Ajker Patrika

রঙিন ফুলকপিতে বাজিমাত পাকুন্দিয়ার আকরামের

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ৪৮
রঙিন ফুলকপিতে বাজিমাত পাকুন্দিয়ার আকরামের

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আকরাম হোসেন নামের এক তরুণ। খরচ মিটিয়ে কয়েক গুণ লাভের আশা করছেন এই উদ্যোক্তা। আকরামের এমন সফলতায় উচ্চমূল্যের এই জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অন্যরাও।

উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামের আবুল হাশিমের ছেলে আকরাম হোসেন। পড়াশোনা শেষ করে বসে না থেকে পৈতৃক জমিতে উন্নত জাতের ফসল চাষাবাদে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি (হলুদ) চাষ করেন। 

নিয়মিত পরিচর্যা আর কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন আকরাম। প্রচুর চাহিদা থাকায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া উচ্চমূল্যের রঙিন ফুলকপি দেখতে তাঁর বাগানে ভিড় করছে অনেকে। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ওই উদ্যোক্তাকে ২০ শতক জমিতে উচ্চমূল্যের ক্যারোটিনা জাতের নিরাপদ সবজি রঙিন ফুলকপির আবাদে সহায়তা করা হয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও ভিন্ন রঙের কারণে স্থানীয় বাজারে রঙিন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দামও পাওয়া যায় বেশি। গত বছর প্রথম এ উপজেলায় এক বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপির আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর প্রায় ২০ বিঘা জমিতে এই কপির আবাদ হয়েছে। 

সরেজমিনে বড় আজলদী গ্রামের আকরাম হোসেনের ফুলকপি বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ জাতের ফুলকপির মতোই পুরো জমিতে হলুদ ফুলকপির আবাদ হয়েছে। দুই হাজারেরও বেশি গাছের প্রতিটিতেই ফলন এসেছে। এরই মধ্যে অর্ধেকের মতো বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 

আকরাম হোসেন জানান, মাস্টার্স শেষ করে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২০ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন। প্রথমবার চাষাবাদেই সফলতা পেয়েছেন। 

আকরাম হোসেন বলেন, গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝিতে ফুলকপির আবাদ করি। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ফলন আসে। এতে আমার ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বিক্রি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বেচেছি। আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করতে পারব বলে আশা করি। 

চণ্ডিপাশা ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ জাতের ফুলকপি ভারত ও চীনে আবাদ হয়। সেখান থেকে বীজ এনে কৃষকদের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করাচ্ছে কৃষি বিভাগ। এতে বেশ সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে। রঙিন ফুলকপি চাষে জৈব সার ব্যবহার করায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেককাংশে কমে আসছে। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর-ই-আলম বলেন, রঙিন ফুলকপিতে সাধারণ ফুলকপির তুলনায় পুষ্টিগুণ বেশি। পুষ্টিগুণ আর ভিন্ন রঙের কারণে স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা প্রচুর। এ জন্য দামও কিছুটা বেশি পাচ্ছেন কৃষকেরা। দিনদিন এই জাতের কপি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত