নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিজ সংস্থার কর্মচারীকে অপসারণ করতে পারবে, দুদকের এ সংক্রান্ত ৫৪ (২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্মী অপসারণে দুদকের বিধি বহাল থাকল। আর এ কারণেই চাকরি ফেরত পাবেন না চাকরিচ্যুত আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত হন দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। এ রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজকের পত্রিকাকে শরীফ বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটা মানতে হবে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ শোকজ ছাড়াই কর্মী অপসারণে দুদকের বিধি বহালের রায় দেন।
আদালতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে নব্বই দিনের নোটিশ দিয়ে বা এসব দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে।
৫৪ (২) বিধি অনুসারে সে বছর মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি এ বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন। সে রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর বিরুদ্ধে পরের বছর দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। পরে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। পরে আপিল করে দুদক।
এদিকে দুদকের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ।
গত ৩ জানুয়ারি শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠে। এরপর একসঙ্গে দুই আবেদনের শুনানি শেষে গত ২ মার্চ রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ।
কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিজ সংস্থার কর্মচারীকে অপসারণ করতে পারবে, দুদকের এ সংক্রান্ত ৫৪ (২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্মী অপসারণে দুদকের বিধি বহাল থাকল। আর এ কারণেই চাকরি ফেরত পাবেন না চাকরিচ্যুত আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত হন দুদকের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন। এ রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পেয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজকের পত্রিকাকে শরীফ বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটা মানতে হবে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর আমি আমার আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ শোকজ ছাড়াই কর্মী অপসারণে দুদকের বিধি বহালের রায় দেন।
আদালতে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে নব্বই দিনের নোটিশ দিয়ে বা এসব দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে।
৫৪ (২) বিধি অনুসারে সে বছর মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি এ বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন। সে রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর বিরুদ্ধে পরের বছর দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। পরে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন। আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। পরে আপিল করে দুদক।
এদিকে দুদকের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ।
গত ৩ জানুয়ারি শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় উঠে। এরপর একসঙ্গে দুই আবেদনের শুনানি শেষে গত ২ মার্চ রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন আপিল বিভাগ।
রাজধানীর গুলশানে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
১৫ মিনিট আগেআজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
২৮ মিনিট আগেভুল ট্রেনে উঠে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি টাঙ্গাইলের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে পৃথকভাবে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের কাছে তাঁরা জবানবন্দি দেন। রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আপনাদের এই জমায়েত আমাদের বিশ্বাস করায়, যারা এখন মামলা বাণিজ্য করছেন, যারা চাঁদাবাজি করছেন, তাঁদের দিন ফুরিয়ে আসছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, আমাদের এই তরুণ প্রজন্ম যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে
১ ঘণ্টা আগে