Ajker Patrika

প্রাণের বইমেলা শুরু আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৬
প্রাণের বইমেলা শুরু আজ

অপেক্ষার পালা শেষ। সব শঙ্কা পেছনে ফেলে অবশেষে আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে বইমেলা। বইপ্রেমীদের প্রাণস্পন্দনে আবার সরব হয়ে উঠবে বাংলা একাডেমি ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ভাষার মাসের প্রথম দিন থেকেই বইমেলা শুরু হওয়ার রেওয়াজ। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেরিতেই শুরু হচ্ছে মেলার ৩৮তম আসর। শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

গতকাল সোমবার শেষ দিনের মতো মেলা প্রাঙ্গণে হাতুড়ি-পেরেকের ঠোকাঠুকি, রং-ব্রাশের মাখামাখিতে ব্যস্ত সময় কাটান শ্রমিকেরা। নির্মাণ, সাজগোজের এই কর্মযজ্ঞের উপলক্ষ একটিই—মেলা জমিয়ে তোলা। আজ বেলা ৩টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বইপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে মেলা।

বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গতকাল মেলার খুঁটিনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেয় বাংলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এদিন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ দেওয়া হবে।

মেলার সময়সীমা কমে যাওয়ার বিষয়ে প্রকাশকদের হতাশায় আশার বাণী শুনিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখন যে হারে করোনার সংক্রমণ কমছে, সে হারে কমলে বইমেলার সময় বাড়ানো হবে।’

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। ছুটির দিন মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট থাকবে। মেলার খাবারের দোকানে ঢুকতে হলে সবার অবশ্যই টিকার সনদ থাকতে হবে।

মেলা আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব ড. জালাল আহমেদ জানান, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায় হবে এবারের মেলা। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭৭৬টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় ৩৫টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। তা ছাড়া লিটল ম্যাগাজিন ও শিশু চত্বর এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশপথ ও তিনটি বাহির পথ থাকবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিদিন মেলার মূল মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।

সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে জালাল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ দায়িত্ব পালন করবে। তিন শতাধিক ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকছে। পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ।’

এদিকে গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় স্টল নির্মাণের কাজ চলছে। অনন্যা প্রকাশনীর স্টলের মিস্ত্রি জয়নাল বলেন, ‘আশা করছি রাতের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত