প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
কোলাহলে মুখর থাকা শিবচরের বাংলাবাজার লঞ্চ ও স্পিডবোটঘাটে এখন ভুতুড়ে নীরবতা বিরাজ করছে। লঞ্চঘাটের টার্মিনালে থাকা সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লঞ্চের মালিক-শ্রমিকেরা মাঝেমধ্যে ঘাট এলাকায় ঢুঁ মারলেও জনসাধারণের লঞ্চ টার্মিনাল অংশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে ফেরিতে কোনো যাত্রী পার হচ্ছে না। তবে পণ্যবাহী ট্রাক আর জরুরি যানবাহন কিছু কিছু পার হওয়ায় ফেরিঘাটে লোকজনের কিছুটা চলাচল থাকলেও লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের অংশ বর্তমানে সুনসান নীরব।
লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যতবারই লকডাউন ঘোষণা হয়েছে, গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রাখা হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। তবে সে সময় হাজার হাজার যাত্রীর ফেরিতে ছিল অবাধ পারাপার। আর্থিকভাবে লঞ্চ মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ফেরিঘাটের ইজারাদারদের লাভের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারি এই সিদ্ধান্ত সব সময় মেনে নিয়েছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। লঞ্চের চালক-শ্রমিক থেকে শুরু করে সব কর্মচারীর লকডাউনের মধ্যেও বেতন-ভাতা চালু রেখেছেন তাঁরা।
এদিকে গত ৩ মে সকালে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে স্পিডবোটডুবিতে ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সব স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে এই নৌরুটে। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট পাশাপাশি থাকায় লকডাউনে ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা এই ঘাট এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, লঞ্চ ও ফেরিঘাট আলাদা। লঞ্চঘাট থেকে ফেরিঘাটের মাঝে বেশ কিছুটা পথের দূরত্বও রয়েছে। লকডাউনে জরুরি পরিবহনের জন্য ফেরি চালু থাকায় ফেরিঘাটে লোকজনের আনাগোনা রয়েছে। আর পুরো লঞ্চঘাট জনমানবশূন্য।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে নৌরুটে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন শুরু হলে নৌরুটের ফেরিতেও বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার। পণ্যবাহী ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করলেও তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটের অংশে চারটি লঞ্চঘাট ও একটি স্পিডবোটঘাট ঘিরে দুই শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের বিচরণ এই ঘাট এলাকা এখন জনমানবশূন্য। ঘাটের পন্টুনে নোঙর করে রাখা রয়েছে লঞ্চগুলো। অলস পড়ে আছে স্পিডবোট।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শ আক্তার হোসেন বলেন, ‘নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। এ ছাড়া স্পিডবোটের সংখ্যা দুই শতাধিক। যদিও স্পিডবোট চলাচলের কোনো বৈধতা নেই। গত ৩ মে থেকে সম্পূর্ণভাবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের পারাপারের সবচেয়ে জনপ্রিয় নৌযান হলো লঞ্চ। তবে লকডাউনে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ থাকছে। আর লঞ্চ বন্ধ থাকলে এই লঞ্চঘাট জনমানবশূন্যতায় পরিণত হয়। কেমন যেন ভুতুড়ে পরিবেশ ঘাটে।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে নৌরুটে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক আর জরুরি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে গত দুই দিনে। উভয় ঘাটেই কোনো আটকে থাকা ট্রাক নেই। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গাড়ি এলেই ফেরি ছাড়ছে। তবে ঘাটে গাড়িও দীর্ঘসময় পরপর আসছে।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘাট ফাঁকা রয়েছে। কোনো ট্রাক নেই ঘাটে। সকাল থেকে দুই-একটা করে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। তা নিয়েই ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের চেয়ে আজকের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেকটাই সুনসান নীরবতা ঘাটে।
এদিকে ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। ঘাটে প্রবেশের সব পথেই রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। লঞ্চ ও ফেরিঘাটে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ঘাটে কোনো থ্রি-হুইলার প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. জামালউদ্দিন।
তিনি বলেন, যাত্রী নেই, যানবাহনও নেই। ঘাট এলাকায় কোনো চাপ নেই এখন। ঘাটের চিত্র পাল্টে গেছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।
কোলাহলে মুখর থাকা শিবচরের বাংলাবাজার লঞ্চ ও স্পিডবোটঘাটে এখন ভুতুড়ে নীরবতা বিরাজ করছে। লঞ্চঘাটের টার্মিনালে থাকা সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লঞ্চের মালিক-শ্রমিকেরা মাঝেমধ্যে ঘাট এলাকায় ঢুঁ মারলেও জনসাধারণের লঞ্চ টার্মিনাল অংশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।
১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে ফেরিতে কোনো যাত্রী পার হচ্ছে না। তবে পণ্যবাহী ট্রাক আর জরুরি যানবাহন কিছু কিছু পার হওয়ায় ফেরিঘাটে লোকজনের কিছুটা চলাচল থাকলেও লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটের অংশ বর্তমানে সুনসান নীরব।
লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে যতবারই লকডাউন ঘোষণা হয়েছে, গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ রাখা হয়েছে লঞ্চ চলাচলও। তবে সে সময় হাজার হাজার যাত্রীর ফেরিতে ছিল অবাধ পারাপার। আর্থিকভাবে লঞ্চ মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ফেরিঘাটের ইজারাদারদের লাভের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুণ। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সরকারি এই সিদ্ধান্ত সব সময় মেনে নিয়েছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। লঞ্চের চালক-শ্রমিক থেকে শুরু করে সব কর্মচারীর লকডাউনের মধ্যেও বেতন-ভাতা চালু রেখেছেন তাঁরা।
এদিকে গত ৩ মে সকালে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে স্পিডবোটডুবিতে ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে সব স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে এই নৌরুটে। স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট পাশাপাশি থাকায় লকডাউনে ভুতুড়ে নিস্তব্ধতা এই ঘাট এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, লঞ্চ ও ফেরিঘাট আলাদা। লঞ্চঘাট থেকে ফেরিঘাটের মাঝে বেশ কিছুটা পথের দূরত্বও রয়েছে। লকডাউনে জরুরি পরিবহনের জন্য ফেরি চালু থাকায় ফেরিঘাটে লোকজনের আনাগোনা রয়েছে। আর পুরো লঞ্চঘাট জনমানবশূন্য।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২২ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে নৌরুটে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন শুরু হলে নৌরুটের ফেরিতেও বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার। পণ্যবাহী ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি চলাচল করলেও তেমন চাপ নেই। লঞ্চঘাটের অংশে চারটি লঞ্চঘাট ও একটি স্পিডবোটঘাট ঘিরে দুই শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের বিচরণ এই ঘাট এলাকা এখন জনমানবশূন্য। ঘাটের পন্টুনে নোঙর করে রাখা রয়েছে লঞ্চগুলো। অলস পড়ে আছে স্পিডবোট।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শ আক্তার হোসেন বলেন, ‘নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ রয়েছে। এ ছাড়া স্পিডবোটের সংখ্যা দুই শতাধিক। যদিও স্পিডবোট চলাচলের কোনো বৈধতা নেই। গত ৩ মে থেকে সম্পূর্ণভাবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের পারাপারের সবচেয়ে জনপ্রিয় নৌযান হলো লঞ্চ। তবে লকডাউনে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ থাকছে। আর লঞ্চ বন্ধ থাকলে এই লঞ্চঘাট জনমানবশূন্যতায় পরিণত হয়। কেমন যেন ভুতুড়ে পরিবেশ ঘাটে।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হলে নৌরুটে যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক আর জরুরি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে গত দুই দিনে। উভয় ঘাটেই কোনো আটকে থাকা ট্রাক নেই। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গাড়ি এলেই ফেরি ছাড়ছে। তবে ঘাটে গাড়িও দীর্ঘসময় পরপর আসছে।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘাট ফাঁকা রয়েছে। কোনো ট্রাক নেই ঘাটে। সকাল থেকে দুই-একটা করে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। তা নিয়েই ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনের চেয়ে আজকের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনেকটাই সুনসান নীরবতা ঘাটে।
এদিকে ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। ঘাটে প্রবেশের সব পথেই রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। লঞ্চ ও ফেরিঘাটে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ঘাটে কোনো থ্রি-হুইলার প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. জামালউদ্দিন।
তিনি বলেন, যাত্রী নেই, যানবাহনও নেই। ঘাট এলাকায় কোনো চাপ নেই এখন। ঘাটের চিত্র পাল্টে গেছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা ঘাটে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঝিনাইদহে পিকনিকে গিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বাগেরহাট সদরের চুলকাঠি এলাকার শিশু কানন আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অহনা ইসলাম মৌ, ৪র্থ শ্রেণির আম্মার, উজান কর্মকার, ১ম শ্রেণির মায়াং
২০ মিনিট আগেবরগুনার তালতলি উপজেলায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খানকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা হাবিব উল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেসীমান্ত হত্যা বন্ধে দফায় দফায় বাংলাদেশ ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত ১৫ বছরে কেবল যশোরের শার্শা-বেনাপোল সীমান্তেই বাহিনীটির হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন ৪১ বাংলাদেশি। এ সময় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন
৩০ মিনিট আগেসুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
১ ঘণ্টা আগে