বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছেন মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এক নারী সহকর্মী।
এ ঘটনাকে ‘অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত’ হিসেবে বর্ণনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসককে নিজের রুমে ডাকতেন এবং ‘অশ্লীল ও আপত্তিকর’ প্রস্তাব দিতেন। এদিন রুমে ডেকে ভুক্তভোগীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখেন তিনি। তখন সেখানের আর কেউ ছিল না। পরে ওই ছবি ব্যবহার করে শহীদুল্লাহ ভুক্তভোগীকে নিয়মিত হুমকি দিতেন। ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের অ্যালামনাই রুমে ডা. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ভুক্তভোগীর দেখা হলে একা পেয়ে জোরপূর্বক তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পরে ভুক্তভোগী বাঁচার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তিন বছর যাবত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মনোরোগ বিভাগ হিসেবে কর্মরত আছি। ডা. শহীদুল্লাহ বিভিন্ন সময় রুমে ডেকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। আমার সিনিয়র, তাই চাকরির নিরাপত্তার স্বার্থে আমি শুরুতে কিছুই জানায়নি। তারপরও বিভিন্ন কাজের অজুহাতে যখন রুমে একা থাকত, আমাকে তার রুমে আসার জন্য ডাকত। আর প্রায় দিনই আমি এড়িয়ে যেতাম। আমার সঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পরিবারের কাছে ছড়িয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়। আমি সামাজিক মানসম্মানের ভয়ে তাৎক্ষণিক চুপ থাকি। গত ২৫ জানুয়ারির ঘটনার পর বিষয়টি আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় মামলা করি। এরই মাঝে আমার নামে আমার পরিবারের কাছেও ডা. শহীদুল্লাহ নানান অপপ্রচার করে।’
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার সাথে যা হয়েছে, আমি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং অনভিপ্রেত। ওই নারী চিকিৎসক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর। আগামীকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নারী নির্যাতন সেল আছে, সেখানেও অভিযোগ করবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রহমান আজ শুক্রবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আসামি ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান আজকের পত্রিকারকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউর নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন আরেক সহকর্মী চিকিৎসক। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আসামিকে আইনের আওতায় আনব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের দুটি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে একটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যটিতে তিনি ‘হ্যালো’ বলে রেখে দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেছেন মনোরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এক নারী সহকর্মী।
এ ঘটনাকে ‘অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত’ হিসেবে বর্ণনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসককে নিজের রুমে ডাকতেন এবং ‘অশ্লীল ও আপত্তিকর’ প্রস্তাব দিতেন। এদিন রুমে ডেকে ভুক্তভোগীকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলে রাখেন তিনি। তখন সেখানের আর কেউ ছিল না। পরে ওই ছবি ব্যবহার করে শহীদুল্লাহ ভুক্তভোগীকে নিয়মিত হুমকি দিতেন। ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের অ্যালামনাই রুমে ডা. শহীদুল্লাহর সঙ্গে ভুক্তভোগীর দেখা হলে একা পেয়ে জোরপূর্বক তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। পরে ভুক্তভোগী বাঁচার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তিন বছর যাবত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মনোরোগ বিভাগ হিসেবে কর্মরত আছি। ডা. শহীদুল্লাহ বিভিন্ন সময় রুমে ডেকে আপত্তিকর প্রস্তাব দিত। আমার সিনিয়র, তাই চাকরির নিরাপত্তার স্বার্থে আমি শুরুতে কিছুই জানায়নি। তারপরও বিভিন্ন কাজের অজুহাতে যখন রুমে একা থাকত, আমাকে তার রুমে আসার জন্য ডাকত। আর প্রায় দিনই আমি এড়িয়ে যেতাম। আমার সঙ্গে তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও পরিবারের কাছে ছড়িয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয়। আমি সামাজিক মানসম্মানের ভয়ে তাৎক্ষণিক চুপ থাকি। গত ২৫ জানুয়ারির ঘটনার পর বিষয়টি আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় মামলা করি। এরই মাঝে আমার নামে আমার পরিবারের কাছেও ডা. শহীদুল্লাহ নানান অপপ্রচার করে।’
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমার সাথে যা হয়েছে, আমি মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত এবং অনভিপ্রেত। ওই নারী চিকিৎসক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর। আগামীকাল শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিনি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নারী নির্যাতন সেল আছে, সেখানেও অভিযোগ করবেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বজলুর রহমান আজ শুক্রবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আসামি ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান আজকের পত্রিকারকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউর নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন আরেক সহকর্মী চিকিৎসক। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আসামিকে আইনের আওতায় আনব।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজের দুটি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে একটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যটিতে তিনি ‘হ্যালো’ বলে রেখে দেন।
বগুড়ায় ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ মিনিট আগেপ্রখর রোদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯৮তম পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবারের ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। আজ শনিবার (৭ জুন) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া জামাতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।
১০ মিনিট আগেঈদুল আজহার প্রধান জামাত ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে অংশ নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা
২৬ মিনিট আগেভিডিও দেখা গেছে, গামছা দিয়ে মুখ বাঁধা কয়েকজনকে হাতে বড় বড় অস্ত্র নিয়ে আশপাশে কিছু একটা খোঁজাখুঁজি করতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, ফুলপ্যান্ট ও হাফপ্যান্ট পরা ছিল। এ ছাড়া স্পিডবোট নিয়ে তাদের অস্ত্র তাক করে আসতে দেখা যায়।
১৩ ঘণ্টা আগে