Ajker Patrika

‘আমাদের পাশে কেউ এসে দাঁড়ালো না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আমাদের পাশে কেউ এসে দাঁড়ালো না’

‘প্রতিদিন সকালে আসি। সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে থাকি। এভাবে পঁচিশটা দিন চলে গেল। একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলেন। কিন্তু আমাদের পাশে কেউ এসে দাঁড়ালো না।’ এ কথাগুলো বলছিলেন প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন। প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে আজ বুধবারসহ টানা ২৫ দিন গণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নিয়োগ বঞ্চিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা জানান, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগের বদলে বদলির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। নিয়োগ শেষে দেখা যাচ্ছে অর্ধেকের বেশি পদ ফাঁকাই রয়ে গেছে। এতে করে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

নিবন্ধনধারী কাকলি আক্তার বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমন্বয়হীনতা শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছে। প্রতিটা স্কুল, কলেজের বিপরীতে আলাদা করে আবেদন করতে হওয়ায় নিয়োগপ্রত্যাশীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। 

সংগঠনের সভাপতি আমীর হোসেন বলেন, আমাদের দাবিগুলো তো যৌক্তিক। তারপরও এনটিআরসিএ বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেউ আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালো না। এনটিআরসিএতে আমরা কয়েকবার স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু কিছুই হলো না। 

এনটিআরসিএর নিয়োগ জটিলতা কাটাতে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে গত ৫ জুন রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন এই নিবন্ধনধারী শিক্ষকেরা। 

অনশনরত নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো-বিটিআরসিএর নিবন্ধিত সনদধারীদের প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে, বৈধ সনদধারী চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হবে, ইনডেক্সধারীদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গণ অনশন চলবে বলে জানান তারা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত