Ajker Patrika

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫ 

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ৫৪
Thumbnail image

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে।

আহতরা হলেন শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

আহতদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাঁর নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাতবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সি নামের এক যুবক মারা যান।

সেই ঘটনার জের ধরে আজ (বুধবার) আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় তাঁরা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে-অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে ওঠে আশপাশ। এ ছাড়া দুপক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাতবর অভিযোগ করে বলেন, ‘বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারীর লোকজন গতকাল ফেসবুকে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। আজ সকালে তারা হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন আহত হয়েছে।’

সংঘর্ষে আহতদের চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাতবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী বলেন, ‘জলিল মাতবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর যাবৎ বিলাসপুর ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের কয়েকজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে।’

যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত