ঢামেক প্রতিনিধি
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর কলেজ রোডে তিনজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জীবন।
নিহত জীবন কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পশ্চিমঘর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচর কলেজ রোডে নুরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত জীবনের বাবা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘জীবন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বর্তমানে একটি কার্টন কারাখানায় কাজ করত। রাতে কলেজ রোডে একটি মারামারির ঘটনা শুনতে পাই। তবে কী নিয়ে মারামারি হয়েছে, তা জানতে পারিনি। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে জীবন ছিল বড়।’
নিহত জীবনের বন্ধু মো. নীরব বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন মিলে কলেজ রোডে ক্রিকেট খেলি। পরে বিজয়সহ মোট আটজন বন্ধু কলেজের ১ নম্বর গেটে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় অন্য এলাকার প্রায় ৪০-৫০ জন সেখানে জড়ো হয় এবং সেখানে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে তাঁদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নাজমুল, হৃদয়, বাবুসহ কয়েকজন বিজয়, রাফি ও জীবনকে ছুরিকাঘাত করে।’
নীরবের দাবি, ‘এর আগে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা ছিল না। তারা দুই গ্রুপ মোবাইল নিয়ে মারামারি করে। আমরা বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জীবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। এর মধ্যে জীবন নামে এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পেটে, পাঁজরে ও পিঠে ছুরিকাঘাত ছিল।
বাচ্চু মিয়া আরও জানান, আহত রাফির বাম পাঁজরে ছুরিকাঘাত রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত বিজয়ের হাতে আঘাত ছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মোবাইল হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে তৃতীয় পক্ষের একজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘ওই এলাকার নোমান নামের একজনের মোবাইল হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে তাঁর রুমমেট শামীমকে সন্দেহ করে। এ নিয়ে শামীম ও নোমানের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নোমান তাঁর বন্ধু হৃদয় ও বাবুসহ কয়েকজন মিলে গতকাল শুক্রবার রাতে কলেজ রোডে একটি গলিতে শামীমের ওপর হামলা করে। ঘটনার সময় সেখানে অবস্থান করা এলাকার কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন মারামারি না করার জন্য। একপর্যায়ে হৃদয়, বাবু ও নোমান মিলে জীবনসহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে জীবন মারা যান।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নোমান, শামীমসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচর কলেজ রোডে তিনজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জীবন।
নিহত জীবন কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পশ্চিমঘর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচর কলেজ রোডে নুরু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত জীবনের বাবা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘জীবন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বর্তমানে একটি কার্টন কারাখানায় কাজ করত। রাতে কলেজ রোডে একটি মারামারির ঘটনা শুনতে পাই। তবে কী নিয়ে মারামারি হয়েছে, তা জানতে পারিনি। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে জীবন ছিল বড়।’
নিহত জীবনের বন্ধু মো. নীরব বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন মিলে কলেজ রোডে ক্রিকেট খেলি। পরে বিজয়সহ মোট আটজন বন্ধু কলেজের ১ নম্বর গেটে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় অন্য এলাকার প্রায় ৪০-৫০ জন সেখানে জড়ো হয় এবং সেখানে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে তাঁদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নাজমুল, হৃদয়, বাবুসহ কয়েকজন বিজয়, রাফি ও জীবনকে ছুরিকাঘাত করে।’
নীরবের দাবি, ‘এর আগে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা ছিল না। তারা দুই গ্রুপ মোবাইল নিয়ে মারামারি করে। আমরা বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জীবনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। এর মধ্যে জীবন নামে এক যুবক মারা গেছেন। তাঁর পেটে, পাঁজরে ও পিঠে ছুরিকাঘাত ছিল।
বাচ্চু মিয়া আরও জানান, আহত রাফির বাম পাঁজরে ছুরিকাঘাত রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত বিজয়ের হাতে আঘাত ছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মোবাইল হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে তৃতীয় পক্ষের একজন মারা যায়। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘ওই এলাকার নোমান নামের একজনের মোবাইল হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে তাঁর রুমমেট শামীমকে সন্দেহ করে। এ নিয়ে শামীম ও নোমানের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে নোমান তাঁর বন্ধু হৃদয় ও বাবুসহ কয়েকজন মিলে গতকাল শুক্রবার রাতে কলেজ রোডে একটি গলিতে শামীমের ওপর হামলা করে। ঘটনার সময় সেখানে অবস্থান করা এলাকার কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন মারামারি না করার জন্য। একপর্যায়ে হৃদয়, বাবু ও নোমান মিলে জীবনসহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে জীবন মারা যান।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নোমান, শামীমসহ আরও বেশ কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৫ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৫ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৬ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৬ ঘণ্টা আগে