কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তা ছাড়া বিএনপির কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিলসহ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুরোনো স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিল।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশাল মিছিল নিয়ে গুরুদয়াল কলেজ মাঠ থেকে শহরের রথখোলা এলাকায় গিয়ে পুরোনো স্টেডিয়ামের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করে। রথখোলা মাঠের এখানে গেলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাধা ঠেলে সামনে এগোতে চাইলে দুই পক্ষে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর দলের কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৭ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এ সময় শহরের রথখোলা থেকে আখড়াবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় দলের ক্ষুব্ধ কর্মীরা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। তা ছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম আহত হন।
তবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তাতে আমাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী মোস্তফা তাজবির, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পাৰ্ণেল, পল্লি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার মুসা তানহা, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব সৈয়দ শাহ আলম, নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ প্রমুখ। তাঁরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে রথখোলা ময়দান পর্যন্ত। কিন্তু তারা পুরো জেলা শহরে মিছিল করতে চায়। পুলিশ বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি। বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপসহ লাঠিপেটা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তা ছাড়া বিএনপির কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিলসহ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুরোনো স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিল।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিশাল মিছিল নিয়ে গুরুদয়াল কলেজ মাঠ থেকে শহরের রথখোলা এলাকায় গিয়ে পুরোনো স্টেডিয়ামের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করে। রথখোলা মাঠের এখানে গেলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাধা ঠেলে সামনে এগোতে চাইলে দুই পক্ষে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর দলের কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৭ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
এ সময় শহরের রথখোলা থেকে আখড়াবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় দলের ক্ষুব্ধ কর্মীরা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদের গাড়ি ভাঙচুর করেন। তা ছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষে মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম আহত হন।
তবে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তাতে আমাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী মোস্তফা তাজবির, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পাৰ্ণেল, পল্লি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার মুসা তানহা, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব সৈয়দ শাহ আলম, নিকলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল ইসলাম নওশাদ প্রমুখ। তাঁরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে রথখোলা ময়দান পর্যন্ত। কিন্তু তারা পুরো জেলা শহরে মিছিল করতে চায়। পুলিশ বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয়নি। বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েকটি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপসহ লাঠিপেটা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে মারা যাওয়া ফারিয়া তাসনিম জ্যোতির (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মৃত বাবলুর মেয়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে জ্যোতির মরদেহ নিয়ে পৌঁছান স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের...
৩০ মিনিট আগেচাঁদাবাজি, দখলদারি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির বেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে...
৩৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমীন মাদানীর নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মসজিদের উন্নয়নে দুই অর্থবছরে তিনটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো প্রকল্পের কাজই পূর্ণতা পায়নি। একটির কাজ করাই হয়নি, অন্যটির কাজ আংশিক হয়ে থেমে আছে, আরেকটিতে কেবল নামফলক বসিয়েই..
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শেরপুর পৌরসভায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ পাওয়া সাতটি প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ। যদিও দাপ্তরিক নথিতে সব প্রকল্পই ‘প্রায় সম্পন্ন’ হিসেবে দেখানো হয়েছে, তবে মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৩ ঘণ্টা আগে