Ajker Patrika

ফারদিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ১০ জন: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১৪: ১০
ফারদিন হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় ১০ জন: র‍্যাব

বুয়েটের ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে (২৪) চনপাড়া বস্তির মোড় থেকে মাদক ব্যবসায়ী একটি চক্র জোর করে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বস্তির ভেতরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ৮-১০ জন জড়িত ছিল, যারা সবাই চনপাড়া বস্তির মাদক ব্যবসায়ী। সেদিন ফারদিনের সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তবে তাঁর বিস্তারিত তথ্য জানায়নি র‍্যাব। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

র‍্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ফারদিন হত্যায় ৮ থেকে ১০ জন অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হত্যার মোটিভ জানার চেষ্টা চলছে।’

র‍্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, ‘ফারদিন সেদিন নিজেই ডেমরার চনপাড়া বস্তির মোড় পর্যন্ত যান। এরপর কোনো বিষয় নিয়ে ফারদিনকে ফাঁদে ফেলে “ফিটিং দিয়ে” জিম্মি করে এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চনপাড়া বস্তিতে জোর করে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এরপর তাঁকে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মরদেহ ফেলে গুম করার চেষ্টা করা হয়।’

ফারদিন হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকেই ছায়া তদন্ত করছে র‍্যাব। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, ‘চনপাড়া বস্তিকেন্দ্রিক গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা নানা কৌশলে ফাঁদেও ফেলে অনেককে। কেউ আবার তাদের তৈরি করা ফাঁদে পা দেন। ওই রাতে চনপাড়ায় কোনো ধরনের ফাঁদে ফারদিনকে ফেলা হয়েছিল কি না, তা আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এত রাতে চনপাড়া এলাকায় তাঁর উপস্থিতি বের করার চেষ্টা চলছে।’ 

র‍্যাবের কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘তারা হয়তো বিকাশে টাকা-পয়সা নিতে চেয়েছিল। এ জন্য হয়তো মারধর করা হয়েছে। তবে ফারদিনের সঙ্গে ওই সময় আরও কেউ ছিল। পুরো বিষয়টি জানার জন্য জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।’ 

গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর গত বুধবার দিবাগত রাতে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন বাবা নূর উদ্দীন রানা। ওই মামলায় বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেভাবেই তাকে হত্যা করা হোক না কেন, যারাই হত্যা করুক, তার সন্দেহাতীত একটি তদন্ত প্রতিবেদন হওয়া উচিত, যা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাব না, কিন্তু অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়েছে এটা দেখতে চাই। এ জন্যই আমি মামলা করেছি।’

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত