আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
২০১৫ সালের বর্ষবরণ উৎসবেও উপচে পড়া ভিড় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায়। ওই ভিড়ে বেশ কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্তরের মানুষের এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে মামলা হয়। বিচারের আশাও দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিচার ৯ বছর ধরে ঝুলে আছে এই বিচার কার্যক্রম।
বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি (পিপি) মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, এই মামলায় মোট ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই অবস্থায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার রায়ের তারিখও ধার্য করা হয়।
পরে সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং মামলার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আরও সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজন। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসেন। এরপর আর সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।
পিপি রেজাউল করিম বলেন, ‘এই মামলায় বেশির ভাগ সাক্ষী পুলিশ সদস্য। তাদের বারবার অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও, সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। এ কারণেই মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।’
তবে সরকারি এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা সাক্ষীদের হাজির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব দ্রুত এই মামলার বিচার নিষ্পত্তি করা হবে। বিজ্ঞ বিচারক এই মামলাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।’
২০১৫ সালের ওই ঘটনায় সেদিন সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার পর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজন লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণাও দেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
অন্যদিকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস। প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়ী কামালকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আট লাঞ্ছনাকারীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্য সাতজনকে খুঁজে না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে।
কিন্তু গত ৯ বছরেও এই ধরনের কোনো সম্পূরক অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।
২০১৫ সালের বর্ষবরণ উৎসবেও উপচে পড়া ভিড় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায়। ওই ভিড়ে বেশ কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্তরের মানুষের এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদের মুখে মামলা হয়। বিচারের আশাও দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বিচার ৯ বছর ধরে ঝুলে আছে এই বিচার কার্যক্রম।
বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি (পিপি) মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে জানান, এই মামলায় মোট ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। এর মধ্যে মাত্র ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই অবস্থায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার রায়ের তারিখও ধার্য করা হয়।
পরে সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং মামলার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আরও সাক্ষ্য গ্রহণের প্রয়োজন। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসেন। এরপর আর সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।
পিপি রেজাউল করিম বলেন, ‘এই মামলায় বেশির ভাগ সাক্ষী পুলিশ সদস্য। তাদের বারবার অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলেও, সাক্ষ্য দিতে আসছেন না। এ কারণেই মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।’
তবে সরকারি এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা সাক্ষীদের হাজির করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব দ্রুত এই মামলার বিচার নিষ্পত্তি করা হবে। বিজ্ঞ বিচারক এই মামলাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।’
২০১৫ সালের ওই ঘটনায় সেদিন সন্ধ্যায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার পর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজন লাঞ্ছনাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণাও দেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
অন্যদিকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস। প্রতিবেদনে আসামি খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয়। তবে ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়ী কামালকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আট লাঞ্ছনাকারীর মধ্যে একজনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্য সাতজনকে খুঁজে না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের খুঁজে পাওয়া গেলে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে।
কিন্তু গত ৯ বছরেও এই ধরনের কোনো সম্পূরক অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও জড়িত সব আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে লাঠি ও ঝাড়ুমিছিল হয়েছে। আজ রোববার সকালে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ দীঘিনালা উপজেলা শাখা এই বিক্ষোভ করে।
৩ মিনিট আগেট্রাকের মালিক বগুড়ার মালীপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ট্রাকটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি।’ এরপর বিষয়টি ওসিকে জানানো হলে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আপনার ট্রাকটি উদ্ধার করতেই হবে। তা না হলে এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। এরপর ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেউত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে নিহত কুমিল্লার মাহতাব রহমান ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদল। আজ রোববার দুপুরে তারা দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের উখারী গ্রামে মাহতাবের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং পারিবার
১৭ মিনিট আগেনরসিংদীর শিবপুরে ডোবায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের মুন্সেফেরচর (ইটাখোলা) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া শিশু দুটি হলো মুন্সেফেরচর কাঁঠালতলা এলাকার শাকিল মিয়ার ছেলে আলিফ মিয়া (০৩) ও একই এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে মায়ামনি (০৩)।
৩৩ মিনিট আগে