Ajker Patrika

১৯৯ কোটি টাকা পাচার: বেসটেক টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৯৯ কোটি টাকা পাচার: বেসটেক টেলিকমের চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের (আইজিডাব্লিউ) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বেসটেক টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার সংস্থাটির খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। 

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৯ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা হলেন—বেসটেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েত কবির এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) হাসিবুল কবির। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিটিআরসির অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসটেক টেলিকম লিমিটেড আন্তর্জাতিক টেলিফোন কলের (আইজিডাব্লিউ) সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকার গুলশানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানি বাবদ ০.৩০ ডলার কমিশন হিসেবে বিটিআরসিকে প্রদান করবে। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সে বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ মাসে বেসটেক টেলিকম ১০১,০৬, ৫৩,১০৫ মিনিট কল সেবা রপ্তানি করে যার মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৪ মার্কিন ডলার যা টাকার অঙ্কে ২৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি উক্ত আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের সেবা মূল্য বাবদ ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩৯ টাকা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার মাধ্যমে নিয়ে আসে। এ সময় বেসটেক টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ও এমডি এনায়েত কবির প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে থাকাকালীন সেবা রপ্তানি বাবদ বাকি ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৯ টাকা মূল্যের ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ১৩৪ মার্কিন ডলার পাচার বা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় বিটিআরসির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব) উপপরিচালক হাসিবুল কবিরের সংশ্লিষ্টতাও খুঁজে পায় দুদক। যার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে বা বাংলাদেশে আনয়ন যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে দেশে না আনায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২) (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত