নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নামার পর তুলে নিয়ে ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার পর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের এক এএসআইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো পুলিশের এএসআই হলেন মো. আশরাফুল আলম। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমে এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে দিয়াবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি উত্তরায় বদলি করা হয়েছে।
সকালে আসামি আশরাফুল তার আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমানের মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুপুরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে উনত্রিশ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ডিবি পুলিশের’- শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় একটি দৈনিক পত্রিকায়। বিষয়টি দুদকের নজরে এলে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ওই ব্যবসায়ী কে এম আক্কাছ কোম্পানির কাজে একটি বিমানে ঢাকায় এসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
সেখান থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তারা আরো ৮০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিকাশ ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে আরও টাকা নেয়।
দুদক বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে, টাকা কেড়ে নেওয়া এবং বিকাশ ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টির কোনো প্রমাণ নেই। তবে ওই ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত দুইটি ব্যাংক চেক এর মাধ্যমে এ এস আই আশরাফুল আলম দুটি ব্যাংক থেকে (এবি ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক) পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এএসআই আশরাফুল এই টাকা উত্তলনের কথা স্বীকার করেন এবং তিনি জানান কে এম আক্কাছ ডিবিতে কাজ করতেন এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার দুইজন আত্মীয়ের চাকর দেওয়ার বিষয় টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফেরত দেওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই পুলিশের এসআই একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করার কারণে দুদক পরে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, এএসআই আশরাফুল সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে তার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেন উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) জালাল উদ্দিন আহম্মদ। ঘটনাটি তদন্ত করে দুদকের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই এসআই আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ীকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নামার পর তুলে নিয়ে ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেওয়ার পর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের এক এএসআইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো পুলিশের এএসআই হলেন মো. আশরাফুল আলম। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমে এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তাকে দিয়াবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি উত্তরায় বদলি করা হয়েছে।
সকালে আসামি আশরাফুল তার আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমানের মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুপুরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ‘ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে উনত্রিশ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ডিবি পুলিশের’- শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় একটি দৈনিক পত্রিকায়। বিষয়টি দুদকের নজরে এলে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ওই ব্যবসায়ী কে এম আক্কাছ কোম্পানির কাজে একটি বিমানে ঢাকায় এসে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
সেখান থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। তারা আরো ৮০ লাখ টাকা দাবি করে। পরে বিকাশ ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে আরও টাকা নেয়।
দুদক বিষয়টি তদন্ত করে জানতে পারে, টাকা কেড়ে নেওয়া এবং বিকাশ ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টির কোনো প্রমাণ নেই। তবে ওই ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত দুইটি ব্যাংক চেক এর মাধ্যমে এ এস আই আশরাফুল আলম দুটি ব্যাংক থেকে (এবি ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক) পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এএসআই আশরাফুল এই টাকা উত্তলনের কথা স্বীকার করেন এবং তিনি জানান কে এম আক্কাছ ডিবিতে কাজ করতেন এবং পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে তার দুইজন আত্মীয়ের চাকর দেওয়ার বিষয় টাকা নিয়েছিলেন। ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফেরত দেওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই পুলিশের এসআই একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করার কারণে দুদক পরে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, এএসআই আশরাফুল সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে তার সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার এর মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত কার্যালয়-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেন উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) জালাল উদ্দিন আহম্মদ। ঘটনাটি তদন্ত করে দুদকের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই এসআই আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় অন্তত ৭৪টি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা কিছুটা বিপাকে পড়ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ রুটে সফলতার পর এবার আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে নবীন ও উদীয়মান বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রা। এই লক্ষ্যে এয়ারবাসের চারটি উড়োজাহাজ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে এয়ারলাইনসটি। বহরে উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়া সাপেক্ষে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রচলিত আঞ্চলিক...
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মরা তিস্তা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। খুঁটি নির্মাণের পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও অর্থাভাবে সেতুর বাকি নির্মাণকাজে হাত দেওয়া হয়নি। এতে চরাঞ্চলের ছয় গ্রামের মানুষের উপজেলা সদর ও হারাগাছ পৌর এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ দূর হচ্ছে না।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রায় দেড় মাস ধরে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা নীলক্ষেতে প্রধান সড়কের এক পাশের প্রায় পুরোটা বন্ধ করে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে। বাকি অংশ দখল করে রেখেছেন হকাররা। বিপরীত সড়কে ডিভাইডার দিয়ে আলাদা লেন করলেও জনদুর্ভোগ কমেনি। এতে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
৪ ঘণ্টা আগে