে। রাস্তার ধারে বা আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় রস। শীতের আগমনে গাছের কাণ্ড পরিষ্কার করে কাঠি বা নলি বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে চলছে পুরোদমে রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া। তবে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং গাছ নিধনের কারণে দিন দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, শীত এলেই তিনি নিজ বাড়ির এবং প্রতিবেশীদের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। দিনে ৮ থেকে ১০ কেজি গুড় উৎপাদন হয়। শীতের তীব্রতা বাড়লে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বাড়ে, তবে তাতে যে পরিমাণ শ্রম দিতে হয়, তার তুলনায় লাভ কম হয়। তবু তিনি শখের বশে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কলেজশিক্ষক মোজাম্মেল হক সজল বলেন, বাজারে যে খেজুর গুড় পাওয়া যায়, তা মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে। তাই গাছিদের হাতে তৈরি খেজুর গুড়ের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমানে অরগানিক খেজুর গুড়ের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। অনেকেই ভোরবেলা গাছিদের বাড়িতে এসে কাঁচা রস সংগ্রহ করতে আসেন।
উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের মজনু মিয়া বলেন, প্রতি শীতে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের পিঠাপুলির আয়োজনের দাওয়াত দেন। বোন, বোন জামাই, মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতি-পুতিদের নিয়ে বাড়িতে উৎসব হয়। তাতে হাসি-আনন্দে বাড়িটি পূর্ণ হয়ে ওঠে। মনে হয় শান্তির উৎসব। খেজুর রস, গুড় ও দুধের পিঠাকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন হয়।
বিপ্লব মানিক, একজন খেজুর গুড় ব্যবসায়ী বলেন, তিনি প্রতিকেজি গুড় ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বিশেষ করে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্ডার আসে এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গুড় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার মৌশা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেজুরগাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন শুধু রাস্তার ধারে বা জমির আইলে কিছু গাছ রয়েছে। খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুর রস সংগ্রহের ঐতিহ্যও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বিশুদ্ধ রস ও গুড় পেতে হলে খেজুরগাছের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে শীতের সকালে গৃহস্থালির ভাঁজে ভাঁজে খেজুর রস, খেজুর গুড়ের তৈরি ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা, রসের পায়েস ও নানা ধরনের পিঠাপুলির আয়োজন থাকে। এ ছাড়া খোলা চিতই, দুধ চিতই, দুধপুলি পিঠা, তেলে ভাজা পিঠা, কলার পিঠা, মুড়ির মোয়া, খইয়ের মুড়কি—এসব মজাদার খাবার প্রতি শীতেই উৎসবে হয়। এসব পিঠাপুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত খেজুর গুড় ও রস, যা শীতকালের আনন্দকে আরও গভীর ও মিষ্টি করে তোলে। তাই সারা বছর অবহেলায় থাকা খেজুর গাছগুলো শীতের শুরুতে নতুন করে সাজে। গাছের বুক চিরে বের হয় সুমিষ্ট কাঁচা রস, যা প্রক্রিয়াজাত হয়ে গুড়ের রূপ নেয়।
সখীপুরের অধিকাংশ বাড়ির আঙিনায় খেজুরগাছ রয়েছে। রাস্তার ধারে বা আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় রস। শীতের আগমনে গাছের কাণ্ড পরিষ্কার করে কাঠি বা নলি বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে চলছে পুরোদমে রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া। তবে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং গাছ নিধনের কারণে দিন দিন খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় গাছি আনোয়ার হোসেন বলেন, শীত এলেই তিনি নিজ বাড়ির এবং প্রতিবেশীদের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। দিনে ৮ থেকে ১০ কেজি গুড় উৎপাদন হয়। শীতের তীব্রতা বাড়লে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বাড়ে, তবে তাতে যে পরিমাণ শ্রম দিতে হয়, তার তুলনায় লাভ কম হয়। তবু তিনি শখের বশে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কলেজশিক্ষক মোজাম্মেল হক সজল বলেন, বাজারে যে খেজুর গুড় পাওয়া যায়, তা মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে। তাই গাছিদের হাতে তৈরি খেজুর গুড়ের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। বর্তমানে অরগানিক খেজুর গুড়ের দাম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। অনেকেই ভোরবেলা গাছিদের বাড়িতে এসে কাঁচা রস সংগ্রহ করতে আসেন।
উপজেলার প্রতিমা বংকী গ্রামের মজনু মিয়া বলেন, প্রতি শীতে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের পিঠাপুলির আয়োজনের দাওয়াত দেন। বোন, বোন জামাই, মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতি-পুতিদের নিয়ে বাড়িতে উৎসব হয়। তাতে হাসি-আনন্দে বাড়িটি পূর্ণ হয়ে ওঠে। মনে হয় শান্তির উৎসব। খেজুর রস, গুড় ও দুধের পিঠাকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন হয়।
বিপ্লব মানিক, একজন খেজুর গুড় ব্যবসায়ী বলেন, তিনি প্রতিকেজি গুড় ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বিশেষ করে অনলাইন থেকে প্রচুর অর্ডার আসে এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গুড় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার মৌশা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, খেজুরগাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন শুধু রাস্তার ধারে বা জমির আইলে কিছু গাছ রয়েছে। খেজুরগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় খেজুর রস সংগ্রহের ঐতিহ্যও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বিশুদ্ধ রস ও গুড় পেতে হলে খেজুরগাছের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
২০ মিনিট আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার বারহাট্টায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বড় ভাইকে শেষ দেখা দেখলেন বাউসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আননান। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা কারাগার থেকে পুলিশ আননানকে মৌয়াটি গ্রামে নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায়
২ ঘণ্টা আগে