Ajker Patrika

রাতে ঢাকার মহাসড়কে বাস-পিকআপে যাত্রী পরিবহন

নুরুল আমিন, উত্তরা (ঢাকা)
রাতে ঢাকার মহাসড়কে বাস-পিকআপে যাত্রী পরিবহন

রাজধানীর উত্তরায় রাতে বাস ও পিকআপ ভ্যানে যাত্রী পরিবহন করা হয়। এ ছাড়া প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও হাইসে করেও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। উত্তরার আবদুল্লাহপুরে বুধবার (৪ আগস্ট) মধ্যরাতে এ দৃশ্য দেখা যায়। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সৌরভ ট্রান্সপোর্টের একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো ব ১২-০৫৯০) হেলপার মোজাম্মেল 'এই আশুলিয়া, বাইপাইল, নবীনগর, সাভার' বলে ডাকছেন। তিনি বলেন, 'এই লাস্ট টিপ, গেলে তাড়াতাড়ি আইয়্যেন।' 

হেলপার মোজাম্মেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার কারণে বাস বন্ধ। তাই যেখানেই নামুক ৫০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। যে যেখানেই নামবে একই ভাড়া। 

ওই বাসের যাত্রী পারভেজ ও সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমরা মাছের ব্যবসা করি। আবদুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল যাওয়ার জন্য উঠেছি। ৫০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে।' আরেক যাত্রী কামাল বলেন, 'আমি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। কালকে আমার ডিউটি আছে। তাই রংপুর থেকে ঢাকা এসেছি। হেমায়েতপুর যাব, তাই আবদুল্লাহপুর থেকে বাসে উঠেছি।' 

সৌরভ ট্রান্সপোর্ট বাসের চালক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন আশুলিয়ায় গাড়ির কাজ করাইছি। আবদুল্লাহপুর আসার সময় পথে ট্রাফিক পুলিশ রেকার বিল করাইছে। কিন্তু স্লিপ দেয় নাই। তখন মাহাজন ও মালিক সমিতির লোকজনও এসেছিল। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সারা দিন না খেয়ে ছিলাম তাই গাড়ি নিয়ে বের হইছি। আবদুল্লাহপুর আসার পর সার্জেন্ট গাড়ির কাগজ নিয়ে গেছে।' 

টঙ্গী ব্রিজ সংলগ্ন আবদুল্লাহপুরে দেখা যায় একটি যাত্রী বোঝাই পিকআপ ঢাকা থেকে বেরোনোর পথে রয়েছে। ওই পিকআপের যাত্রী সাগর শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আমি ঢাকায় রিকশা চালাই। আবদুল্লাহপুর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য পিকআপে ৫০০ টাকা ভাড়ায় উঠেছি। গ্রামে আমার দাদি খুব অসুস্থ। তাই যেতে হচ্ছে।' গুলশানের চাকরিজীবী হানিফ বলেন, 'বাসায় আব্বা অসুস্থ, তার লিভারে ঘা হয়েছে। ছয় মাস ধরে তিনি বিছানায় পড়ে আছেন। তাঁকে দেখার জন্য গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাচ্ছি। কোন বাস না পেয়ে পিকআপে করেই যাচ্ছি।' 

পিকআপে সন্তান নিয়ে বসে আছেন মধ্যবয়স্ক নারী আসমা। তিনি গুলশানের নতুন বাজারে দোকান করেন। আসমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'ঢাকায় দোকান বন্ধ। কোন কাজ নাই, তাই গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা যাচ্ছি।' 

ওই পিকআপের চালক আলমগীর বলেন, বাড্ডা থেকে যাত্রী নিয়ে নেত্রকোনা যাচ্ছি। পথে আবদুল্লাহপুরে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে কাগজ রেখে দিয়েছিল। পরে কোন রকমে কাগজ নিয়ে আসছি। 

এ বিষয়ে আবদুল্লাহপুরে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাসান বলেন, 'রাতের আঁধারে দ্রুতগামী পিকআপ থামানো সম্ভব না। থানা-পুলিশ চেকপোস্ট করছেন। তারাই আটক করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। একটি সৌরভ গাড়ি ধরেছিলাম। কাগজ পত্র আমার কাছে রয়েছে। আমি হাউজবিল্ডিংয়ে একটু জরুরি কাজে গিয়েছিলাম। পরে এসে দেখি বাসটি চলে গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত