নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মৃত্যুণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক মানবতাবিরোধী অপরাধী খলিলুর রহমানকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এসপি) আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
ইমরান খান জানান, ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর ৯ নম্বর মামলায় অভিযোগপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ সালে মো. খলিলুর রহমানসহ তাঁর ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই এলাকার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও ইউনিয়নের কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ এবং একই এলাকার রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণেরচেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পাঁচ আসামির মধ্যে মো. খলিলুর রহমান ছাড়া সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিচার চলাকালীন চার আসামি বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. খলিলুর রহমানকে (৬৮) গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়।
ইমরান আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্তকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পরে ২০১৭ সালে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে আত্মগোপনে চলে যান। রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন। আত্মগোপনে থাকাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতেন ও একাকী অবস্থান করতেন। এ সময় যোগাযোগের জন্য তিনি কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যরা গোপনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁর ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাঁর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত অর্থ প্রদান করতেন। মামলার রায় ঘোষণার পর তিনি গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তাঁর অবস্থান নিরাপদ নয় ভেবে স্থান পরিবর্তন করে সাভারে আত্মগোপন করেন।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান ১৯৫৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডীগড় ইউনিয়নের আলবদর বাহিনীতে কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মৃত্যুণ্ডাদেশ পাওয়া পলাতক মানবতাবিরোধী অপরাধী খলিলুর রহমানকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এসপি) আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
ইমরান খান জানান, ২০১৭ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর ৯ নম্বর মামলায় অভিযোগপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ সালে মো. খলিলুর রহমানসহ তাঁর ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই এলাকার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তরাব আলীর ছেলে আশক আলী, জানিরগাঁও ইউনিয়নের কদর আলীর ছেলে শাহনেওয়াজ এবং একই এলাকার রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ধ্বংস করা, ধর্ষণ ও ধর্ষণেরচেষ্টার পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পাঁচ আসামির মধ্যে মো. খলিলুর রহমান ছাড়া সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিচার চলাকালীন চার আসামি বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে চারটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. খলিলুর রহমানকে (৬৮) গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়।
ইমরান আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্তকাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পরে ২০১৭ সালে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে আত্মগোপনে চলে যান। রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন। আত্মগোপনে থাকাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতেন ও একাকী অবস্থান করতেন। এ সময় যোগাযোগের জন্য তিনি কোনো ধরনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। মাঝে মাঝে পরিবারের সদস্যরা গোপনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁর ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাঁর প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত অর্থ প্রদান করতেন। মামলার রায় ঘোষণার পর তিনি গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় তাঁর অবস্থান নিরাপদ নয় ভেবে স্থান পরিবর্তন করে সাভারে আত্মগোপন করেন।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান ১৯৫৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডীগড় ইউনিয়নের আলবদর বাহিনীতে কমান্ডার হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যায় জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে প্রতিদিন ৫ কোটি লিটারের ফারাক। অনেক জায়গায় সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে নগরবাসী। কিন্তু মানুষের ভোগান্তিকে দূরে ঠেলে নতুন মোবাইল কেনা এবং ভ্রমণ বিলাসে মেতেছেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। সংস্থার ৯১ কর্মকর্তার জন্য মোবাইল ফোন কেনা এবং ২২
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা উপকূলীয় জেলা বরগুনার ছয়টি উপজেলায় ১২ লাখ মানুষের বসবাস। তাঁদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য জেলার ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু এক যুগেও হাসপাতালটির শূন্য পদে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত একটি পানি সরবরাহ প্রকল্পে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পটি তিন বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও আজ পর্যন্ত পৌরবাসীর ঘরে পৌঁছায়নি একফোঁটা পানি। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এর অগ্রগতি ‘শূন্য’। ঠিকাদারি প্রত
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানসহ পর্যটন এলাকায় গতি আনতে ২০১৮ সালে তাহিরপুরের ডাম্পের বাজার এলাকায় পাটলাই নদের ওপর সেতু নির্মাণ শুরু হয়। তিন বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। উল্টো গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেতু চালু নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে