Ajker Patrika

পাকুন্দিয়ায় বিএনপির ১৩৯ নেতা কর্মীর নামে পুলিশের মামলা, আটক ২৩ 

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
পাকুন্দিয়ায় বিএনপির ১৩৯ নেতা কর্মীর নামে পুলিশের মামলা, আটক ২৩ 

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে থানায় মামলা হয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন ও আতিকুর রহমান মাসুদসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৩৯ জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখসহ দেড় হাজার নেতা কর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

আজ রোববার সকালে পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২৩ নেতা কর্মী ও সমর্থককে আটক করা হয়েছে। দুপুরে পুলিশ হেফাজতে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা ও আটকের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান। 

পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত দুই বিএনপি নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আইনজীবী মো. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী মিছিল নিয়ে পৌর সদর বাজারের দিকে যায়। এ সময় সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে তারা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ও কার্তুজ (রাবার বুলেট) ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এদিকে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন ও আতিকুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা কর্মীরা একই দাবিতে মিছিল নিয়ে পৌর সদর বাজারে আসার সময় টিঅ্যান্ডটি রোডে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সেখানেও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও কার্তুজ ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এসব সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৯ জন সদস্য, আওয়ামী লীগের ৮-১০ জন নেতা কর্মী এবং বিএনপির শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পৌর ছাত্রদল নেতা সাব্বির হোসেন শ্রাবণের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। পুলিশের ছোরা কার্তুজে গুরুতর আহত শ্রাবণ বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সার্বক্ষণিক শ্রাবণের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত